/indian-express-bangla/media/media_files/2025/11/04/golam-2025-11-04-12-26-20.jpg)
কে এই সুরকার?
গোলাম মোহাম্মদ স্বাধীনতা-পরবর্তী ভারতের অন্যতম প্রতিভাবান, কিন্তু অবহেলিত চলচ্চিত্র সঙ্গীত রচয়িতা। পাকিজা এবং মির্জা গালিবের মতো কালজয়ী চলচ্চিত্রে সুরারোপ করলেও, আলোচনার কেন্দ্রে কখনই আসতে পারেননি। দীর্ঘ সংগ্রাম, দারিদ্র্য এবং উপেক্ষার মধ্যে তাঁর জীবন কাটে। দুঃখজনকভাবে, পাকিজার সাফল্য দেখার আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন এবং নিজের প্রতিভার প্রকৃত স্বীকৃতি উপভোগ করতে পারেননি।
১৯০৫ সালে বিকানেরের নাল গ্রামে জন্ম নেন গোলাম। বাবা নবী বক্সের কাছেই প্রথম সুরের শিক্ষা। ঢোলক, তবলা এবং পাখোয়াজে দক্ষ হয়ে ওঠেন ছোটবেলাতেই। সঙ্গীত পরিবেশনার সময়, একবার জুনাগড়ে এক মন্ত্রী তাঁর সুর শুনে সোনার খড়গ উপহার দেন। ১৯২৪ সালে মাত্র ১০০ টাকার চাকরিতে প্রথম সিনেমা জগতে পা রাখেন। সরোজ মুভিটোনের ‘রাজা ভর্তারি’ তাঁর প্রথম কাজ। এরপর ১২ বছর কিংবদন্তি নওশাদের সহকারী থেকে চলচ্চিত্র সঙ্গীতের সূক্ষ্মতা রপ্ত করেন। ১৯৪৭ সালে ‘টাইগার কুইন’ দিয়ে স্বাধীন সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ।
Ritwik Ghatak Birthday: 'জীবনে তুমি পরিচালক হতে পারবে না..', এক কথায় কার মন ভেঙে দেন ঋত্বিক ঘটক?
মধুবালার 'পরদেশ'-এ “জিয়া লাগে না মোরা” এবং “রাত হ্যায় তারান ভারি”র মতো গান তাঁকে বড় পরিসরে পরিচিতি দেয়। তবুও বাণিজ্যিক সাফল্য ছিল অধরা। ১৯৫৪ সালে ‘মির্জা গালিব’র জন্য জাতীয় পুরস্কার পান এবং জওহরলাল নেহেরুর প্রশংসা অর্জন করেন। “দিল-এ-নাদান তুঝে”, “আহ কো চাহিয়ে”র মতো গজল এখনও শ্রোতাদের হৃদয়ে।
১৯৫৬ সালের পর কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ঠিক এই সময়েই কামাল আমরোহি তাকে ‘পাকিজা’র জন্য ডাকেন। গোলাম প্রাণ উজাড় করে সুর করেন, এত গান তৈরি করেন যে তিনটি বাদ দিতে হয়। কিন্তু মীনা কুমারী ও আমরোহির দ্বন্দ্বে ছবির মুক্তি স্থগিত হয়। এরমধ্যেই ১৯৬৮ সালে গোলাম দারিদ্র্য ও অসুস্থতায় মারা যান। ১৯৭২ সালে পাকিজা মুক্তি পায় এবং “চলতে চলতে”, “ইনহিন লোগন নে”, “মৌসম হ্যায় আশিকানা”সহ অসংখ্য গান ইতিহাসে জায়গা করে নেয়। ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর শেষ করেন তাঁর গুরু নওশাদ।
সিনে-জগতে নক্ষত্রপতন, চলে গেলেন অস্কার-মনোনীত অভিনেত্রী
সেই বছর অভিনেতা প্রাণ ফিল্মফেয়ার পুরস্কার নিতে অস্বীকৃতি জানান, কারণ তাঁর বিশ্বাস ছিল সেরা সঙ্গীত পরিচালক হওয়া উচিত ছিল গোলাম মোহাম্মদের। প্রতিভা সত্ত্বেও জীবদ্দশায় যিনি পেলেন না স্বীকৃতি, মৃত্যুর পর তাঁর সুরই হয়ে উঠল অমর পরিচয়।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)

Follow Us