Advertisment
Presenting Partner
Desktop GIF

ইন্দিরা গান্ধী ছিলেন প্রিয় শিষ্যা, টেলিপর্দায় এল আনন্দময়ী মায়ের গল্প

Anandamoyee Ma: ইন্দিরা গান্ধী ছিলেন আনন্দময়ী মায়ের অন্যতম প্রধান শিষ্যা। এই ব্যক্তিত্বময়ী আধ্যাত্মিক গুরুর জীবনকাহিনি এই প্রথমবার এল ধারাবাহিকে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Biopic of Indira Gandhi's guru Anandamoyee Maa on Bengali Television

ইন্দিরা গান্ধী-সহ বহু বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের গুরুমা ছিলেন তিনি। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আর্কাইভ ও উইকিপিডিয়া থেকে

বাংলা তথা ভারতের আধ্যাত্মিক গুরুদের নিয়ে সিরিজ 'শ্রী গুরবে নমঃ'-তে এবার আনন্দময়ীর মায়ের জীবনকাহিনি দেখতে পাবেন দর্শক। আকাশ ৮-এর এই সিরিজে এ উঠে আসছে বহু ধর্মপ্রচারক ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্বের জীবন। এই প্রথম টেলিপর্দায় বর্ণিত হতে চলেছে আনন্দময়ী মায়ের গল্প।

Advertisment

শোনা যায়, তাঁর জন্মলগ্নে গ্রহনক্ষত্রের অবস্থানই ঠিক করে দিয়েছিল যে তিনি সাধারণ নন। তাঁর মধ্যে ঈশ্বরচেতনার বিকাশ হয় শৈশব থেকেই। তিনি বলতেন, ''খণ্ড আনন্দে প্রাণ তৃপ্ত হইতেছে না, তাই মানুষ অখণ্ড আনন্দ পাইবার জন্য অখণ্ডের সন্ধান করিতেছে।' এই আনন্দের জন্যই তাঁর জীবন কেটেছে সাধনায়। কৈশোরে এবং পরবর্তীকালে বিবাহিত জীবনেও তিনি ভাবজগতে বেশিরভাগ সময় ডুবে থাকতেন বলে জানা যায়।

আরও পড়ুন: ‘প্রতিবাদী বলেই হিট শ্যামা’! রইল সাপ্তাহিক সেরা দশ তালিকা

প্রথম প্রথম তাঁর ভাবসমাধির কারণ বুঝতে পারতেন না কাছের লোকজন। কিন্তু আস্তে আস্তে তাঁর স্বামীও আনন্দময়ী মায়ের মধ্যে ঈশ্বরচেতনাকে উপলব্ধি করেন। শোনা যায় তাঁর স্বামী বাবা ভোলানাথ, কালীপুজোর সময়ে আনন্দময়ীকেও একই রূপে দেখতেন এবং তখন তিনিও আনন্দময়ীকে মা রূপে পুজো করতেন।

Biopic of Indira Gandhi's guru Anandamoyee Maa on Bengali Television আনন্দময়ী মায়ের চরিত্রে কুমকুম ভট্টাচার্য। ছবি সৌজন্য: আকাশ ৮

আনন্দময়ী মায়ের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী, সুভাষচন্দ্র বসু, কমলা নেহরু, পরমহংস যোগানন্দ ও মাধব পাগলা। ১৯৮২ সালে মহাসমাধিতে বিলীন হওয়ার পরে ইন্দিরা গান্ধী তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছিলেন, ''আমার জীবনে মা আনন্দময়ীর আশীর্বাদ ছিল প্রধান শক্তি ও ভরসা। আজ আমার মর্মবেদনা জানাবার ভাষা নেই।''

আরও পড়ুন: শাশুড়ি বউমাকে নয়, বউমা বরণ করবে শ্বশুরবাড়িকে, আসছে ‘দুর্গা দুর্গেশ্বরী’

শোনা যায় আনন্দময়ী মা-কে তাঁর ভক্তরা কখনও ছিন্নমস্তার মূর্তিতে, কখনও ভুবনেশ্বরী মূর্তিতে আবার কখনও বা সরস্বতী রূপে দেখেছিলেন। ২৬ অগাস্ট থেকে সোম থেকে শনি সন্ধ্যা সাড়ে ছটায় শুরু হয়েছে সম্প্রচার। আনন্দময়ী মায়ের শেষ বয়সের চরিত্রে অভিনয় করছেন কুমকুম ভট্টাচার্য। ২০ থেকে ৪০ বছরের পর্যায়টিতে ওই চরিত্রে রয়েছেন মধুমিতা গুপ্ত এবং শিশু বয়সের চরিত্রে রয়েছে অভিজ্ঞা।

এছাড়া অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়, অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, বহ্নি চক্রবর্তী, অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিচালনা দেবীদাস ভট্টাচার্যের। তথ্য সংগ্রহ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন গীতা বিশ্বাস।

Bengali Serial Bengali Television
Advertisment