/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/10/lead-47.jpg)
বাঁদিকে উপাসনা কোনিডেলার ছবি সোশাল মিডিয়া থেকে।
Upasana Konidela to PM Modi:শনিবার ১৯ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রকাশ করলেন মহাত্মা গান্ধীর প্রতি বলিউডের শ্রদ্ধাঞ্জলি-- একটি ভিডিও উপস্থাপনা, যেখানে অংশ নিয়েছেন বলিউডের আইকনেরা। এই অনুষ্ঠানে মূলত বলিউড তারকাদেরই সমাবেশ ছিল কিন্তু দক্ষিণের কোনও কিংবদন্তি তারকাকে দেখা যায়নি। দক্ষিণ থেকে একমাত্র প্রযোজক দিল রাজু উপস্থিত ছিলেন ওই অনুষ্ঠানে। এই প্রসঙ্গেই সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডলে তাঁর উষ্মা ব্যক্ত করেছেন উপাসনা কোনিডেল, যিনি সুপারস্টার চিরঞ্জীবীর পুত্রবধূ, অভিনেতা-প্রযোজক রাম চরণের স্ত্রী।
উপাসনা তাঁর টুইটার হ্যান্ডলে লিখেছেন, ''প্রিয় নরেন্দ্র মোদীজি, আমরা যাঁরা দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দা, তাঁরা আপনাকে শ্রদ্ধা করি এবং আপনি যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী, তা আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্বের। আপনার প্রতি সমস্ত শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আপনার বিশেষ অনুষ্ঠানে, সাংস্কৃতিক আইকন ও ফিল্ম জগতের প্রথম সারির ব্যক্তিত্বদের প্রতিনিধিত্ব শুধু হিন্দি ছবির জগতেই সীমাবদ্ধ ছিল এবং দক্ষিণী ছবির জগৎ সেখানে বঞ্চিত হল। গভীর দুঃখের সঙ্গেই আমার এই কথাগুলি জানালাম। আশা করি আমার কথার কোনও ভুল ব্যাখ্যা হবে না। জয় হিন্দ।''
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/10/7-2.jpg)
আরও পড়ুন: মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশতবর্ষে বলিউড তারকাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি! মুক্তি পেল বিশেষ ভিডিও
তামিল, তেলুগু, কন্নড় ও মালয়লাম-- এই চারটি ভাষার ছবি মিলিয়ে দক্ষিণী ছবির জগত। দক্ষিণী ছবির জগতের বাণিজ্যিক আয়তন কত বড়, তা চট করে বুঝে ফেলা যায় একটি ছোট্ট পরিসংখ্যান থেকে। দক্ষিণ ভারতীয় চেম্বার অফ কমার্স-এর তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণী ছবির জগত থেকেই আসে মোট বাণিজ্যিক আয়ের ৫০ শতাংশ। এর মধ্যে বিগত পাঁচ বছরে প্রভূত ব্যাপ্তি পেয়েছে তেলুগু ছবির জগত, বিশেষত 'বাহুবলী'-র মতো ফ্র্যাঞ্চাইজির কারণে। ছবির বাজেটের দিক থেকেও দক্ষিণী ছবিগুলি অনেক ক্ষেত্রেই এগিয়ে বলিউড ছবি থেকে। কোনও ইন্ডাস্ট্রির রেভিনিউ অর্থাৎ আয় বাড়লেই সেখানে বিনিয়োগ আরও বাড়বে এবং শিল্পী-কলাকুশলীদের পারিশ্রমিকও। আর এই দুটি বাড়লেই সেই ছবির জগৎ আরও প্রতিপত্তিশালী হবে।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/10/3-6.jpg)
বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই হল পিভিআর-এর সবচেয়ে বড় বাজার। সারা দেশের মোট আয়ের গড়ে যথাক্রমে ৩৮ শতাংশ ও ২৯ শতাংশ আসে এই দুটি শহর থেকে। এ হল শুধুমাত্র একটি মাল্টিপ্লেক্স চেনের পরিসংখ্যান। ওদিকে দক্ষিণ ভারতে সিঙ্গল স্ক্রিনের দাপটই বেশি। ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ সিনেমা প্রদর্শন হয় সিঙ্গল স্ক্রিনে সমগ্র। তবে দক্ষিণ ভারতীয়দের মধ্যে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার প্রবণতা উত্তর ভারতীয়দের চেয়ে অনেক বেশি। লাইভমিন্টের একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালের মধ্যে দক্ষিণ ভারতে মাল্টিপ্লেক্সের দাপট বাড়বে। অর্থাৎ বক্স অফিস সংগ্রহের পরিমাণ আরও বাড়তে চলেছে আগামী দুএক বছরে।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/10/inside1-16.jpg)
আরও পড়ুন: তমন্নাকে ২ কোটি টাকার হিরে উপহার উপাসনার
এই অবস্থায়, স্বাভাবিক ভাবেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বিশেষ অনুষ্ঠানে বলিউড তারকাদের উজ্জ্বল উপস্থিতি ও দক্ষিণী ছবির আইকনদের অনুপস্থিতি নিয়ে রীতিমতো অখুশি দক্ষিণী ছবির জগতের একটি প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য উপাসনা। কিংবদন্তি তারকা চিরঞ্জীবী-র পুত্রবধূ ও সুপারস্টার রাম চরণের স্ত্রী তো বটেই, তাছাড়াও উপাসনা কোনিডেলা প্রযোজনা সংস্থার অন্যতম কর্ণধার। তিনি তাঁর টুইটার হ্যান্ডল ছাড়াও অন্যান্য সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও এই বিষয়ে তাঁর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। উপাসনার টুইটটি অনেকেই সমর্থন করেছেন এবং দক্ষিণী ছবির প্রতিনিধি হিসেবে এই প্রশ্ন তোলায় প্রশংসিতও হয়েছেন উপাসনা।