প্রফুল্ল এখন ডাকাত সর্দার। কর্তব্যে অনড় থাকে সে। এদিকে ব্রজর কথা জানতে পেরেও চুপ করে বসে থাকতে মন চায় না তার। সংসারের মায়া ত্যাগ করা কি অত সহজ! কিন্তু যদি ব্রজর জন্য সে কিছু করতে যায় আর লোকে জানতে পারে? অথচ ব্রজর ভালর জন্যই তাকে সরিয়ে নিয়ে আসা প্রয়োজন। সাগরকে সঙ্গে নেয় সে, দুজনে মিলে অপহরণ করে ব্রজকে। তবে ব্যাপারটা হয় চুপিসারে। জানে কেবল সাগর আর প্রফুল্ল। কেউ একথা জানতে পারবে না তো? আর প্রফুল্লর এই পিছুটান তার নতুন চলার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ালে?
আরও পড়ুন: বাংলার শ্রী এবার পা রাখল বলিউডে
এর আগেও ছোট পর্দায় দেখা গেছে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের এই অমর উপন্যাসের চিত্ররূপ। প্রফুল্লর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তী। কিন্তু দর্শক মনে তা দাগ কাটতে পারেনি। বর্তমান ধারাবাহিকে সোনা সাহা ছাড়াও হরবল্লভের চরিত্রে দেখা যায় সুজন মুখোপাধ্যায় এবং ব্রজেশ্বরের চরিত্রে অভিনয় করেন রাহুল মজুমদার। প্রথমদিকে ধারাবাহিকের কোরিওগ্রাফি করেছিলেন অলকানন্দা রায়। এমনকী চর্চা হয়েছিল প্রফুল্লর কস্টিউম নিয়েও। তিলোত্তমা ছেয়ে গিয়েছিল হোর্ডিংয়ে। সেই শুরু, আজও জনপ্রিয় ‘দেবী চৌধুরানী’।
আরও পড়ুন: ‘হুইস্কি’তে মজলেন শ্রাবন্তী, ছবি পোস্ট রোশনের
কাজেই ছোট পর্দায় সফলভাবে তুলে আনা হয়েছে ডাকাত রানীর কাহিনি। প্রফুল্লর ভূমিকায় দেখা যায় সোনা সাহাকে। মডেলিং ও বিজ্ঞাপনে কেরিয়ার শুরু হয়েছিল সোনার। সাম্প্রতিককালে জনপ্রিয় হয়েছেন ‘দেবী চৌধুরাণী’ ধারাবাহিকের দৌলতে। মূল উপন্যাসের চরিত্রগুলিকে যথাযথ রেখেই সাজানো হয়েছে চিত্রনাট্য। স্ক্রিপ্টের দায়িত্ব সামলান ঋতম ঘোষাল এবং অঞ্জন। ধারাবাহিকটি পরিচালনা করেন প্রসেনজিৎ রায়।