/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/28/khkkj-2025-08-28-14-51-09.jpg)
আটক মাহিয়া মাহি
Bangladeshi ticktoker Mahiya Mahi Detained: পদ্মাপাড়ের বহুচর্চিত টিকটকার মাহিয়া মাহি। আপত্তিকর কনটেন্ট তৈরির জন্য নেটিজেনদের রোষানলেও পড়েছেন। এবার তাঁর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২৭ আগস্ট বুধবার বরিশাল নগরীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করা হয়েছে মাহিয়া মাহিকে। বুধবার গভীর রাতে নগরীর পোর্ট রোড এলাকার ‘হোটেল রোদেলা’ থেকে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ তাকে আটক করে তাঁকে। সঙ্গে ছিলেন আরও দুজন। তাঁদের মধ্যে একজন পুরুষ ও অপরজন মহিলা। প্রত্যেককেই আটক করা হয়েছে বলে খবর বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে। বহুল সমালোচিত টিকটকার মাহিয়া মাহিকে পুরুষ সঙ্গীসহ আটকের খবর পেয়েই ছুটে আসেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল মাহিয়া মাহিকে আটক করার সেই মুহূর্তও। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে হোটেলের সামনে তাঁদের ভিডও করার সময় স্থানীয় সাংবাদিকের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন মাহিয়া মাহি ও আটক ওই তরুণ ও তরুণী। কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মিজানুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'হোটেল রোদেলা থেকে দুই তরুণী ও একজন যুবককে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। যেহেতু তাঁরা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়েছেন তাই সত্যতা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। কোনও বৈধ নথি দেখাতে পারেননি। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক রাখা হয়েছে।'
পুলিশ আরও জানিয়েছে, বরিশাল মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। বুধবারও কোতোয়ালী থানা পুলিশ রুটিন মাফিক সেখানে পৌঁছায়। হোটেল রোদেলার একটি ঘরে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তাঁরা ছিলেন। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর খোঁজ মিলেছে কলকাতায়। পুলিশের জালে বাংলাদেশি মডেল ও অভিনেত্রী শান্তা পাল। অবৈধভাবে ভারতে থাকার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি-রাউডি স্কোয়াড। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করার অভিযোগও উঠেছে।
আরও পড়ুন মিঠুন-দেবশ্রীর রিইউনিয়ন! রবিবাসরীয় রাতে জমকালো পারফরম্যান্স, 'ডান্স বাংলা ডান্স'-এ আর কোন চমক?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তা পাল (বয়স ২৮), বাংলাদেশের বরিশালের বাসিন্দা। তিনি কলকাতার বিক্রমনগরে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ২০২৩ সাল থেকেই তিনি ওই ঠিকানায় থাকতেন বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। শান্তার কাছ থেকে দুটি আধার কার্ড, একটি ভোটার আইডি এবং একটি রেশন কার্ড মিলেছে।
এই সমস্ত পরিচয়পত্র ভুয়ো এবং বিভিন্ন ঠিকানার ভিত্তিতে তৈরি বলে জানিয়েছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে বর্ধমানের ঠিকানার একটি আধার কার্ডও। তল্লাশির সময় ধৃতের কাছ থেকে আরও মিলেছে—বাংলাদেশ মাধ্যমিক বোর্ডের অ্যাডমিট কার্ড, বাংলাদেশি এয়ারলাইন্স সংস্থার পরিচয়পত্র, একাধিক বাংলাদেশি পাসপোর্ট। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ভারতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করার জন্যই এত ভুয়ো নথি তৈরি করেছিলেন ওই অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন তিক্ততা ভুলে প্রেমের ইস্তেহার, মাঝ গঙ্গায় রোম্যান্টিক মুডে! জন্মদিনের আগে কাকে বুকে আগলে নিলেন জীতু?