/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/09/cats-2025-09-09-11-29-39.jpg)
সুর চড়াল FWICE
The Bengal Files-West Bengal Theatres: ৫ সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে মুক্তি পেয়েছে বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস'। কিন্তু, অঘোষিতভাবে পশ্চিমবাংলায় বন্ধ রয়েছে ছবির প্রদর্শনী। কোনও সিনেমাহলে মুক্তি পায়নি দ্য বেঙ্গল ফাইলস। পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী এনডিটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, রাজনৈতিক চাপের কারণে হলমালিকরা ছবি মুক্তিতে ভয় পাচ্ছেন। তাই সরকারিভাবে নিষিদ্ধ না হলেও পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহের মালিকরা পারস্পরিক সিদ্ধান্তে এই ছবি না দেখানোর সিদ্ধান্তে অনড়। এইরকম পরিস্থিতিতে সরব হয়েছে ফেডারেশন অব ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ (FWICE)।
এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ৩৬টি সহযোগী সংগঠন এবং চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের বহু কর্মী। সংগঠনটির তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, 'যে ছবি ইতিমধ্যেই সেন্সর বোর্ডের (CBFC) ছাড়পত্র পেয়েছে সেটি যদি অঘোষিতভাবে নিষিদ্ধ করা হয় তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটি সরাসরি আইনের পরিপন্থী এবং মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকারের ওপর আঘাত।'
ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, 'পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহের মালিকরা নিজেদের সিদ্ধান্তে ছবি প্রদর্শন না করা অত্যন্ত অন্যায়। একজন শিল্পের সৃজনশীলতাকে অসম্মান করা। একইসঙ্গে সাধারণ দর্শকদের গণতান্ত্রিক অধিকারকেও খর্ব করা হচ্ছে। মানুষ নিজের ইচ্ছেমতো কী দেখবেন সেই অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।'
FWICE সরকারের কাছে এই অঘোষিত নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে দ্রুত কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে কোনও বাধা ছাড়াই যেন দ্য বেঙ্গল ফাইলস প্রদর্শিত হতে পারে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার আর্জি জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তির শেষে সংগঠনটি ছবির প্রযোজকদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে।
আরও পড়ুন সোমে আদালতে স্বস্তি পেলেও বক্স অফিসে বিরাট ধাক্কা বিবেকের, চতুর্থদিনে কত আয় 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস'-এর?
তাঁরা জানিয়েছেন, 'আমরা দ্য বেঙ্গল ফাইলসের প্রযোজকদের পাশে রয়েছি এবং দেশজুড়ে সব প্রযোজক সংগঠনকে অনুরোধ করছি এই বেআইনি নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে। FWICE কখনও নীরব দর্শক হয়ে থাকবে না। কারণ মতপ্রকাশ ও সৃজনশীল কাজের মুক্ত প্রবাহের ওপর আঘাত মানে মৌলিক অধিকারের ওপর আঘাত।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার সরকারিভাবে 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস' নিষিদ্ধ করেনি। তবে প্রেক্ষাগৃহ মালিকরা পারস্পরিক সিদ্ধান্তে ছবিটি না দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেন তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিলেন তা নিয়ে কারও তরফে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। বিতর্কের সূত্রপাতটা ঠিক কোথায়?
প্রসঙ্গত, দ্য বেঙ্গল ফাইলস-কে অনেকেই ‘প্রচারমুখী’ (propaganda) সিনেমা বলে সমালোচনা করছেন। পাশাপাশি, গোপাল পাঁঠার চরিত্রায়ণ নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। গোপাল পাঁঠার নাতি বিবেক অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধে দাদুর সম্মানহানির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিলেন। কিন্তু, সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট সেই মামলা খারিজ করে দেয়।
আরও পড়ুন সোমে স্বস্তি, 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস'-র বিরুদ্ধে 'গোপাল পাঁঠা'-র নাতির মামলা খারিজ আদালতের