Celeb On Mock Drill Kolkata: পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের উপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার অর্থাৎ ৭ই মে, দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যে মহড়ার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। দেশের মোট ২৮৮টি এলাকায় মক ড্রিল করাবে। যোগ দেবে NCC-ও। বাজবে এয়ার সাইরেন। স্কুল, অফিস ও কমিউনিটি সেন্টারে হবে যুদ্ধকালীন ওয়ার্কশপ। অতর্কিত হামলা হলে নিকটবর্তী আশ্রয়স্থলের সন্ধান কী ভাবে পাওয়া যাবে তা শেখানো হবে এই ওয়ার্কশপে। যাতে স্যাটেলাইটে ধরা না পড়ে সেই জন্য মিলিটারি বেস, পাওয়ার প্লান্ট বা গুরুত্বপূর্ণ বিল্ডিংগুলি সুকৌশলে ঢেকে দেওয়া হবে।
বাজবে সাইরেন! আলো নিভে অন্ধকারের চাদরে ঢেকে যাবে চারিদিক! যদি সত্যিই যুদ্ধ শুরু হয় তাহলে নিজেদের প্রতিরক্ষা করবে জনগণ? মানুষকে সর্তক করতে বুধবার অর্থাৎ ৭ই মে, দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যে মহড়ার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বাংলার একাধিক এলাকাতে চলবে এই মহড়া। ব্ল্যাক আউট হলে কী করণীয়, সেই নিয়ে মক ড্রিল চলবে কলকাতাতেও। এইরকম পরিস্থিতিতে কতটা চিন্তিত টলিপাড়া? যুদ্ধের আবহে তাঁরা আতঙ্কিত নাকি একেবারে নির্ভীক? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে এই প্রসঙ্গে কথা বলতে যোগাযোগ করা হয়েছিল স্টুডিওপাড়ার কিছু সিনিয়ার স্টারদের সঙ্গে।
চন্দন সেন
এটা সম্পূর্ণ যুদ্ধ-যুদ্ধ হিড়িক জিইয়ে রাখার পন্থা। যেতেহু পহেলগাঁওয়ের কোনও প্রশ্নের উত্তর প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিতে পারছেন না তাই এটা একটা হাতিয়ার যাতে তাঁদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সফল হয়। এছাড়া আর কিছু নয়। বেশ কিছু দেশে কলেজ পড়ুয়াদের মিলিটারি ট্রেনিং নিতে হয়। ইজরায়েলে তো আছেই। এছাড়াও বিশ্বজুড়ে আরও অনেক জায়গায় রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সোভিয়েত রাশিয়া বিপদে পড়ার পর প্রথম শুরু করেছিল। তার আগে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় আরও অনেক দেশে চালু করা হয়েছিল। আমাদের দেশেও NCC-এর মাধ্যমে সেটা তৈরি করা হয়। সেই সঙ্গে বিশেষ রাজনৈতিক দল RSS তো লোকজনকে সেইভাবেই তৈরি করে। এই মক ড্রিল করে কিছু হবে না। আবারও বলছি এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
শ্রীলেখা মিত্র
এগুলো ইচ্ছেকৃত মানুষের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করার জন্য করা হচ্ছে। এগুলো রাজনৈতিক অভিসন্ধি। পহেলগাঁওয়ে হামলার সময় সেখানে কোনও সেনা ছিল না? এটা বিশ্বাসযোগ্য! এখনও যুদ্ধ লাগল না, তার আগেই একটা যুদ্ধের আবহ তৈরি করে মক ড্রিল করে ফেলা হচ্ছে। মানুষের মাথার মধ্যে জোর করে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা তো কেউই যুদ্ধ চাইছি না। তাহলে কেন এত যুদ্ধ-যুদ্ধ রব? আমি তো এই মক ড্রিল, যুদ্ধ শুরু হলে কী হবে এসব নিয়ে ভাবতেই চা না।
অপরাজিতা আঢ্য
যুদ্ধ কারও জন্যই ভাল নয়। আর সাধারণমানুষের জন্য একেবারেই নয়। কথাতেই তো আছে, রাজায়-রাজায় যুদ্ধ হয় উলু-খাগড়ার প্রাণ যায়। কোনও পরিস্থিতিতেই যুদ্ধ একেবারেই কাম্য নয়। জিনিসপত্রের দাম সবার আগে বেড়ে যাবে। অনেকরকমের বিধিনিষেধ আরোপ হবে। অনেক অসুবিধার মুখোমুখি হতে হবে। তবুও যদি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে নিয়েমগুলো মেনে নিতে হবে। গায়ের জোরে তো এর মিমাংসা করা সম্ভব নয়। মক ড্রিল হচ্ছে মানেই যুদ্ধ হবে এমনটা তো নয়। যদি হয় তাহলে তো একটা আলাদা নিময় নিশ্চয়ই জারি হবে। কী ভাবে মানুষ অফিস করবে, স্কুল-কলেজে যাবে এইসব বিষয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম জারি হবে। করোনাও তো আমাদের জীবনের যুদ্ধ ছিল। ফের যদি সেইরকম কোনও দিন দেখতে হয় তাহলে তখন যা হবে দেখা যাবে।
আরও পড়ুন শাকিব খানের পরই সঙ্গী সানি লিওনি-পদ্মিনী, বলিউডে বিগ ব্রেক পেয়েও কেন মন খারাপ রিয়ার?