শনিবার থেকেই বন্ধ টলিপাড়ার সব সিরিয়ালের শুটিং। এখনও পর্যন্ত টানাপোড়েন অব্যাহত প্রযোজক ও কলাকুশলীদের। এবং প্রযোজক বনাম আর্টিস্টদের এই চাপানউতোরে সমস্যায় পড়েছেন দর্শকরা। সোমবার থেকে রিপিট টেলিকাস্ট দেখতে হচ্ছে তাঁদের।
এদিকে অন্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে নেটপাড়ায়। প্রথম দিন খবরটা আসার পরেই নেটিজেনদের একাংশ বলতে শুরু করেছেন, তাঁরা প্রাত্যহিক সান্ধ্যকালীন বিরক্তির হাত থেকে রক্ষা পেলেন। আবার কারও মতে, যা সব বিষয়বস্তু, তাতে সিরিয়াল বন্ধ হয়ে ভালই হয়েছে। কেউ কেউ তো মিমও বানিয়ে ফেলেছেন।
এবার নেটিজেনদের ট্রোলের উত্তরে ফেসবুক ওয়ালে গর্জে উঠেছেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। নিজেদের মতো করেই প্রতিবাদ জানাতে থাকছেন তাঁরা। সুদীপ্তা চক্রবর্তী, অনিন্দিতা রায়চৌধুরি, রিমঝিম মিত্রর মতো অভিনেত্রীরা মুখ খুলেছেন এর বিরূদ্ধে।
আরও পড়ুন: অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে বিপর্যস্ত টলিপাড়া, বন্ধ শুটিং
আরও পড়ুন, জট কাটলনা বাংলা সিরিয়ালের, সমাধানের চেষ্টায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
তবে শুধু যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াই পাওয়া গেছে নেটিজেনদের থেকে তা নয়। অনেকে কথা বলছেন এত মানুষের কাজ অনিশ্চয়তার মুখে পড়া নিয়ে। কলাকুশলী থেকে টেকনিশিয়ান প্রত্যেকের কাজ বন্ধ এই প্রযোজক-আর্টিস্ট তরজায়।
একবার দেখে নেওয়া যাক কী নিয়ে সমস্যা:
প্রতিদিন কাজ করেও প্রাপ্যের সময়েই যত টালবাহানা। মিলছে না ওভারটাইমও। সেই নিয়েই এবার সরব সিরিয়ালের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। বিষয়টি নিয়ে টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে ১৮ অগাস্ট আলোচনা বসলেও তাতে কোনও সুরাহা পাওয়া যায়নি। মেমোরানডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং প্রথম মাস থেকেই মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করছিল সিনে ফেডারেশন। ১৫ অগাস্ট ছুটি থাকায় টাকা পাননি তাঁরা, তবে ১৭ তারিখ হয়ে গেলেও সেই বকেয়া দেওয়া হয় নি। এরপরই ফ্লোরে অভিনেতারা মেকআপ করে রেডি থাকলেও চেক না পেলে তাঁরা কাজ শুরু করবেন না, সাফ জানিয়ে দেন। বন্ধ হয়ে যায় শুটিং। দুপক্ষেরই দাবি, অপর পক্ষের জন্যই বন্ধ হয়েছে কাজ। ফ্লোরে অভিনেতারা মেকআপ করে রেডি থাকলেও চেক না পেলে তাঁরা কাজ শুরু করবেন না, সাফ জানিয়ে দেন। এরপরেই বন্ধ হয়ে যায় শুটিং। দুপক্ষেরই দাবি, অপর পক্ষের জন্যই বন্ধ হয়েছে কাজ।
সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে ফোডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ানস এ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া। তাদের অভিযোগ, প্রযোজক সংগঠন WATP মৌ-এ স্বাক্ষরিত কোন চুক্তিই মানছে না। এর পাল্টা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন প্রযোজকরা। তাদের দাবি, কোনও মৌ স্বাক্ষরিত হয়নি বলেও দাবি করেন তারা। যেটা হয়েছিল তা ‘মিনিটস অফ দ্য মিটিং’। যেদিন থেকে শিল্পীরা শুটিং বয়কট করেছেন সেদিন থেকেই সেই মধ্যস্থতা বাতিল হয়ে যায়। WATP আর্টিস্ট ফোরামের সঙ্গে আলোচনাতেও বসতে রাজি। কিন্তু সমস্যা সমাধানের জন্য নিরপেক্ষ মতামত প্রয়োজন, যা পাওয়া যাচ্ছে না।
এসমস্যা মিটতে দেরী হবে বলেই ধারণা, তবে সোশাল যুদ্ধ এ সমস্যায় নয়া সংযোজন।