Bigg Boss season 13: কিছুদিন আগেই শুরু হয়েছে বিগ বস সিজন ১৩। এবছরের সিজনে রয়েছে জাতীয় টেলিভিশনের একঝাঁক অভিনেতা-অভিনেত্রী। সিজনের শুরু থেকেই জমে উঠেছে ড্রামা। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে প্রচুর অশ্লীলতা রয়েছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ জানিয়েছে ট্রেড বডি।
আইএএনএস সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স এই অনুষ্ঠানের সম্প্রচারের বিরোধিতা করে একটি চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভাদেকরকে। অশ্লীলতার দায়ে এই অনুষ্ঠানের সম্প্রচার নিষিদ্ধ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।
আরও পড়ুন: ভূতের শ্বশুরবাড়িতে চুনি-বউমার অভিযান! আসছে নতুন ধারাবাহিক
এই রিয়্যালিটি শো-তে নগ্নতা বা যৌনতা না থাকলেও এমন কিছু কথাবার্তা প্রতিযোগীরা নিজেদের মধ্যে বলে থাকেন যা অনেকাংশেই ১৮ বছরের কম বয়সীদের পক্ষে উপযুক্ত নয়। আবার পরিবারের বয়োঃজ্যেষ্ঠদের সঙ্গে বসেও এই অনুষ্ঠানটি সব সময় দেখা যায় না, এমন ইঙ্গিতই পাওয়া গিয়েছে ওই চিঠিতে।
বিগ বস সিজন ১৩-র অন্দরসজ্জা।
সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ''বেড ফ্রেন্ড ফরেভার-এর এই ধারণাটি অত্যন্ত আপত্তিজনক এবং তা টেলিজগতের মূল্যবোধকে আঘাত করে। এই শোয়ের নির্মাতারা বোধহয় ভুলে গিয়েছেন যে প্রাইমটাইমে যখন টিভিতে এই শো দেখানো হয় তখন পরিবারের সব বয়সের সদস্যরাই একসঙ্গে বসে এই শো দেখে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে এই শো সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে।''
আরও পড়ুন: দক্ষিণে ঝড় তুলেছে ‘সাই রা নরসিংহ রেড্ডি’
ট্রেড বডির সেক্রেটারি জেনারেল প্রবীণ খান্ডেলওয়াল এই প্রসঙ্গে আইএএনএস সংবাদ সংস্থাকে জানান, ''ওই শোয়ের প্রত্যেকটি এপিসোড সেন্সর বোর্ডের খুঁটিয়ে দেখা উচিত। ওখানে যা হচ্ছে তা একেবারেই ঠিক নয়। বাড়ির সকলের সঙ্গে বসে এই শো দেখা যায় না।''
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও বিগ বস-এর বিরুদ্ধে এই জাতীয় অভিযোগ এসেছে। ২০১৭ সালে তামিল বিগ বস-এর বিরুদ্ধে একটি স্থগিতাদেশ জারি করার অনুরোধ করা হয় এই বলে যে ওই শো-তে মহিলাদের অত্যন্ত সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা হয় এবং সমাজের দরিদ্র মানুষের প্রতিও খুবই অসম্মানজনক মনোভাব রয়েছে। তামিল বিগ বস-এর প্রথম সিজন নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। সাম্প্রতিক বিগ বস সিজন ১৩ নিয়েও তাই এই বিরোধিতার জল অনেক দূর গড়াতে পারে।