সোশ্যাল মিডিয়া আজ প্রত্যেকের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। মাঝেমাঝেই এটি হয়ে ওঠে বিষাক্ত ও ক্লান্তিকর একটি জায়গা। এখানে অনেকেই মুখ ঢেকে, নাম লুকিয়ে ঘৃণা ছড়াতেই ভালবাসেন। বিশেষত সেলিব্রিটিরাই এই ট্রোলদের প্রধান টার্গেট। যদিও অধিকাংশ তারকাই এই নেতিবাচকতাকে উপেক্ষা করেই চলেন, টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং ‘বিগ বস’ খ্যাত দেবলীনা ভট্টাচার্য এবার চুপ থাকেননি- কারণ টার্গেট ছিল তাঁর ছোট্ট সন্তান, সাত মাসের জয়।
সম্প্রতি দেবলীনা তাঁর ছেলের কিছু হৃদয়গ্রাহী মুহূর্ত ইনস্টাগ্রামে ভাগ করে নিয়েছিলেন। একটি পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, "সাত মাস ধরে আমার হৃদয় শরীরের বাইরে ধরে রেখেছি। এই ছোট ছোট আঙুল, স্নিগ্ধতার ভেজা রাত, প্রতিটি মুহূর্ত যেন জাদু। তুমি আমার পৃথিবীকে এক মিষ্টি বিশৃঙ্খলায় বদলে দিয়েছো। আমি এর থেকে কখনই পালাতে চাই না।"
Rabi Ghosh: সত্যিই 'হীরক রাজার দেশে' বাচ্চাদের ছবি? সত্যজিৎ রায়ের ক্লা…
এই ধরনের পোস্টে সাধারণত মায়ের ভালোবাসা ও দর্শকের স্নেহের স্রোত বইয়ে দেয়। তবে, আশ্চর্যের বিষয় কিছু ব্যক্তি এই নিস্পাপ শিশুর গায়ের রঙ নিয়ে কুরুচিকর, বর্ণবাদী এবং ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেন। দেবলীনা প্রথমে অবাক হন, চুপ থাকেন। কিন্তু,পরে রেগে যান। শেষমেশ ঠিক করেন, চুপ থাকবেন না। তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সরাসরি ট্রোলারদের স্ক্রিনশট দিয়ে নাম প্রকাশ করেন এবং তাঁদের মুখের ওপর জবাব দেন।
Saiyaara Writer: পরিবারের ভয়াবহ ঘটনা চমকে দেয় বলিউডকে, খুনোখুনির ইতিহাস পেরিয়ে 'সাইয়ারা'র গল্প লিখলেন কে?
একজন তথাকথিত ‘সঙ্গীতশিল্পী’ যখন তাঁর ছেলেকে "ছোট্ট আতঙ্কবাদী" বলে অপমান করেন, দেবলীনা লেখেন, "এই তথাকথিত শিল্পী নিজের পরিচয় লুকিয়ে রাখেন। কিন্তু অন্যের পোস্টে এসে নিজের নিম্নমানের মানসিকতার পরিচয় দেন। ঈশ্বর যেন তাঁর আশপাশের কুকুর আর মিউজিশিয়ানদের রক্ষা করেন।"
অন্য এক ‘ইঞ্জিনিয়ার’-এর কটু মন্তব্যের পাল্টা তিনি লেখেন, "এত টাকা খরচ করে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে কী লাভ, যদি জীবনের সঙ্গে চিন্তাধারাও উন্নত না হয়? এঁর মতো ইঞ্জিনিয়ার থাকলে ভবিষ্যতের দিকটা ভয়ংকর দেখায়।" সবচেয়ে দুঃখজনক ছিল এক নারী, যিনি নিজেও মা, তাঁর পক্ষ থেকে আসা বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য। দেবলীনা কড়া বার্তা দেন, "তিনি নিজেই একজন মা। আমি শুধু প্রার্থনা করি, তাঁর সন্তান যেন কখনো তাঁরই এই বিষাক্ত মানসিকতার শিকার না হয়।"
Devoleena Bhattacharjee: দেবলীনার দুধের সন্তানকে 'আতঙ্কবাদী' বলে ভয়ঙ্কর কটাক্ষ, বর্ণবাদী মন্তব্যে বিস্ফোরক জবাব অভিনেত্রীর
অধিকাংশ তারকাই এই নেতিবাচকতাকে উপেক্ষা করেই চলেন, টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং ‘বিগ বস’ খ্যাত দেবলীনা ভট্টাচার্য এবার চুপ থাকেননি- কারণ টার্গেট ছিল তাঁর ছোট্ট সন্তান, সাত মাসের জয়।
অধিকাংশ তারকাই এই নেতিবাচকতাকে উপেক্ষা করেই চলেন, টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং ‘বিগ বস’ খ্যাত দেবলীনা ভট্টাচার্য এবার চুপ থাকেননি- কারণ টার্গেট ছিল তাঁর ছোট্ট সন্তান, সাত মাসের জয়।
সন্তানের খাতিরে যা বললেন দেবলীনা...
সোশ্যাল মিডিয়া আজ প্রত্যেকের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। মাঝেমাঝেই এটি হয়ে ওঠে বিষাক্ত ও ক্লান্তিকর একটি জায়গা। এখানে অনেকেই মুখ ঢেকে, নাম লুকিয়ে ঘৃণা ছড়াতেই ভালবাসেন। বিশেষত সেলিব্রিটিরাই এই ট্রোলদের প্রধান টার্গেট। যদিও অধিকাংশ তারকাই এই নেতিবাচকতাকে উপেক্ষা করেই চলেন, টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং ‘বিগ বস’ খ্যাত দেবলীনা ভট্টাচার্য এবার চুপ থাকেননি- কারণ টার্গেট ছিল তাঁর ছোট্ট সন্তান, সাত মাসের জয়।
সম্প্রতি দেবলীনা তাঁর ছেলের কিছু হৃদয়গ্রাহী মুহূর্ত ইনস্টাগ্রামে ভাগ করে নিয়েছিলেন। একটি পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, "সাত মাস ধরে আমার হৃদয় শরীরের বাইরে ধরে রেখেছি। এই ছোট ছোট আঙুল, স্নিগ্ধতার ভেজা রাত, প্রতিটি মুহূর্ত যেন জাদু। তুমি আমার পৃথিবীকে এক মিষ্টি বিশৃঙ্খলায় বদলে দিয়েছো। আমি এর থেকে কখনই পালাতে চাই না।"
Rabi Ghosh: সত্যিই 'হীরক রাজার দেশে' বাচ্চাদের ছবি? সত্যজিৎ রায়ের ক্লা…
এই ধরনের পোস্টে সাধারণত মায়ের ভালোবাসা ও দর্শকের স্নেহের স্রোত বইয়ে দেয়। তবে, আশ্চর্যের বিষয় কিছু ব্যক্তি এই নিস্পাপ শিশুর গায়ের রঙ নিয়ে কুরুচিকর, বর্ণবাদী এবং ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেন। দেবলীনা প্রথমে অবাক হন, চুপ থাকেন। কিন্তু,পরে রেগে যান। শেষমেশ ঠিক করেন, চুপ থাকবেন না। তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সরাসরি ট্রোলারদের স্ক্রিনশট দিয়ে নাম প্রকাশ করেন এবং তাঁদের মুখের ওপর জবাব দেন।
Saiyaara Writer: পরিবারের ভয়াবহ ঘটনা চমকে দেয় বলিউডকে, খুনোখুনির ইতিহাস পেরিয়ে 'সাইয়ারা'র গল্প লিখলেন কে?
একজন তথাকথিত ‘সঙ্গীতশিল্পী’ যখন তাঁর ছেলেকে "ছোট্ট আতঙ্কবাদী" বলে অপমান করেন, দেবলীনা লেখেন, "এই তথাকথিত শিল্পী নিজের পরিচয় লুকিয়ে রাখেন। কিন্তু অন্যের পোস্টে এসে নিজের নিম্নমানের মানসিকতার পরিচয় দেন। ঈশ্বর যেন তাঁর আশপাশের কুকুর আর মিউজিশিয়ানদের রক্ষা করেন।"
অন্য এক ‘ইঞ্জিনিয়ার’-এর কটু মন্তব্যের পাল্টা তিনি লেখেন, "এত টাকা খরচ করে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে কী লাভ, যদি জীবনের সঙ্গে চিন্তাধারাও উন্নত না হয়? এঁর মতো ইঞ্জিনিয়ার থাকলে ভবিষ্যতের দিকটা ভয়ংকর দেখায়।" সবচেয়ে দুঃখজনক ছিল এক নারী, যিনি নিজেও মা, তাঁর পক্ষ থেকে আসা বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য। দেবলীনা কড়া বার্তা দেন, "তিনি নিজেই একজন মা। আমি শুধু প্রার্থনা করি, তাঁর সন্তান যেন কখনো তাঁরই এই বিষাক্ত মানসিকতার শিকার না হয়।"