মঙ্গলের সকালে মন ভারাক্রান্ত করা একটি খবর। অভিনয় থেকে নাটকের দুনিয়া, পুরোটাই যেন আজ কেমন শূন্য! বাঞ্ছারামের বাগান অভিভাবককে হারিয়ে একেবারে জৌলুসহীন! কিংবদন্তী শিল্পী মনোজ মিত্রের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বিনোদনজগৎ। তাঁর স্মৃতিচারণায় টলি ইন্ডাস্ট্রির স্টার থেকে নাট্যজগতের ব্যক্তিত্বরা। মনোজ মিত্রের সঙ্গে কাজ না করলেও তাঁর সঙ্গে অনেক স্মৃতিমেদুর মুহূর্ত রয়েছে বাংলা সিনেমার বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মানসী সিনহার। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের জন্য কলম ধরলেন অভিনেত্রী ও পরিচালক মানসী সিনহা।
'আমার মা মণিদীপা রায় নাটকের দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাই ছোট থেকেই মায়ের হাত ধরে গুরুজনদের সঙ্গে যোগাযোগ হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। মনোজ মামা তাঁদের মধ্যে একজন। আমি সরাসরি মনোজ মামার ডিরেকশনে কাজ করিনি। কিন্তু, মনোজ মামার লেখা বহু নাটকে আমি অভিনয় করেছি। আমি খুব গর্বের সঙ্গে বলতে পারি একটা নাটক যার নাম দর্পনে শরৎশশী যা নিয়ে বোর্ড শো হয়েছিল। লাবুদি অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু, তার আগে দর্পনে শরৎশশী দেশ পত্রিকায় পাবলিশ হয়। তারপরই সেটা মঞ্চস্থ হয়। স্বর্গত সুনীল মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের নির্দেশনায় আমি অভিনয় করেছিলাম। মনোজ মামা দেখতে এসেছিলেন'।
'উনি দর্শকাসনে ছিলেন। সেটা আমার পরম পাওনা। আমার মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করেছিলেন। এটা আমার জীবনের বিরাট পাওনা। আমাকে বলেছিলেন, মায়ের মুখ উজ্জ্বল করছিস। পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলাম। ময়ূরীর সঙ্গেও অনেকদিনের বন্ধুত্ব। কত পুরনো কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। ছোটবেলাগুলো দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে'।
আরও পড়ুন : 'ভাল শিল্পীকে হারিয়ে ফেললাম', মনোজের মৃত্যুতে স্মৃতিচারণায় সাবিত্রী থেকে শতাব্দী, ঋতুপর্ণা
'মায়ের কাছে গল্প শুনতাম, বড় হও বুঝবে। এখন সত্যিই মায়ের সেই কথা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। ছোটবেলা হারিয়ে যাওয়া কী জিনিস! মনোজ মামার আত্মার শান্তি কামনা করি। উপরে অনেকের সঙ্গেই দেখা হচ্ছে। উপরেও একটা জমজমাট থিয়েটার টিম তৈরি হচ্ছে। অপেক্ষায় আছি, যত দ্রুত সেখানে পৌঁছতে পারি'।
আরও পড়ুন : শূন্য 'বাঞ্ছারামের বাগান', না ফেরার দেশে প্রবাদপ্রতীম শিল্পী মনোজ মিত্র