শর্মিলা ঠাকুর সর্বদা তাঁর প্রজন্মের থেকে এগিয়ে ছিলেন। অভিনেত্রী হিসাবে চ্যাম্পিয়ন ছিলেন তিনি। তার সমসাময়িক অনেকের তুলনায়, যারা বিয়ের পরে এবং সন্তান হওয়ার পরে সিনেমা করা ছেড়ে দিয়েছিলেন, শর্মিলা ১৯৭০ সালে তার ছেলে সাইফ আলী খানের জন্মের পরে তাঁর কেরিয়ারের কয়েকটি সেরা ছবিতে কাজ করেছিলেন। যদিও তার পরিবারের সদস্যরা সর্বদা জনসমক্ষে তার প্রশংসা করেছেন, কিন্তু শর্মিলার পক্ষে যাত্রাটি সহজ ছিল না এবং সম্প্রতি একটি সাক্ষাত্কারে তার মেয়ে সোহা আলী খান একই বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
দ্য হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়ার সাথে একটি কথোপকথনে সোহা জানান সিনে দুনিয়ায় কাজ করা মায়েদের জন্য কাজ-জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখা খুব দরকার। তিনি তার মায়ের জীবন থেকে একটি উপাখ্যান ভাগ করে নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, সইফ যখন ছোট ছিল এবং মা ফুলটাইম কাজ করতেন, তখন কখনও কখনও টানা কয়েক সপ্তাহ সইফের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেতেন না। অন্য সময় সইফের মন খারাপ হয়ে যেত।"
Actress divorce Rumor: ভাঙছে ৩ বছরের সংসার? অভিনেত্রীর নেওয়ার সিদ্ধা…
সোহা আরও বলেন, "মাঝে মাঝে আমার মা কয়েক সপ্তাহ ধরে ভাইকে দেখতে পেতেন না। এবং তারপরে, তিনি তার সঙ্গে সময় কানাটোর জন্য, ঘুমানোর জন্য বাড়িতে ছুটে আসতেন। কিন্তু আমার ভাই তখন রেগে যেত। বিরক্ত হয়ে বলত, "আমার তোমাকে দরকার নেই। আমি এখন তোমাকে চাই না। ও আমাদের সঙ্গে ঠিক থাকত। আর মা রেগে যেতেন। উনি বলতেন যে আমি তাহলে কী জন্য বাড়িতে ছুটে এসেছি? অনেক কাণ্ড হত তখন।"
এর আগে, শর্মিলা ওয়াইএফএলও-র জন্য মা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছিলেন এবং বলেছিলেন, "আমি প্রতিদিন দুই শিফটে কাজ করতাম এবং ছেলের জীবনের প্রথম ছয় বছর আমি সত্যিই অনুপস্থিত ছিলাম। তিনি আরও বলেন, "আমার মনে হয় না আমি ফুলটাইম মা ছিলাম। আমার স্বামী সেখানে ছিলেন, কিন্তু আমি ছিলাম না।"
Actress Tragic Death: 'ওর বডি নিয়ে আমাদের কিছু করার নেই..', ফ্ল্যাট …
মায়েদের প্রতি তার অনেক সহানুভূতি রয়েছে উল্লেখ করে সোহা বলেন, "আমি মায়েদের, নতুন মায়েদের প্রতি খুব সহানুভূতিশীল, তাদের প্রণাম। আমার খালি তাঁদের বলতে ইচ্ছে করে, তোমার কিছু দরকার? একটা সন্তানকে বড় করা নেহাতই সহজ কাজ না।" সোহা নিজেও একবার কাঁদতে শুরু করেছিলেন কারণ প্রায় একদিন তাঁর মেয়েকে তিনি দেখতে পাননি। মেয়েকে সম্পূর্ণ নিজের দায়িত্বে রাখতেন তিনি। তাই তো তাঁকে দেখতে না পেলে ভীষণ মন খারাপ হত তাঁর।"