CBFC, Bombay HC, Children's Film: সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন-এর ভূমিকা নিয়ে দেশের বহু নির্মাতা ও পরিচালকদের অনেক অভিযোগ রয়েছে। সেই নিয়ে তাঁরা সরবও হয়েছেন বহু বার। কিন্তু শুক্রবার একটি অভিনব ব্য়াপার ঘটল বম্বে হাই কোর্টে। একটি শিশু চলচ্চিত্রকে ইউনিভার্সাল অর্থাৎ U সার্টিফিকেট না-দেওয়া নিয়ে বোর্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে চিলড্রেন্স ফিল্ম সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া। ওই কেসের শুনানি চলাকালীন বম্বে হাই কোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চ, সিবিএফসি-কে ব্য়ঙ্গ করে 'উটপাখি' বলে!
বিচারপতি এস সি ধর্মাধিকারী ও বিচারপতি গৌতম প্যাটেলের ওই ডিভিশন বেঞ্চটি স্পষ্ট ভাষায় বোর্ডকে জানায়, দর্শক কোন ছবি দেখতে চাইবেন বা চাইবেন না, সেটা সিবিএফসি নির্ধারণ করে দিতে পারে না। ওই ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার এও জানায় যে সিবিএফসি-র ভূমিকা নতুন করে নির্ধারণ করতে হবে কারণ সিবিএফসি মনে করে সবার পছন্দ-অপছন্দের দায়িত্ব নেওয়ার মতো ক্ষমতা ও বুদ্ধিমত্তা একমাত্র তাদেরই রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রয়াত স্বর্ণযুগের অভিনেত্রী সবিতা চট্টোপাধ্যায়
জানুয়ারি মাসে 'চিড়িয়াখানা' শীর্ষক একটি সিনেমার ইউনিভার্সাল সার্টিফিকেশন নাকচ করে দেয় সিবিএফসি। ওই ছবির একটি দৃশ্য ও সংলাপে ব্য়বহৃত একটি অশালীন শব্দের কারণে ছবিটিকে ইউ/এ সার্টিফিকেট দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটির বক্তব্য, ওই ছবিটি একেবারেই নাবালকদের জন্য় নির্মিত এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছবিটির প্রদর্শন প্রয়োজন তাই ইউনিভার্সাল সার্টিফিকেশন দরকার।
কিন্তু সিবিএফসি তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। এই প্রসঙ্গে শুক্রবার সওয়াল-জবাবের সময় বম্বে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়, ''ছবি থেকে দৃশ্য়টি বাদ দেওয়া মানে এটাই ভান করা যে বাস্তবে এমন কোনও সমস্য়া নেই।'' এর পরেই বিচারপতি প্য়াটেল সিবিএফসি-কে উদ্দেশ্য় করে বলেন, ''উটপাখি নাকি যে বালিতে মাথা গুঁজে দিয়ে মনে করবেন যে ওরকম কিছুর অস্তিত্বই নেই!''
আরও পড়ুন: ‘বলিউডের পুরুষরা ভয় পাচ্ছেন’, মন্তব্য় মল্লিকার
বিচারপতি ধর্মাধিকারী ও বিচারপতি প্য়াটেলের ওই বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিবিএফসি একটি সার্টিফিকেশন বোর্ড, সেন্সর বোর্ড নয় তাই তারা ঠিক করে দিতে পারে না কে কী দেখতে চাইবে না চাইবে। আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যদি কোনও শিশু চলচ্চিত্রে জাতিবিদ্বেষ, অসাম্য়, শিশু শ্রম এবং মাদকজনিত হেনস্থার মতো বিষয় দেখানো হয়, তবে সেই ছবিকে বরং শিশুদের সচেতনতা বৃদ্ধির কাজে ব্য়বহার করা উচিত।
Read the full article in English