বলিউডের মতোই বাংলার অভিনেতারাও ২২ মার্চ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করলেন জনতা কারফিউ এবং বিকেল পাঁচটায় ঘণ্টা বাজিয়ে, হাততালি দিয়ে চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করোনা-যোদ্ধাদের সাধুবাদ জানালেন। অনেকে শাঁখও বাজালেন। তবে কলকাতা-সহ বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষ দলবেঁধে রাস্তায় নেমে কেন ঘণ্টা বাজালেন, এই প্রশ্ন তুলেছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী।
প্রিয়ম চক্রবর্তী ও শুভজিৎ কর এই মুহূর্তে নৈহাটিতে। সেখানেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিকেল পাঁচটায় ঘণ্টা বাজালেন প্রিয়ম। অভিনেতা-চিত্রনাট্যকার দেবপ্রতিম দাশগুপ্তও মা-কে সঙ্গে নিয়ে শাঁখ বাজালেন। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তীও বিকেলে তাঁর বাড়ির বারান্দায় এসে হাততালি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভিকি-দীপিকা-সহ বলিউড তারকারা হাততালি দিয়ে সাধুবাদ জানালেন করোনা যোদ্ধাদের
এই প্রসঙ্গে পরে একটি নাতিদীর্ঘ পোস্ট লিখেছেন সুদীপ্তা। প্রধানমন্ত্রীর আবেদনে অরাজনৈতিকভাবে সাড়া দেওয়া তাঁর কর্তব্য মনে হয়েছিল বলেই তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন, সেকথা স্পষ্ট করেন তিনি। সূদীপ্তা তাঁর ফেসবুক টাইমলাইনে লেখেন, ''হাততালি দিলাম, চিৎকার করলাম, শঙ্খ বাজালাম, থালা আর চামচ ও বাজালাম। ভালো লাগলো। বেশ ভালো লাগলো। নিজেদের জীবন বাজি রেখে যাঁরা আমাদের জন্য বাড়ির বাইরে আছেন, তাঁদের সবাইকে মনে মনে ধন্যবাদ জানালাম। বেশ আনন্দ পেলাম। চোখ দুটো একটু চিকচিক করলো, গলা টাও একটু ব্যথা ব্যথা করলো। কেনো জানি না। এতে যদি আমাকে কারুর ন্যাকা, বোকা, বিজেপি, ন্যাশনালিস্ট ইত্যাদি মনে হয়, মনে করতে পারেন। আমার অসুবিধে নেই। কারণ আমি জানি আমি এগুলোর কোনোটাই নই।
শুধু হতভম্ব হয়ে গেলাম টিভি তে দেখে যে লোকজন দল বেঁধে রাস্তায় নেমে হাততালি দিচ্ছে, কাঁসর ঘণ্টা বাজাচ্ছে।
দল বেঁধে কেনো????????
নিজের নিজের বাড়িতে থেকে করা গেলো না কেনো?
এতো অশিক্ষিতের মত আচরণ কেনো???
দেখে তো বেশির ভাগ লোককেই শিক্ষিতই মনে হলো।
No one can save us actually. No one !!!''
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে গুজব! পায়েল-দ্বৈপায়নের পরিবারের সদস্যকে হেনস্থা
ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়, রূপাঞ্জনা মিত্র, রূপা ভট্টাচার্য-সহ বহু অভিনেতা-অভিনেত্রীরাই অংশ নিয়েছেন বিকেল ৫টার উদ্যোগে। দুর্ভাগ্যবশত কলকাতা-সহ বিভিন্ন জায়গায় এই উদ্যোগে মানুষ দলবেঁধে সামিল হয়েছেন যা একেবারেই কাম্য ছিল না, সেই বিষয়ে বিশেষভাবে আলোকপাত করলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী, রাতে ফেসবুক লাইভে এসে--
করোনা প্রতিহত করার একমাত্র উপায় একা থাকা। ঠিক সেই কারণেই ২৩ মার্চ বিকেল পাঁচটা থেকে সারা দেশের ৭৫টি পুর এলাকায় লকডাউনের ঘোষণা করেছেন সরকার। শুধু আপৎকালীন পরিষেবা, ব্যাঙ্ক ইত্যাদি খোলা থাকবে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলবে লকডাউন। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এবং সচেতনতার সঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে ভারতীয়দের এই যুদ্ধকে সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী।