/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/13/cats-2025-10-13-18-35-38.jpg)
ব্যক্তিগত আক্রোশ আছে সেই বিষয়ে আমি হান্ড্রেড পার্সেন্ট নিশ্চিত: উৎসব
Utsav Mukherjee Reaction On Cyber Harassment: প্রচারের আলোয় না থেকেও 'যত কাণ্ড কলকাতাতেই' দর্শকের ভালবাসা পেয়েছে। এইরকম পরিস্থিতিতে সাইবার প্রতারণার শিকার একাধারে পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, কাহিনিকার উৎসব মুখোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, এই ঘটনা প্রথমবার নয়। পুলিশের ব়্যাডারে যেমন অভিযুক্তরা থাকে ঠিক তেমনই উৎসবও যেন কারও 'টার্গেট'। দীর্ঘদিন কোনও এক রহস্যময় বা রহস্যময়ী আতসকাচের তলায় উৎসবের প্রতিটি পদক্ষেপ নিখুঁতভাবে নজরে রাখছেন। তিনি কে? সেই রহস্য একপ্রকার তাড়া করে বেড়াচ্ছে উৎসবকে। অগত্যা সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললেন উৎসব মুখোপাধ্যায়। নতুন সিনেমা মুক্তির পরই ফের একই ঘটনার পুনরাবৃতি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার এই প্রশ্নের উত্তরে কী যুক্তি?
তিনি বলেন, 'যত কাণ্ড কলকাতাতেই' সাফল্য পাওয়ার ফলে প্রচুর সুখ্যাতি অর্জন করেছি বা আমি যে বিরাট কোটিপতি হয়ে গিয়েছি এমনটা তো নয়। আমি বা আমার সিনেমা সাফল্যের এমন উচ্চশিখরে পৌঁছে গিয়েছে যে হিংসায় সকলে জ্বলবে এমনটাও নয়। তাই আমার মনে হয় না বিষয়টা কর্মজগৎ-এর সঙ্গে জড়িত। এটা তো অনেক বছর ধরে চলে আসছে। যখনই কোনও সিনেমা মুক্তি পেয়েছে বা বিশেষ কোনও সময়ই এই ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনাগুলো ঘটছে। প্রফেশনাল জায়গা থেকে হচ্ছে না ব্যক্তিগত আক্রোশ সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। তবে আমার মতে, এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অপদস্থ করা। ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আমার ছবি নিয়ে সেটা পোস্ট করে নোংরা মন্তব্য করা হচ্ছে। ফলে আমার সঙ্গে সতীর্থদের একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এটা তো কারও পছন্দ হওয়ার কথা নয়। কে করছে বা কে করাচ্ছে সেটা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। তবে আমি নিশ্চিত প্রফেশনাল যোগ নেই, সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। এই ধরনের ঘটনা কর্মক্ষেত্রে মারাত্মক প্রভাব ফেলে।'
আরও পড়ুন তোপসের জুতোয় পা 'গোয়েন্দা' আবীরের, পুজোয় কলকাতার কোন রহস্য উন্মোচন করবেন অভিনেতা?
জীবনে কোনও শত্রু আছে? পুরনো কিংবা নতুন শত্রুতার জেরে এমন ঘটনা ঘটছে বলে মনে হয়? পরিচালকের সংযোজন, 'শত্রু হওয়ার মতো পরিস্থিতি আমার জীবনে তৈরি হয়নি। তবে একজন মানুষ আরেকজনকে অপছন্দ করতেই পারেন। কিন্তু, সেটার জন্য দীর্ঘদিন কাউকে অপদস্থ বা অপমান করার ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে? আমি এটুকু বলতে পারি যে এই ধরনের কাজগুলো যে করছে সে আমাকে ভীষণ ভালভাবে চেনে, আমার পরিসর সম্পর্কে অবগত। আমার জীবন, গতিবিধি, কার্যকলাপ সম্পর্কে কেউ না জানলে এমন পোস্ট করা সম্ভব নয়।'
সোনিকা চৌহানকেও বাদ দেয়নি..., কথা শেষ হওয়ার আগেই উৎসব মুখোপাধ্যায় বলেন, 'সোনিকাকে আমি একদম ছোট থেকে চিনি। আমার থেকে ও অনেক ছোট। বহুবছর আগের একটা শুটিংয়ের ছবি নিয়েও কুরুচিকর মন্তব্য! সবচেয়ে বড় বিষয় আমি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ছবি ডিলিট করার পরও সে ওগুলো ব্যবহার (রিস্টোর) করতে পারে। আমার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে যখন এগুলো শেয়ার করা হচ্ছে তখন আমার ফ্রেন্ডলিস্টে যাঁরা আছেন তাঁরা ভাবছেন আমি করছি। ফলে আমার ইমেজ নষ্ট হচ্ছে।'
পরিবারের দুই মূল কান্ডারিকে হারিয়ে আজ মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছেন উৎসব। তবুও নিজের সম্পর্কে কিছু বলা প্রয়োজন। কারন ব্যখা করতে গিয়ে বলেন, 'সম্প্রতি মা-বাবাকে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে হারিয়েছি। মানসিকভাবে আমি সত্যিই খুব বিধ্বস্ত। এইরকম একটা পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট করার মানসিকতা বা এনার্জি কোনওটাই আমার নেই।' কখনও তাঁর কোনও আচরণ কাউকে কষ্ট দিয়েছে? যার ফলস্বরূপ এই অনভিপ্রেত ঘটনাগুলো ঘটছে? সেই বিষয়ে তাঁর যুক্তি, 'কখনও আমার আচরণে কারও মন ভেঙেছে কিনা সেটা আমার পক্ষে সত্যিই বলা সম্ভব নয়। কিন্তু, ব্যক্তিগত আক্রোশ আছে সেই বিষয়ে আমি হান্ড্রেড পার্সেন্ট নিশ্চিত।'