/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/10/cats-2025-10-10-18-18-29.jpg)
চাঁদ দেখে স্বামী জল খাওয়ায় সেটা কিন্তু বাস্তবে বাধ্যতামূলক নয়: পায়েল দেব
Payel Deb: লাল টুকটুকে বেনারসিতে ২০২৪-এর ৫ ডিসেম্বরে মিস টু মিসেস হয়েছেন 'রাঙা বউ'-এর সীমন্তিনী ওরফে পায়েল দেব। পরনে ছিল লাল বেনারসি আর মাথায় শোলার মুকুট, কপালে চন্দনের কল্কা, গা ভর্তি গয়না, হাতে শাঁখা-পলা আর চূড়া। পঞ্জাবি ব্যবসায়ী শিখরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে বাঁধা পড়লেন অভিনেত্রী। জীবনের নতুন জার্নি শুরুর বর্ষপূর্তির আগেই প্রথম করওয়া চৌথ। আজকের দিনে আরও এক নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চার করলেন পঞ্জাবি বধূ পায়েল দেব। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে প্রথম করওয়া চৌথ নিয়ে আড্ডায় অভিনেত্রী।
পায়েল বলেন, 'কাল থেকেই প্রস্তুতি একেবারে তুঙ্গে। বিয়ের পর আমার প্রথম করওয়া চৌথ। মা-বাবাও আজ আমার বাড়ি আসবেন। হিন্দি সিরিয়াল বা সিনেমায় তো আমরা সবাই দেখেছি। কিন্তু, কোনওদিন আমি বা মা-বাবা কেউই বিষয়টা চাক্ষুস করিনি। আমার কিছু বন্ধুরাও আসবে। করওয়া চৌথ অবাঙালিদের একটা বিরাট উৎসব। এই দিন একটা পুজোর আয়োজন করা হয়। সূর্যোদয়ের আগে সর্গি খেতে হয়। আমার শাশুড়ি, জ্যেঠি শাশুড়ি একটা থালার মধ্যে ফল, মিষ্টি সাজিয়ে সিঁদুর, চুড়ি সহ আরও অনেক কিছু দিয়েছিলেন। সূর্যোদয়ের পর আর কিছু খাওয়া যায় না। ভোরবেলা সাড়ে তিনটে-চারটের সময় খেয়েছি। সন্ধ্যায় পুজোর পর বাড়ির সব ছেলেরা নজর রাখবে চাঁদ কখন দেখা যাবে। তারপর চাঁদকে অর্ঘ দিয়ে চালুনি দিয়ে চাঁদ দেখে জল খাব। এরপর খাওয়াদাওয়া হবে।'
পঞ্জাবি বধূ পায়েল জানান, 'শাশুড়ি মা আমাকে পুরো বিষয়টা গাইড করে দিয়েছেন। মেহেন্দি তো কালই পরেছি। তবে সিনেমা বা সিরিয়ালে যা দেখানো হয় সেখানে তো কিছুটা সিনেম্যাটিক ব্যাপার থাকে। চাঁদ দেখে স্বামী জল খাওয়ায় সেটা কিন্তু বাস্তবে বাধ্যতামূলক নয়। কাল আমার মা-ও শাশুড়ি মায়ের কাছে এই বিষয়টা জানতে চেয়েছিলেন। উনি বলেন, এইরকম কোনও নিয়ম বাস্তবে সেই অর্থে পালন করা হয় না। তবে একটা মেয়ে যেহেতু সারাদিন উপোস করে থাকে তাই স্বামী ভালবেসে জল খাইয়ে দেয়।'
টেলিভিশন বা সিনেমার পর্দায় তো দেখা যায়, স্ত্রীকেই স্বামীরা চাঁদ সম্বোধন করেন। চাঁদ আমার সামনে এটা বলেছে? মিষ্টি হেসে পায়েল বলেন, 'না এখনও পর্যন্ত বলেনি। তবে ওই সময় বলবে কিনা জানি না।' আজকের দিনে কী উপহার পেলেন? অভিনেত্রী বলেন, 'আমার মায়ের বাড়ির তরফে বেশ কিছু উপহার এসেছে। স্বামীর তরফে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। ভালবেসে যদি কিছু দেয় সেটা সম্পূর্ণ তাঁর নিজস্ব ব্যাপার। করওয়া চৌথ পালনের পর শিখর কিছু দেয় কিনা দেখি।'
আরও পড়ুন লাল বেনারসি-চন্দনের কল্কায় নববধূ, পঞ্জাবি প্রেমিক শিখরের সঙ্গে শুভ পরিণয় পায়েলের
সব মিলিয়ে প্রথমবার করওয়া চৌথ পালনের জন্য কতটা উত্তেজিত? পায়েলের সংযোজন, 'নিয়মনিষ্ঠা করে কোনও আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে আমি একটু ভয়-ই পাই। এতক্ষণ উপোস করতে পারব কিনা সেটা নিয়ে চিন্তা ছিল। বিয়ের সময় তো একটা টেনশন ছিল। তাই না খেয়ে থাকাটা কিছু মনে হয়নি। আজ তো টেনশন ফ্রি। আবার জলও খাওয়া বারণ। আসলে আমাকে কেউ নিয়মের বেড়াজালে বেঁধে দিলেই ভয় পেয়ে যাই। তবে প্রথম সবকিছুতেই একটা উত্তেজনা থাকে। এটাও আমার কাছে প্রথম, তাই সব নিয়মই পালন করতে পেরেছি।'
আরও পড়ুন গায়ে হলুদে পায়েল-শিখরের টুইনিং, ছবি শেয়ার করতেই শুভেচ্ছায় ভাসলেন হবু দম্পতি