Bengali Actresses' FB fake profiles: ফেসবুকে বাংলার বহু জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের ফেক প্রোফাইল রয়েছে। টেলি-নায়িকা পল্লবী শর্মা, দেবাদৃতা বসু, প্রমিতা চক্রবর্তীদের এমন কিছু ফেক প্রোফাইল রয়েছে যা দেখে নকল বলে বোঝা সম্ভব নয়। বার বার রিপোর্ট করেও সমস্যার সমাধান হয়নি, এমনটাই জানা গিয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-র পক্ষ থেকে চিহ্নিত করে দেওয়া হল, তেমনই কিছু ফেক প্রোফাইল।
পল্লবী শর্মা ও দেবাদৃতা বসু দুজনেই বাংলা টেলিভিশনের সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকাদের অন্যতম। পল্লবী বিগত সাড়ে তিন বছর ধরে কে আপন কে পর-এর জবা চরিত্রে অত্যন্ত সমাদৃত। তাঁকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে অনেক কিছুই লেখা হয়েছে। সেই সব তথ্য সাজিয়ে, বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশিত তাঁর ছবি দিয়ে, ফেসবুকে একাধিক ফেক প্রোফাইল খোলা হয়েছে পল্লবীর নামে। পল্লবী নিজেই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে জানিয়েছেন যে তাঁর কোনও ফেসবুক প্রোফাইল নেই।
আরও পড়ুন: কেবিসি ১১: ক্রিকেটের প্রশ্নেই হাতছাড়া ৭ কোটি
অথচ তাঁর নাম নিয়ে একটি প্রোফাইল এই মুহূর্তে ফেসবুকে প্রচণ্ড সক্রিয় তো বটেই, একটু একটু করে টেলিজগতের বহু জনপ্রিয় তারকাকেও নেটওয়ার্কে সংযোজন করেছে ওই প্রোফাইলটি। পল্লবীর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল থেকে নিয়মিত ছবি পোস্ট করে প্রচুর ফলোয়ারও বাড়িয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। আর তা দেখে সাধারণ দর্শক তো বটেই, বিনোদন জগতেরও অনেকে বুঝতে পারছেন না যে এটি আসল নয়, নকল।
পল্লবী শর্মা নামের ফেক প্রোফাইল।
জয়ী-নায়িকা দেবাদৃতা বসুর ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। দেবাদৃতার কোনও ফেসবুক প্রোফাইল নেই। ইনস্টাগ্রামেই তিনি সক্রিয়। কিন্তু তাঁর নামে প্রোফাইল খুলে টেলিজগতের বহু অভিনেতা-অভিনেত্রীকে অ্যাড করা হয়েছে। আর কয়েকদিন পর থেকেই শুরু হতে চলেছে দেবাদৃতার নতুন ধারাবাহিক-- আলোছায়া। জি বাংলা-র এই ধারাবাহিকে টাইম লিপের পরে আলো চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-তে সেই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনও লেখা হয়। ওই প্রতিবেদনটি শেয়ার করা হয় নীচের এই ফেক প্রোফাইলটি থেকে।
এর পরেই জানা যায় যে প্রোফাইলটি নকল। দেবাদৃতা নিজেই এই কথা জানিয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফত। ওদিকে ওই প্রোফাইলে প্রতিবেদনটি যে পোস্টে শেয়ার করা হয়, সেখানে অভিবাদন জানাতে থাকেন অন্যান্য জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। তাঁদের অনেকেই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-র মাধ্যমে জানতে পেরেছেন যে প্রোফাইলটি নকল।
দেবাদৃতা বসুর নামে খোলা ফেক প্রোফাইল।
আরও পড়ুন: ছোটদের পাট শেষ! ‘আলো’ ও ‘ছায়া’-র ভূমিকায় দেবাদৃতা-ঐন্দ্রিলা
বিগত প্রায় তিন বছর ধরেই একের পর এক ফেক প্রোফাইলের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করে চলেছেন অভিনেত্রী প্রমিতা চক্রবর্তী। 'বধূবরণ' ধারাবাহিকে অভিনয় করার সময় থেকেই ফেসবুকে উদয় হতে থাকে এই নকল প্রোফাইলগুলি। প্রমিতা ওই সময় ফেসবুকে খুব একটা সক্রিয় থাকতেন না। পরে এই বিবিধ নকলের দাপট বাড়ার পরে তিনি নিজের প্রোফাইলে সক্রিয় হন এবং রিপোর্ট করতে থাকেন।
মজার বিষয় হল, যতই রিপোর্ট করা হোক না কেন, নতুন নতুন ফেক প্রোফাইল গজিয়ে ওঠে-- উদাহরণস্বরূপ নীচের এই প্রোফাইলটিকেই ধরা যাক। প্রথমত, নিজেকে আসল প্রমাণ করতে এখানে অফিসিয়াল শব্দটি জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যা বড় বিভ্রান্তির কারণ। দ্বিতীয়ত, প্রমিতা চক্রবর্তীর আসল প্রোফাইলে কোনও ছবি আপলোড করা হলেই, এই নকল প্রোফাইলে তা সঙ্গে সঙ্গে আপলোড করা হয়। প্রোফাইল ছবি, কভার ছবি মূল প্রোফাইলে বদলালেই, এখানেও বদলে ফেলা হয়।
নামেই অফিসিয়াল, আসলে এটাই ফেক প্রোফাইল।
প্রমিতা যেহেতু আগে খুব বেশি সক্রিয় থাকতেন না ফেসবুকে তাই ব্লু টিক ভেরিফিকেশনের কথা ভাবেননি। সম্প্রতি সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় তিনি জানালেন যে অবিলম্বে এই ভেরিফিকেশনের জন্য আবেদন করবেন। অন্য দুই অভিনেত্রীর যেহেতু ফেসবুক প্রোফাইলই নেই, তাই ভেরিফিকেশনের প্রশ্ন উঠছে না।