১৯৭০-এর দশকে ধর্মেন্দ্র ছিলেন হিন্দি সিনেমার সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং চাহিদাসম্পন্ন অভিনেতাদের একজন। তবে ১৯৮০-এর দশকে বলিউড এক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, এবং সেই সঙ্গে ধর্মেন্দ্রর কেরিয়ারেও ধস নামে। অনেক সহকর্মীর মতো তিনিও হিট ছবির খোঁজ করছিলেন। এই সময়ে তিনি একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেন, যেগুলোর অনেকগুলোই পরে ‘বি-গ্রেড’ হিসেবে বিবেচিত হয় অথবা দর্শকমনে কোনো স্থায়ী ছাপ ফেলতে পারেনি।
এই ধরনেরই একটি সিনেমা ছিল ১৯৮৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কায়ামত’। এই ছবিতে একটি সংলাপ ধর্মেন্দ্রর মায়ের মনে গভীর বিরক্তি ও অসন্তোষ তৈরি করেছিল, যার কারণে তিনি সিনেমা মাঝপথেই ছেড়ে প্রেক্ষাগৃহ থেকে বেরিয়ে যান।
Actor Passed Away: টানা লড়াইয়ের পর শেষ হল অধ্যায়, প্রয়াত অভিনেতা
‘ধর্মেন্দ্র: নট জাস্ট আ হি-ম্যান’ সিনেমায় পরিচালক রাজ এন সিপ্পি এই ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। তিনি লেখেন, “একটি দৃশ্যে ধর্মেন্দ্রর চরিত্রটি শত্রুঘ্ন সিনহার চরিত্রকে বলেন, 'ধর্ষণ কী আমি তোমাকে তা শেখাব।' এই সংলাপটি শুনে ধর্মেন্দ্রর মা এতটাই হতবাক হয়েছিলেন যে তিনি বিরতির সময় সিনেমা হল থেকে বেরিয়ে যান।”
Bollywood: একাধিকবার গর্ভপাত, স্বামীর পরকীয়া হাতেনাতে ধরে ফেলেন, মাত্র ২৮-এ অভিনেত্রীর জীবন...
সিপ্পি আরও বলেন, "ধর্মেন্দ্র তখন মাকে শান্ত করতে এগিয়ে যান এবং অনুরোধ করেন, যেন তিনি পুরো ছবিটি দেখে তারপর মতামত দেন। এমনকি তিনি এও বলেন, যদি ছবির শেষে, তার মা মনে করেন যে তিনি ভুল করেছেন, তাহলে তিনি তাকে একটি চড় মারতে পারেন।"
‘কায়ামত’ ছবিতে আরও অভিনয় করেছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা, স্মিতা পাটিল, পুনম ঢিল্লোঁ, জয়া প্রদা, শক্তি কাপুর এবং বিন্দু। ওই একই বছর ধর্মেন্দ্রর ছেলে সানি দেওল তার প্রথম ছবি ‘বেতাব’-এর মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। অমৃতা সিং অভিনীত এই ছবি তখনকার অন্যতম সেরা হিট হয়ে ওঠে এবং সানিকে বলিউডের নতুন তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।