তামিলরকার্স মূলত কপিরাইট কনটেন্ট, বিশেষ করে সিনেমা ও টেলিভিশন শো-ই অনলাইনে লিক করে, ফলে টরেন্টের গ্রাহকরা সেটা ব্যবহার করে। 'গোস্ট স্টোরিজ'-এর আগে অক্ষয় কুমার, করিনা কাপুর, দিলজিৎ দোসাঞ্জ এবং কিয়ারা আদবানির ছবি 'গুড নিউজ' অনলাইনে ফাঁস করে দেয় তামিলরকার্স।
কেবলমাত্র এগুলো নয়, বেশ কয়েকটি হাই প্রোফাইল প্রজেক্টও লিক করেছে এই পাইরেসি ওয়েবসাইট। সলমন খানের 'দাবাং থ্রি', এমনকী কার্তিক আরিয়ানের 'পতি পত্নী অউর ওহ' ফাঁস করে দিয়েছিল মুক্তি একদিনের মধ্যেই।
বিভিন্ন ভাষার ছবি অনলাইনে লিক করে দেওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই জনপ্রিয় তামিলরকার্স। কর্তৃপক্ষ তাদের আটকাতে ব্যর্থ কারণ তারা প্রতিনিয়ত তাদের ডোমেন পরিবর্তন করে চলে। এইচ ডি কোয়ালিটির প্রিন্ট তারা ফাঁস করে দেয়। মাদ্রাজ হাইকোর্ট ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীদের ১২,০০০ ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। যার মধ্যে ২,০০০ ওয়েবসাইট ছিল তামিলরকার্সের। কিন্তু তাতেও দমানো যাচ্ছে না পাইরেসির দৌরাত্ম্য।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের চলচ্চিত্র সমালোচক শুভ্রা গুপ্তা 'গোস্ট স্টোরিজ'-কে দুটি স্টার দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ''চারটি ছবিতেই বেশ ভাল গা ছমছমে পরিবেশ তৈরি হয়। গল্পের পৃথিবীর মধ্যে সহজেই ঢুকে পড়তে পারে দর্শক। কিন্তু ঠিক চেয়ার থেকে ছিটকে ফেলে দেওয়ার মতো অতটাও ভৌতিক নয়। বিশেষ করে যাঁরা এই জঁরের ছবি প্রচুর সংখ্যায় দেখে ফেলেছেন, তাঁরা কিন্তু এই চারটি গল্পই কিছুক্ষণ দেখার পরে বুঝে ফেলবেন, গল্পটা কোনদিকে এগোচ্ছে।''
তিনি আরও লিখেছেন, ''এখন প্রশ্ন হল, আমার মতো মানুষ, যার এমনিতেই নরম, চরম বা মুখের-উপর-ছুঁড়ে-মারা যে কোনও ধরনের ভৌতিক ছবি দেখেই থরহরি কম্পমান অবস্থা হয়, সে কবার কেঁপে উঠেছে ‘গোস্ট স্টোরিজ’ দেখতে বসে? সত্যি বলতে কী, এই চারটি সেগমেন্ট মিলিয়ে মাত্র দুবার আমি চোখ বন্ধ করেছিলাম, বাকিটা তো ‘ওই আসছে’, ‘এবার আসছে’ ব্যাপার।''