Star Jalsha and Zee Bangla: দর্শক টানতে নতুন স্ট্র্য়াটেজি বাংলার প্রধান দুই বিনোদন চ্য়ানেলের। মজার কথা হল, দুটি স্ট্র্য়াটেজিই প্রায় এক। সিরিয়াল দেখলে এক পক্ষ দিচ্ছে সোনাদানা আর অন্য পক্ষ দিচ্ছে বিদেশে বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ। কিন্তু হঠাৎ কেন দুই চ্যানেলেই এমন প্রতিযোগিতা শুরু হল, সেই নিয়ে কৌতূহল বাড়ছে। আদতে ভিউয়ারশিপ বাড়ানো যে লক্ষ্য, তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। কিন্তু প্রশ্ন হল এ কি শুধুই আইপিএল সিজনে দর্শককে বাংলা সিরিয়ালে টেনে রাখার চেষ্টা নাকি অন্য় কোনও কারণও রয়েছে?
স্টার জলসা-র সিরিয়াল দেখে সোনা জেতার প্রতিযোগিতা শুরু হয় গত মাসের শেষের দিকে। সিরিয়াল দেখে প্রতি সপ্তাহে সোনা জেতার আহ্বান জানানো হয়েছে দর্শককে। ৩০ মার্চ থেকেই প্রত্যেকদিন তিনটি করে প্রশ্ন দেখা যায় চ্যানেলের সান্ধ্য সম্প্রচার চলাকালীন। তারই উত্তরদাতাদের থেকে বেছে নেওয়ার কথা সোনা-বিজেতাদের। সম্প্রতি প্রথম পর্যায়ের সোনা বিজেতাদের নাম ঘোষিত হয়েছে। তবে শুধুই সোনা নয়, তালিকায় রয়েছে স্মার্টফোন, এলইডি টিভিও।
আরও পড়ুন: ‘রাসমণি’র কাছে কি হেরে যাবে ‘কৃষ্ণকলি’, এই সপ্তাহে সেরা দশে রইল কারা
জি বাংলা-র প্রতিযোগিতাটি এক মাসের জন্য-- ১৫ এপ্রিল থেকে ১৫ মে। সর্বোচ্চ পুরস্কার বিদেশভ্রমণ। অন্যদিকে স্টার জলসা-র কনটেস্টটির কোনও সময়সীমা বাঁধা নেই। স্টার জলসা ও জি বাংলা, দুই চ্যানেলেরই সম্ভবত আশা, এইভাবে বাড়তে পারে ভিউয়ারশিপ। জি বাংলার ভিউয়ারশিপ এই মুহূর্তে সবচেয়ে ভাল। চ্য়ানেলের জিআরপি রয়েছে ৭০০-র উপরে। অন্যদিকে স্টার জলসা-র জিআরপি প্রায় তার অর্ধেক। তবে বাংলার বিনোদন চ্য়ানেলগুলির মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্টার জলসা।
আরও পড়ুন: রাতারাতি ‘হাত বদল’ চার ধারাবাহিক, লক্ষ্য করেছেন?
দুবছর আগে ছবিটা ছিল ঠিক উলটো। ৮০০-র উপরে পৌঁছে গিয়েছিল স্টার জলসা-র জিআরপি। আর জি বাংলা-র জিআরপি অনেকটা সময় পর্যন্ত ছিল ৪০০-র কাছাকাছি। আবারও পুরনো জায়গায় পৌঁছতে বিপুল পরিমাণে বাড়াতে হবে ভিউয়ারশিপ। সম্ভবত সেই কারণেই এই নতুন কনটেস্টের পরিকল্পনা। স্টার জলসা-র এই কনটেস্ট ঘোষণার কিছুদিনের মধ্যেই বিদেশভ্রমণের কনটেস্টটি লঞ্চ করে জি বাংলা। তবে সেটা শুধুমাত্র আইপিএল সিজনে ভিউয়ারশিপ ধরে রাখার জন্য নাকি প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য় সেটা ঠিক স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: টেলিপর্দায় এবার রোবট বউমা, রোবট হলেন তৃণা
সম্ভবত জি বাংলা-র ক্ষেত্রে প্রথম কারণটিই প্রযোজ্য় কারণ তা না হলে কনটেস্টের সময়সীমা একমাসের বেশি হতো। অন্যদিকে স্টার জলসা-র স্ট্র্যাটেজিটি দীর্ঘমেয়াদি। আইপিএল সিজন কেটে যাওয়ার পরেও জিআরপি-র এই বিপুল ব্যবধানটি অতিক্রম করাই সম্ভবত চ্যানেলের উদ্দেশ্য।