/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/17/dude-2025-10-17-16-02-47.jpg)
কেমন হল এই ছবির রিভিউ?
Dude Movie Review: প্রদীপ রঙ্গনাথনের সিনেমা সবসময়ই একটু অন্যরকম। তাঁর অভিনয়, এক্সপ্রেশন, আর স্ক্রিন প্রেজেন্স একেবারে এক নতুন প্রজন্মের দর্শকদের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করে। পরিচালক, তারপর অভিনেতা হওয়া প্রদীপ নিজের এক স্বতন্ত্র স্টাইল গড়ে তুলেছেন। যেখানে হাস্যরসের মধ্যে লুকিয়ে থাকে এক টুকরো জীবনের অগোছালো বাস্তবতা। 'ডুড' সেই ধারারই পরবর্তী অধ্যায়, যেখানে হাসির সঙ্গে মিশে আছে আবেগ, বিভ্রান্তি, আর একটু বিশৃঙ্খলা।
ছবির প্রথমার্ধে 'ডুড' দুর্দান্ত গতি নিয়ে এগোয়। প্রদীপের অনবদ্য কমিক টাইমিং, শরীরী ভাষা এবং নির্ভেজাল এনার্জি দর্শককে হাসাবেই। পরিচালক কীর্তিশ্বরণ এখানে দক্ষতার সঙ্গে দৃশ্যগুলি সাজিয়েছেন। প্রতিটি দৃশ্য যেন প্রদীপের উপস্থিতিতে জীবন্ত হয়ে ওঠে। বিশেষ করে প্রদীপ ও মমিতা বৈজুর যুগল দৃশ্যগুলি প্রাণবন্ত, মজাদার এবং আকর্ষণীয়। তাদের কেমিস্ট্রি ছবির আবেগময় দিকটিকে অনেকটাই বাঁচিয়ে রাখে।
Smita Patil: বৃষ্টিতে ঘনিষ্ঠ নাচ নাচতে গিয়ে ঘোর অস্বস্তি! 'আমি পারব না', কেন আপোষ করতে পারলেন না স্মিতা?
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, দ্বিতীয়ার্ধে ছবির গতি থেমে যায়। গল্পের ভিতর যে শক্তিশালী আবেগের সম্ভাবনা ছিল, তা মেলোড্রামার চাপে দুর্বল হয়ে পড়েছে। শরৎকুমারের চরিত্রও সমানভাবে অসম্পূর্ণ। তাঁর ট্র্যাক গল্পে গভীরতা আনতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে শেষের দিকে ‘ডুড’ যেন নিজেকেই হারিয়ে ফেলে। তবুও, ছবির রেসকিউ পয়েন্ট নিঃসন্দেহে প্রদীপ রঙ্গনাথন। তাঁর স্বতঃস্ফূর্ততা, হাস্যরসের বোধ, এবং এক অদ্ভুত অনায়াস আকর্ষণ ছবিটিকে টেনে নিয়ে গিয়েছে বহুদূর। অন্যদিকে, মমিতা বৈজুর সংযত, কিন্তু প্রভাবশালী।
Hina Khan-Sonali Bendre: ক্যানসার রোগীদের জন্য বিরাট দান, কেঁদে ভাসালেন হিনা - সোনালী
‘ডুড’ অনেকটা ‘লাভ টুডে’-এর আবহে তৈরি, তবে এর আবেগের গভীরতা ‘ড্রাগন’-এর চেয়ে খানিক কম। আধুনিক সম্পর্কের জটিলতা আর আত্ম-অন্বেষণের গল্প হিসেবে এটি দেখার মতো হলেও, দুর্বল লেখনী ও অসম গল্প বলার কারণে ছবিটি মাঝপথে গতি হারায়। শেষমেশ, ‘ডুড’ একটি ওয়াচেবল, কিন্তু অসম্পূর্ণ মুভি। যেটি হালকা বিনোদন দেয়, হাসায়, কিন্তু হৃদয়ে খুব বেশি দাগ কাটতে পারে না।
ছবির নামঃ ডুড
পরিচালনা: কীর্তিশ্বরণ
অভিনয়: প্রদীপ রঙ্গনাথন, মমিতা বৈজু, আর. শরৎকুমার, ঋধু হারুন, রোহিনী
রেটিং: ২.৫ / ৫