/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/02/cats-2025-08-02-11-43-33.jpg)
মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা
CM Vijayan On The Kerala Story Wins National Award: শুক্রের সন্ধ্যায় ঘোষিত হয়েছে ৭১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের তালিকা। জাতীয় মঞ্চে বাংলার জয়জয়কার। বাংলা সিনেমা থেকে বাঙালি পরিচালক, বাঙালি শিল্পী সহ মুম্বই নিবাসী বাঙালি অভিনেত্রী বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন দ্য কেরাল স্টোরি খ্যাত বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেন।
৭১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে দ্য কেরালা স্টোরি সেরা পরিচালক ও সেরা সিনেমাটোগ্রাফির পুরস্কার জিতেছে। কিন্তু, সেই প্রাপ্তিতে রেগে লাল কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, 'এই পুরস্কার বিতরণ বিতর্কিত একটি ছবিকে বৈধতা দিয়েছে। এই সিনেমা বিভাজনের আদর্শে নির্মিত এবং কেরালার ভাবমূর্তিকে কলুষিত করেছে।'
আরও পড়ুন 'সকল মায়েদের উৎসর্গ করলাম', ৩০ বছরে প্রথম জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্তিতে কেন এই বার্তা রানির?
সেরা পরিচালক হিসেবে সুদীপ্ত সেন এবং প্রশান্তনু মহাপাত্র সেরা সিনেমাটোগ্রাফির জন্য জাতীয় পুরস্কার পান। তবে বিজয়নের বক্তব্য অনুযায়ী, 'এই ধরনের একটি চলচ্চিত্রকে সম্মান জানিয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি স্পষ্টতই সেই বিভাজনমূলক আদর্শকে বৈধতা দিল। কেরালাকে একটি নেতিবাচক জায়গা হিসেবে তুলে ধরে এই ছবি সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর প্রেক্ষাপটে নির্মিত।'
ক্ষোভ উগরে দিয়ে আরও বলেন, 'কেরালা বরাবরই সাম্প্রদায়িক ঐক্য ও সহনশীলতার প্রতীক হিসেবে পরিচিত। এই রাজ্য ও রাজ্যবাসীকে অপমান করা হয়েছে। কেবল মালয়ালিরাই নয় যারা গণতন্ত্র এবং সংবিধানের মূল্যবোধে বিশ্বাস করেন প্রত্যেকের প্রতিবাদী হয়ে ওঠা উচিত।' উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ মুক্তির আগেই বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল।
By honouring a film that spreads blatant misinformation with the clear intent of tarnishing Kerala’s image and sowing seeds of communal hatred, the jury of the #NationalFilmAwards has lent legitimacy to a narrative rooted in the divisive ideology of the Sangh Parivar. Kerala, a…
— Pinarayi Vijayan (@pinarayivijayan) August 1, 2025
একটি বিশেষ গোষ্ঠীর নারীদের বলপূর্বক ধর্মান্তরণ ও ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর মতো জঙ্গি সংগঠনের হাতে চরমপন্থায় জড়িয়ে পড়ার ঘটনা অবলম্বনে গল্প বুনেছেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন। এই কাহিনিকে "অভিনয়-ভিত্তিক ভুয়া প্রচার" বলেও দাবি করেছিল সিপিআই(এম)-নেতৃত্বাধীন কেরালা সরকার। বহু জায়গায় সিনেমার সম্প্রচার বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। পরিচালক সহ কলাকুশলীরা হুমকিও পেয়েছেন। তবুও সমালোচনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দ্য কেরালা স্টোরি বিশ্বব্যাপী ৩০০ কোটিরও বেশি টাকার ব্যবসা করেছিল।
আরও পড়ুন বিতর্কের পরেও ১০০ কোটি ছাড়িয়ে! রমরমা বাজার 'The Kerala Story-র'