Shiboprosad Mukherjee: অভিনয় থেকে পরিচালনা, সর্বক্ষেত্রেই তাঁর পারদর্শীতার কদর করে দর্শক থেকে সমালোচক। ইদানিং তো আবার খোলা রাস্তায় ব্রেক ডান্সেও মাত দিচ্ছেন। সিনেমার পর্দায় কখনও লাল্টু তো কখনও আবার ময়দামুখো!! টলি সুন্দরীর খোলা পিঠে কবিতা লিখে প্রেমের ইস্তেহার দেখে তো জাস্ট ক্লিন বোল্ড দর্শক। সিনেমার পর্দায় তাঁর রোমান্সের আঁচে অনুরাগীদের হৃদয় পুড়ে একেবারে ছাড়খাড়! তিনি নান আদার দ্যান পরিচালক-অভিনেতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ২০ মে বিশিষ্ট শিবপ্রসাদের জীবনের আরও একটি বসন্ত পার। আমার বস-এর সাফল্য উদযাপনের মধ্যে দিয়েই জন্মদিন সেলিব্রেট করবেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়? ছোটবেলার সঙ্গে আজকের জন্মদিন পালনের ধরন বদলে গিয়েছে?
দৃঢ় কণ্ঠে তিনি বলেন, 'কাজের হাজার ব্যস্ততা থাকলেও জন্মদিনটা আমি সবসময় বাড়িতে সকলের সঙ্গে কাটাতেই পছন্দ করি। মায়ের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করি। ছোট থেকে বড় হয়েছি, কোনও জন্মদিন বাইরে কাটিয়েছি বলে তো আমার মনে পড়ে না। আসলে জন্মদিন আমার কাছে বরাবরই খুব স্পেশাল। মায়ের হাতের পায়েস, রকমারি রান্নাটাই আজকের দিনের বিশেষত্ব। ছোট থেকে সেটা দেখেই বড় হয়েছি। তখনও এই জিনিসগুলো স্পেশাল ছিল, আজও তাই। এখন জিনিয়া অনেক কিছু প্ল্যানিং করে, রান্না করে। মা পায়েস করেছে।'
আমার বস এবারের জন্মদিনের উপরি পাওনা? পরিচালক-অভিনেতা বলেন, 'আমার বস তো গতবারের জন্মদিনের কনটিনিউয়েশন গিফট। নন্দিতা দি আগের বছর জন্মদিনেই আমাকে দুটি ছবি উপহার দিয়েছিলেন। একটা বহুরূপী আর একটা আমার বস। গত বছরই আমার বস মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সেটা এবছর হল। তাই আমার বস নিঃসন্দেহে জন্মদিনের কনটিনিউয়েশন গিফট। আজকেও অনেক শো অনেক জায়গায় হাউজফুল রয়েছে। আর্লি মর্নিং ট্রেন্ড তো বলছে, অনেক জায়গায় শো হাউজফুল হবে। আর হাউজফুল জন্মদিন হলে, তার থেকে বড় প্রাপ্তি আর কিছু হতে পারে না।'
কী ভাবে জন্মদিন পালন করতে পছন্দ করেন শিবপ্রসাদ? বার্থডে বয়ের সংযোজন, 'জন্মদিনের সকালকটা সবে শুরু। সারাদিন হয়ত অনেক ভালবাসা-শুভেচ্ছা পাব। অনেকেই জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠাচ্ছেন। প্রচুর মানুষ ভালবাসা জানিয়েছেন। আর স্পেশাল পাওয়া হচ্ছে, বাড়ির মানুষদের সঙ্গে আজকের দিনটা সুন্দরভাবে কাটানো। দুপুরে নন্দিতাদি আসবেন। একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া হবে।'
প্রিয় খাবার কী? এক সেকেণ্ডও না থেমে উত্তর, 'মায়ের হাতের পায়েস।' মিড নাইট বার্থডে সেলিব্রেশন পছন্দ করেন শিবপ্রসাদ? সপাট জবাব, 'জন্মদিন আনন্দের দিন। যাঁর যেভাবে ইচ্ছে পালন করে। কেউ যদি মধ্যরাতে কেক কেটে সেলিব্রেট করতে চান সেটা করবেন। কেউ আবার সকালবেলা মন্দিরে পুজো দিয়ে বা মাকে প্রণাম করে দিনটা শুরু করতে পছন্দ করেন। আমার সবকটাই পছন্দ। মাঝরাতে কেক কাটতেও ভাল লাগে। মায়ের হাতের রান্নাও চাই। আসলে জন্মদিনে আমার সবটুকু চাই। কারণ জন্মদিন সবরকমভাবে আনন্দ করার দিন।'
আরও পড়ুন বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করেছি, যে টোকেন মানি পেতাম সেটা আমি ওয়াকার্সদের মধ্যে বিলিয়ে দিতাম: রাখি গুলজার