আবির চট্টোপাধ্যায় ও যিশু সেনগুপ্ত, দুজনের টক্কর হতে চলেছে বড় পর্দায়, এর ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গিয়েছিল। এবার প্রকাশ্যে এল যুযুধান দুই পক্ষের লড়াই। মৈনাক ভৌমিকের পরিচালনাতেই যুগলবন্দী টলিউডের প্রথম সারির এই দুই অভিনেতার। প্রথম থ্রিলার নিয়ে পরিচালক আড্ডায় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে।
মৈনাক ভৌমিক থ্রিলারে ...
আমার ছবি করতে আসার প্রথম উদ্দেশ্য ছিল আজকের কলকাতা, আজকের প্রজন্ম। এটাকে তুলে ধরতেই ছবি করতে এসেছিলাম। তারপরে কিছু ছবি জনপ্রিয় হতে শুরু করে, আর আমারও বানাতে ভাল লাগত। কিন্তু সেটা ক্রমাগত হয়ে চলেছে। এবার মনে হল অনেকদিন ধরে একই ধরণের গল্পগুলো বলছি। লেখক হিসাবে একটা ব্রেক চাই...সেখান থেকেই এই থ্রিলারের শুরু।
প্রথম থ্রিলার...
হ্যাঁ! আসলে বর্ণপরিচয় আমার লেখা চার নম্বর থ্রিলার গল্প, কিন্তু বানানো প্রথম থ্রিলার ছবি (হাসি)।
প্রথমবারেই আবির আর যিশুকে সামনাসামনি আনলেন?
দুই বন্ধু পেয়ে গেলাম আবার কি। চিত্রনাট্যটা লিখে যখন শ্রীকান্তদা,মনিদার সঙ্গে বসি তখন শ্রীকান্তদাই প্রথম আইডিয়াটা দেয়, বলেন, 'আবির-যিশুকে একসঙ্গে নিয়ে কিছু একটা চিন্তা ভাবনা কর।'
কিন্তু এই উল্টো কম্বিনেশন...
আসলে ছবিটা না দেখে বোঝা মুশকিল কে বেশি নেগেটিভ। কারণ দুটো চরিত্রেরই নেগেটিভ শেড রয়েছে। অবশ্যই প্রত্যেকেই ভেবেছিল আবির যিশুর চরিত্রটা করবে আর যিশু থাকবে আবিরের ভূমিকায়। আসলে আবিরের একটা ভাল মানুষের প্রতিচ্ছবি রয়েছে। আমার মনে হয়েছিল, বা বলতে পারেন আমি চেয়েছিলাম দুটি চরিত্রের মধ্যে একটা জিওমেট্রিক্যাল সিমিল্যারিটি থাকবে, ভিস্যুয়ালের প্রয়োজনে। তাছাড়া দুইজনই যেহেতু মুখ্য চরিত্র, সেকারণে অভিনয়টা করাও জরুরি।
আরও পড়ুন, ‘জোনাকি’ রিভিউ: জোনাকিরা নিভে যায়, স্ফুলিঙ্গ হন ললিতারা
ভয় করছে না ? সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের থ্রিলারে তো বাঙালি অভ্যস্থ।
না। কারণ এটা আমার প্রথম থ্রিলার। দর্শক যদি পছন্দ করে তাহলে আরও দুটো এ ধরনের ছবি বানাতে পারব নইলে রমকম। আর তাছাড়া সৃজিত তো থ্রিলারটা ভাল বানায়। বলতে পারেন ওর জন্য আমার রাস্তাটা সহজ হয়ে গিয়েছে। সৃজিতই বাঙালি দর্শক তৈরি করেছে যারা এই ধরনের ছবি দেখতে ভালবাসে।
আরও পড়ুন, রাস্তায় স্টোনম্যান, কলকাতায় অলিতে গলিতে আতঙ্ক
বর্ণপরিচয় নামটা কেন?
এটা বললে ছবিটাই বলে দেওয়া হবে। তবে দুটো জিনিস বলতে পারি 'সাইলেন্স অফ দ্য ল্যাম্বস' এই নামের একটা ছবি থ্রিলার। কেউ কি ভাবতে পারে? সেকারণেই বর্ণপরিচয় নামটা থ্রিলারের জন্য আকর্ষণীয় হবে এটা বলা যায়। আর অন্য কারণটা হল গল্পের সঙ্গে একটা অদ্ভুত মিল আছে।
ভবিষ্যতে আরও থ্রিলার দেখতে পাব তো?
সেটা নির্ভর করছে মানুষের উপর। যদি মানুষ বলে তাহলে আমি আরও দুটো-একটা সুযোগ পাব। আর যদি বলে না মৈনাক তোমার থ্রিলার আমাদের অসহ্য লাগছে তুমি 'জেনারেশন আমি' আর 'ঘরে বাইরে আজ' বানাও তাহলে ফিরে যাব (হাসি)।