/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/02/cats-2025-08-02-11-03-33.jpg)
রানির বিশেষ বার্তা
71st National Award: ৭১ তম জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে শাহরুখের সঙ্গে প্রথমবার জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত হলেন বঙ্গকন্যা রানি মুখোপাধ্যায়। মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে-তে দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে এই পুরস্কার বিশেষ প্রাপ্তি। প্রসঙ্গত, শাহরুখ-রানি দুজনেই একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন, 'কুছ কুছ হোতা হ্যায়', 'চলতে চলতে', 'কভি আলবিদা না কহেনা'-র মতো একসে বরকর এক হিট ছবি দর্শককে উপহার দিয়েছেন।
১৯৯৬ সালে বাংলা ছবি বিয়ের ফুল দিয়ে প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন রানি মুখোপাধ্যায়। রাজা কি আয়েগি বারাত দিয়ে বলিউডে অভিষেক। পুরস্কার পাওয়ার পর তিনি এক আবেগঘন বিবৃতিতে রানি বলেন, 'মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়ে আমি আপ্লুত। এটা আমার ৩০ বছরের কেরিয়ারে প্রথম জাতীয় পুরস্কার। এই সম্মান আমি বিশ্বজুড়ে থাকা সমস্ত মায়েদের উৎসর্গ করছি। আমি কৃতজ্ঞ জাতীয় পুরস্কার জুরিদের প্রতি যাঁরা আমার এই কাজকে সম্মানিত করেছেন।'
আরও বলেন, 'এই মুহূর্তটি আমি পুরো টিমের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। সিনেমার প্রযোজক নিকিল আডবাণী, মনীষা আডবাণী, মধু ভোজওয়ানি সহ আমাদের পরিচালক অসীমা চিব্বার এবং এই বিশেষ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি মানুষের সঙ্গে যাঁরা মাতৃত্বের লড়াই ও দৃঢ়তা সিনেমার পর্দায় উদযাপন করেছেন। এই জাতীয় পুরস্কার আমার ৩০ বছরের কর্মজীবনের স্বীকৃতি, আমার অভিনয়শিল্পের প্রতি নিষ্ঠা যার সঙ্গে রয়েছে আত্মিক যোগ এবং ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রতি আমার ভালোবাসার প্রমাণ।'
আরও পড়ুন মর্দানি ২-র পাঁচ বছর পূর্তিতে বিরাট ঘোষণা, আসছে মর্দানি ৩, মুক্তি কবে?
রানির সংযোজন, 'আমার এই জাতীয় পুরস্কারটি বিশ্বের সকল অসাধারণ মায়েদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করছি। একজন মায়ের ভালবাসা ও তাঁর সন্তানের জন্য যে লড়াইয়ের মনোবল তা সত্যিই অতুলনীয়। ভারতীয় মায়ের গল্প, যিনি তাঁর সন্তানের জন্য একটি দেশের সিস্টেমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন সেই বিষয়টা সত্যিই আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। একজন মায়ের ভালবাসা নিঃস্বার্থ আর সেটা আমি উপলব্ধি করেছি যখন নিজে মা হয়েছি। তাই এই জয়, এই সিনেমা সবকিছুই আমার জন্য খুব আবেগঘন ও ব্যক্তিগত।'
আরও পড়ুন মুখুজ্জে পরিবারের ঐতিহ্য বিলীন, বাপঠাকুরদা আমলের সম্পত্তি বেচে প্রশ্নের মুখে কাজল-রানি!
লাস্ট বাট নট ইন লিস্ট, রানির অনুভূতি, 'একজন মা তাঁর সন্তানের জন্য পাহাড়ও সরিয়ে দিতে পারেন। এই পৃথিবীকে আরও সুন্দর করে তুলতে জীবনের শেষ চেষ্টা চালিয়ে যান। এই সিনেমা সেই বার্তাই দেওয়ার চেষ্টা করেছে।”