গতকাল প্রয়াত ভারতীয় ছবির অনন্য নক্ষত্র সরোজা দেবী। ৮৭ বছর বয়সে তিনি না ফেরার দেশে। এবং, তাঁর প্রয়াণে অনেকেই শোক প্রকাশ করেছেন। ভারতের অন্যতম পুরস্কার পদ্মশ্রী - পদ্মভূষণ উভয় পেয়েছিলেন তিনি। বলিউডে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ১৯৫৯ সালে পয়গাম ছবি দিয়ে। তারপর তিনি শাম্মী কাপুর থেকে রাজেন্দ্র কুমার সুনীল দেব সকলে সঙ্গে কাজ করেছেন। দক্ষিণের অভিনেত্রী হলেও তার জীবনে বলিউডের অনেক প্রভাব ছিল।
দিলীপ কুমার তাঁর অন্যতম পছন্দের নায়কদের মধ্যে একজন ছিলেন। দিলীপ সাহেব তার জীবনের অনেক বড় সমস্যার সমাধান করে দিয়েছিলেন অজান্তেই। সে কথাই একবার মুখ ফুটে বলেছিলেন এই অভিনেত্রী। এবং, বিবাহ পরবর্তী সময় তার কাজ করার পেছনেও দিলীপ কুমারের এই বাণী যে কাজ করেছিল সেকথাই তিনি জানান। দিলীপ সাহেব তখন স্বপ্নের হিরো। অনেকটা বেশি বয়সেই তিনি সুন্দরী সায়রা বানুকে বিয়ে করেছেন। এবং দুজনের জুটি ছিল দেখার মত। দিলীপ সাহেবের সঙ্গে রোমান্টিক জুটি হিসেবেই অনেক অভিনেত্রী কাজ করেছিলেন। সেরকমই আরেকটি নাম সরোজা দেবী।
Mithu Chakrabrty: ছেলের বউদের নিয়ে এক ছাদের নীচে নয়! শাশুড়ি হওয়ার …
অভিনেত্রী ১৯৬৭ সালে বিয়ে করেন শ্রী হর্ষকে। তিনি পেশায় ছিলেন এক ইঞ্জিনিয়ার। এক পাবলিক ফোরামে চাকরি করতেন তিনি। এখানেই শেষ না। বিবাহ পরবর্তী সময় সরোজা, আর্থিক অনটনের সঙ্গে সঙ্গে নানান ধরনের সমস্যার মোকাবিলা করেছিলেন। ইনকাম ট্যাক্স ইস্যুতেও নাম জড়িয়ে ছিল অভিনেত্রীর। তারপর? এমনকি তার নিজস্ব একটি বিনিয়োগও, দারুন লসের মুখে পড়েছিল। তাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, বিবাহ পরবর্তী সময় তিনি কি করে এতটা ফ্রি লি কাজ করছেন, তখনই যদি দিলীপ কুমারের নাম নিয়েছিলেন।
The Revolutionary: প্রকাশ্যে দ্যা রিভলিউশনারির ফার্স্ট লুক, কঠিন ট্রেনিং এর মধ্যে অভিনেতা রোহিত শরফ..
অভিনেত্রীর মা নাকি একেবারেই যে তিনি অভিনয় চালিয়ে যান। বরং তাকে অভিনয় জীবন থেকে সরে আসতে বলেছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, "আমার জীবনে অজান্তে দিলীপবাবু এক দারুন ভূমিকা পালন করেছিলেন। অভিনেতা রাজেশ খান্না নাকি তার স্বামীকে বলেছিলেন, দিলীপবাবু কোনদিন সায়রা বানুকে অভিনয় জীবন ত্যাগ করতে বলেননি। কাজ বন্ধ করতেও বলেননি। রাজেশ খান্নার আমার স্বামীকেও বলেছিলেন, সরোজাকে কোনদিন অভিনয় থেকে দূরে রেখোনা। আমার স্বামী তখন এটাই ভেবেছিলেন, যেখানে দিলীপ কুমার তার স্ত্রীর জন্য এতটা ভাবেন সেখানে তিনি কে?"
প্রসঙ্গে, শুধু অভিনেত্রী নয়, চলচ্চিত্র সংক্রান্ত নানান কর্পোরেশনের সভাপতি এবং সহ-সভাপতি পদে নিযুক্ত ছিলেন। ইন্ডাস্ট্রি অনেকের কাছেই তিনি ছিলেন মায়ের মত। তাই তাঁর চলে যাওয়া অনেককেই চমকে দিয়েছে।