Advertisment

কে-পপ তারকার আত্মহত্যা, নেপথ্য কারণ নিয়ে জল্পনা

কোরিয়ান পপ মিউজিক দুনিয়া এশিয়ায় বেশ জনপ্রিয় কিন্তু এরই নেপথ্যে রয়েছে অন্ধকার জগৎ। এ বছরের শুরুর দিকে বেশকিছু কে-পপ তারকা এবং ইন্ডাস্ট্রির বড় প্রযোজকদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে জুয়া এবং মধুচক্রের সঙ্গে যোগাযোগের প্রশ্ন তোলে পুলিশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
goo hara

২৪ নভেম্বর মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় কে-পপ স্টার গু হারাকে। ফোটো- ইনস্টাগ্রাম

এক মাসের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিতীয় কে-পপ তারকার আকস্মিক মৃত্যুর পর জোর দেওয়া হচ্ছে দেশের সাইবার ক্রাইমের উপর। কীভাবে বিভিন্ন ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং সাইবার বুলিং তরুণ-তরুণীদের হতাশ করে দেয়, সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। সাইবার হিংসাকে মারাত্মক অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করছে পুলিশ এবং জনগণকে শিক্ষিত করার বিভিন্ন কোর্স আনছে যাতে অনলাইনে আক্রমণের শিকার না হয় বা শিকার হলে তার মোকাবিলা করতে পারে।

Advertisment

গত বছর প্রায় দেড় হাজার অভিযোগ হয়েছে কিন্তু বলে অভিযোগগুলি পেয়েও সেভাবে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে বোঝা গিয়েছে এই কাজে জড়িয়ে একটি ক্ষুদ্র অংশই এবং পুলিশ বলছে, সাইবার ক্রাইম দিনের পর দিন বাড়তে থাকলেও ভুক্তভোগীদের কোনও নিরাপত্তা নেই এটাই সবথেকে বিস্ময়কর।

আরও পড়ুন, মানালির কনকনে ঠাণ্ডায় ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-র শুটিং করছেন অমিতাভ

সিওল মেট্রোপলিটন পুলিশ এজেন্সির সাইবার অপরাধ তদন্তকারী জিয়ন মিন-সু বলেছেন, "শারীরিক হিংসার থেকে এটি সহজ, কারণ সেখানে অন্তত আক্রান্ত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার উপায় থাকে কিন্তু সাইবার হিংসায় কোনও নিয়ামক নেই।''

২৪ নভেম্বর কে-পপ গায়িকা গু হারা-কে মৃত অবস্থায় পাওয়ার যায় তাঁর বাড়িতে এবং পুলিশ তাঁর হাতের লেখা চিঠি উদ্ধার করে যেখানে মৃত্যুর কারণ হিসাবে হতাশার উল্লেখ করেছেন গায়িকা। লোকাল মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, ছেলেদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে অনলাইনে আক্রমন করা হয় তাঁকে।

আরও পড়ুন, অভিনয় জীবনে ইতি! বিয়ে করলেন টেলি-অভিনেত্রী তানিয়া

সাইবার বুলিং নিয়ে প্রতিবাদ করেন গু। মে মাসে তাঁকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ঘটনার একমাস পর, অনলাইনে অপ্রীতিকর কমেন্টের মোকাবিলা করতে করতে হতাশায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। কে-পপ স্টার সুলির বন্ধু ছিলেন গু। সুলিকেও অক্টোবর মাসে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়, তিনিও সাইবার বুলিং নিয়ে সবর হয়েছিলেন।

কোরিয়ান পপ মিউজিক দুনিয়া এশিয়ায় বেশ জনপ্রিয় কিন্তু এরই নেপথ্যে রয়েছে অন্ধকার জগৎ। এ বছরের শুরুর দিকে বেশকিছু কে-পপ তারকা এবং ইন্ডাস্ট্রির বড় প্রযোজকদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে জুয়া এবং মধুচক্রের সঙ্গে যোগাযোগের প্রশ্ন তোলে পুলিশ।

Music
Advertisment