Manoj Mitra Death : বাংলা নাট্যজগতে আজ নক্ষত্রপতন। শুধু নাটক নয়, চলচ্চিত্র জগৎও হারাল আরও এক অভিভাবককে। মঙ্গলবার সকালেই মন খারাপ করা খবর। প্রয়াত কিংবদন্তী অভিনেতা ও প্রবীণ নাট্যকার মনোজ মিত্র। তাঁর অমায়িক ব্যবহার, প্রাণোচ্ছল হাসি সকলের মন ভালো করে দিত। দেশ-বিদেশেও নাটকের কাজ করেছেন। মনোজ মিত্রের জীবনাবসানের খবরে মন ভারাক্রান্ত টলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা দীপঙ্কর দে-র। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইনের তরফে দীপঙ্কর দে-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মনোজ মিত্রের সঙ্গে কাটানো সময়ের স্মৃতিতে ডুব দিলেন দীপঙ্কর দে।
তাঁর কথায়, 'মানুষটা বড্ড ভালো ছিল। অত্যন্ত ভদ্র ও নির্বিবাদী। ওঁর সঙ্গে অনেক কাজ করেছি। দেশে-বিদেশে একসঙ্গে নাটকের কাজে গিয়েছি। ওঁর লেখা নাটকেও কাজ করেছি। লেখায় একটা সেন্স অফ হিউমার থাকত। প্রচ্ছন্ন একটা শ্লেষ থাকত। মানুষকে ভীষণ ভালোবাসতেন। অত্যন্ত খাঁটি একজন বাঙালি মানুষ ছিলেন উনি। চেতনাবোধ ছিল প্রবল। ভদ্র ও সুরসিক মানুষের একটি আদর্শ উদাহরণ মনোজ বাবু'।
দীপঙ্কর দে র সংযোজন, নাটক থেকে রাজনীতি, সবেতেই ছিল সম্যক ধারণা। দেশ-বিদেশের রাজনীতি নিয়ে বিস্তর জ্ঞান ছিল ওঁর। বুদ্ধিদীপ্ত মন্তব্যগুলো শুনতে খুব ভাল লাগত। গল্প করতে ভীষণ ভালোবাসতেন। মজার কথা বলে সকলকে হাসাতেন। 'বাঞ্ছারামের বাগান'- এ অনেকদিন শুটিংয়ের সময় আউটডোরে ছিলাম। ওঁর মৃত্যুটা খুবই বেদনাদায়ক'।
আরও পড়ুন : উপরে জমজমাট থিয়েটার গ্রুপ তৈরি হচ্ছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেতে চাই: মানসী সিনহা
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরেই অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। হৃদজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন মনোজ মিত্র। কয়েক মাস আগেই এই প্রবীণ শিল্পীর পেসমেকারও বসেছে। সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে একটি নতুন নাটক লেখার কাজ শুরু করেন। পুজোর পর নাটকটি মঞ্চস্থ করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই ফের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিলেন। বারংবার অসুস্থতার সঙ্গে লড়াইয়ে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন মনোজ মিত্র।
আরও পড়ুন : 'ভাল শিল্পীকে হারিয়ে ফেললাম', মনোজের মৃত্যুতে স্মৃতিচারণায় সাবিত্রী থেকে শতাব্দী, ঋতুপর্ণা