ফিল্ম ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার প্রযোজক ও ডিস্ট্রিবিউটরদের অ্যাপেক্স বডি বুধবার বলেন, তারা ঢাকাতে একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চান। ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে বিনোদনের সম্পর্ক দৃঢ় করতেই এই পদক্ষেপ। বুধবার ফেডারেশনের সম্পাদক ফিরদৌসাল হাসান জানান, ফেডারেশনের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে সম্পর্কে উন্নতি এবং সেই দেশে ভারতের ছবির প্রচার করা।
হাসান সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ''এরকম একটা পরিবেশ তৈরি করতে চাই যেখানে দু দেশের ছবির ব্যবসা করতে পারে। প্রথম ভারত-বাংলা চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়। ২১ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু হবে।'' তিনি আরও বলেন, বাংলা সহ ভারতীয় ছবি বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশে বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু সেখানে আমাদের ছবি রিলিজ করানোর উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই।
আরও পড়ুন, জুটিতে ঋত্বিক-ঈশা, নেপথ্য নায়ক ‘বুড়ো সাধু’
জুরি কমিটিতে বাংলার একজন প্রযোজক এবং এক সাংবাদিক ছাড়াও, পরিচালক গৌতম ঘোষ, অভিনেতা-মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী পুরস্কারের বাংলা ছবি মনোনয়ন করবেন। ভারতে ১২টি বিভাগে অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান হবে। বাংলাদেশের তরফেও ১২টি বিভাগে ছবি মনোনীত হবে।
বাংলাদেশের ছবির যোগ্যতা বিচার করলেন সেখানকার পরিচালক, সাংবাদিক এবং সামলোচকরা। তবে বাংলা ছাড়াও ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষা -তামিল, তেলুগু, মালয়ালম, কন্নড়, মারাঠি, ভোজপুরী, গুজরাতি এবং হিন্দি ছবির স্ক্রিনিংও হবে। পরিচালক গৌতম ঘোষ উপস্থিত ছিলেন এদিনের বৈঠকে। বেশি পরিমান দর্শকের কাছে পৌঁছতে ভারত এবং বাংলাদেশের সিনে দুনিয়ায় চালু হল সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম।
আরও পড়ুন, বকেয়া টাকা চাওয়ায় খুনের হুমকি, অভিযুক্ত টলিউড প্রযোজক
তিনি বলেন, ''আমার মনে হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের বাংলা ছবির উদযাপন একটি মঞ্চে হওয়াটা জরুরি।'' এর আগে গৌতম ঘোষ 'মনের মানুষ' (২০১০) এবং 'শঙ্খচিল' (২০১৬)-এর মতো ছবি করেছেন ইন্দো-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে। এদিকে ফেডারেশনের সভাপতি বলেন, দু দেশেই সিঙ্গেল স্ক্রিনের সংখ্যা কমে যাচ্ছে এবং তা প্রযোজকদের জন্য আশঙ্কার কারণ।
পশ্চিমবঙ্গে সিঙ্গেল স্ক্রিনের সংখ্যা ৭০০ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২৮০-২৯০ এবং বাংলাদেশে এই সংখ্যাই ১২০০ থেকে ১৩০০। হাসান বলেন, ''দু'দেশেরই সিনেমার জন্য এই উদযাপন প্রয়োজন।''
Read the full story in English