/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/31/amit-2025-07-31-19-12-57.jpg)
এই ছবির নাম কী?
প্রত্যেকটা ছবির ক্ষেত্রে তাঁর আড়ালে কোনও গল্প থাকে। এবং অনেক মানুষই সেই গল্প প্রসঙ্গে জানেন না। হয়তো, সেই ছবির লিড অভিনেতা কিংবা অভিনেত্রীদের প্রসঙ্গে অনেকেই অনেক কিছু জানেন, কিন্তু! ছবি নির্মাণের ক্ষেত্রে যে একজন প্রযোজক অথবা পরিচালককে কত কী সহ্য করতে হয়?
বলিউডে এমন একটি ছবি আছে যার নাম খুদ্দার। সেই ছবির মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন অমিতাভ বচ্চন এবং পারভিন ববি। কিন্তু ছবি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, এই দুই তারকা কাছে কতকিছুর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। সব থেকে বড় কথা এই ছবির প্রথম থেকে শেষ দিন পর্যন্ত বিপদ লেগেই ছিল। সেই গল্পই খোলসা করেছেন প্রডিউসার আনোয়ার আলী। আনোয়ার যিনি মেহমুদের ভাই, তাকে অমিতাভ বিডো বলে ডাকতেন। ছবির ৪৩ বছর উপলক্ষে প্রযোজক এমন কিছু কথা শেয়ার করলেন...
Bollywood: 'ধর্ষ*ণ কী সেটা', ছেলের মুখে একথা শুনেই রেগে আগুন তাঁর ম…
তিনি বললেন, ছবির দুজন অভিনেতা দুজনেই নিজের মতো করে ব্যস্ত ছিলেন। ব্যস্ত থাকা বললে ভুল হবে দুজনেই শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। ছবি রিলিজের ঠিক তার আগে আগেই, কুলি ছবির সিনেমায় অমিতাভের রকম ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ যায় যায় অবস্থা তখন তাঁর। অমিতাভকে বাঁচাতে তখন যে যার মত করে ঈশ্বরকে ডাকছেন। মুসলিমরা নামাজ পড়ছেন, হিন্দুরা পুজো করছেন, হাসপাতালের বাইরে তখন লম্বা লাইন কেউ অমিতাভকে রক্ত দেবেন এই কারণে। খুদ্দার ছবির সময় অমিতাভ তখন হাসপাতালে ভর্তি। আর, পারভিন?
অভিনেত্রী, মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বেশ অনেকদিন। এছাড়াও, পারভিন তখন ট্রিটমেন্টের জন্য আমেরিকায় ৬ মাস ছিলেন। অভিনেত্রী এতটাই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন, যে তিনি আমেরিকায় থাকাকালীন বহু প্রডিউসার তাঁকে রিজেক্ট করেছিলেন। এমনকি, তাঁর কন্ট্রাক্ট পর্যন্ত ক্যানসেল করেছিলেন অনেকে। আনোয়ার স্পষ্ট জানান, "আমি যখন আমেরিকায় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলাম, তিনি ভেবেছিলেন আমিও হয়তো তাঁকে প্রজেক্ট থেকে বাদ দিতে গিয়েছি। তারপর আমি তাঁকে বললাম, না না! কতদিন সময় লাগবে বলো। তোমার সুস্থ হতে যতদিন লাগবে ততদিনই আমরা অপেক্ষা করব।" এবং পারভিন ফিরে আসার পর, তিনিই প্রথম ডেট দিয়েছিলেন ছবির জন্য।
Bangladeshi Model Arrested: টলি পরিচালকের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাবের অভিযো…
আর যখন ছবি রিলিজের অপেক্ষায়, তখন অমিতাভের সঙ্গে ঘটেছে সেই ঘটনা। আনোয়ার জানান, অমিতাভের জন্য তাঁরা অপেক্ষা করেননি। বরং, ছবি রিলিজ করে দেওয়া হয়েছিল। পরিচালক বলেন, "আমার মনে আছে, তখন হাসপাতালে তিনি শুয়ে আছেন। আমি উনাকে দেখতে গিয়েছিলাম। জিজ্ঞেস করলাম, কেমন আছো? উনি সোজাসুজি বললেন, বিদো ছবি কেমন চলছে? বললাম, সুপারহিট।"