Indoo Ki Jawani, Kiara Advani, Abir Sengupta: 'ইন্দু কি জওয়ানি' ছবির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা থেকেই নেটিজেনদের একাংশ বেশ উৎসাহিত ছবির বিষয়বস্তু নিয়ে। কিয়ারা আদবানি-অভিনীত এই ছবির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একটি ডেটিং অ্য়াপ এবং সেখানেই ডানদিক-বাঁদিক করতে গিয়ে নায়িকার জীবনে ঘটনার ঘনঘটা। কিন্তু হঠাৎ ডেটিং অ্য়াপ নিয়ে গল্প বলার ইচ্ছে হল কেন পরিচালকের? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় পরিচালক জানালেন অনেক কথাই, এমনকী নায়িকার ভূমিকায় কিয়ারা আদবানির কাস্টিং নিয়েও জানা গেল বিশেষ একটি তথ্য়।
''ডেটিং অ্য়াপ মানেই যে সেটা খারাপ কিছু তা একেবারেই মনে হয় না আমার। যখন ইন্টারনেট ছিল না, তখনও মানুষ আড্ডা দিত, অজানা, অপরিচিত মানুষের সঙ্গে আলাপ করতে, কথা বলতে ভালবাসত। সেই আলাপচারিতা বা বন্ধুত্বটা যদি ডিজিটাল মাধ্যমে হয়, তবে সেটা নিয়ে কোনও আপত্তি থাকার কথা নয়'', জানালেন আবির, ''আমার এক বন্ধুর তো ডেটিং অ্য়াপ থেকে বিয়েও হয়েছে। মোটামুটি তার আগে থেকেই 'ইন্দু কি জওয়ানি'-র গল্পটা লিখতে শুরু করেছিলাম। পরে এই ঘটনাটা যখন জানতে পারি, তখন ভারি মজা লেগেছিল।''
আরও পড়ুন: ‘আমরা তো ভুল কিছু করছি না’, মালাইকা প্রসঙ্গে বললেন অর্জুন
তবে এই ধরনের অ্য়াপ বেশ বিপজ্জনকও। অপরাধপ্রবণ বেশ কিছু মানুষ অসৎ উদ্দেশ্য় নিয়ে আসে এই ধরনের অ্য়াপে। তেমন ঘটনা সাম্প্রতিক অতীতে ঘটেছে। ডেটিং অ্য়াপ অনেক দূরের কথা, ফেসবুকের মতো সোশ্য়াল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্য়মেও দুর্ভাগ্য়জনক ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার। আবিরের বক্তব্য়, কিছু মানুষ এই ধরনের অ্য়াপের অপব্যবহার করেন, সেটা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। কিন্তু তার মানে এই নয় যে ডেটিং অ্য়াপ মানেই তা সর্বতোভাবে খারাপ কিছু। উদাহরণস্বরূপ তাঁর সেই বন্ধুর কথাই ধরা যাক, যিনি ডেটিং অ্যাপ থেকে সুখের সংসার পেতেছেন।
আবার পেশাগত জায়গাতেও অনেক যোগাযোগ ঘটে যায় এই ডিজিটাল মাধ্যমে। আবির জানালেন, তাঁর প্রথম বাংলা ছবির প্রযোজকের সন্ধান পেয়েছিলেন ফেসবুকেই। ২০১৫ সালে তাঁর প্রথম ছবি, আবির চট্টোপাধ্য়ায় ও পায়েল সরকার অভিনীত, 'যমের রাজা দিল বর'। সাধারণত বাংলার দর্শক যে ধরনের বাণিজ্যিক ছবি দেখতে পছন্দ করেন, তার থেকে একেবারেই ভিন্ন স্বাদের ছবি ছিল এটি। কিন্তু আবির সেনগুপ্ত বাঙালি হলেও কলকাতার বাঙালি নন। বড় হয়েছেন রাঁচি-তে। ২০০৯ সালে মুম্বই পাড়ি দেন। ২০১৩ পর্যন্ত কাজ করেন হিন্দি টেলিজগতে। ওই ছবির পরে আবির আর কোনও বাংলা ছবি করেননি।
আরও পড়ুন: টেকনিসিয়ানদের পাশে দাঁড়াল ফোরাম, বকেয়া টাকার ইস্যুতে কড়া সিদ্ধান্ত
''এমন নয় যে আমি বাংলা ছবি করতে চাই না। আমি একজন স্টোরিটেলার। পরিচালনায় আসার কোনও পরিকল্পনা ছিল না আমার প্রাথমিকভাবে, লেখক হিসেবেই থাকতে চেয়েছিলাম'', আবির বলেন, ''আসলে বাংলা ছবি করতে গেলে আমাকে অনেকটা সময় কলকাতায় থাকতে হতো। 'যমের রাজা দিল বর'-এর সময় প্রায় ন'মাস কলকাতায় ছিলাম। মুম্বই-রাঁচি-কলকাতা-- এই তিনটি শহরে নিয়মিত ঘোরাফেরা করাটা একটু কঠিন। তাই মুম্বইকে বেস করে কাজ করাটাই বেশি সুবিধাজনক আমার পক্ষে।''
'ইন্দু কি জওয়ানি'-র শুটিং শুরু হবে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে। দিন সাতেক আগেই এই ছবির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। নিঃসন্দেহে কিয়ারার কেরিয়ারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ছবি কারণ গল্পটাই নায়িকাকেন্দ্রিক। কথোপকথনে জানা গেল কাস্টিংয়ের অনেক আগে থেকেই কিয়ারা-ই ছিলেন পরিচালকের ভাবনায়। ''লেখা যখন চলছিল, খুব ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে গল্পটা নিয়ে কথা বলতাম। তখন চরিত্রের রেফারেন্স হিসেবে একজনের কথাই বরাবর মাথায় আসত, সেটা কিয়ারা। নায়িকার চরিত্রে ওকে পাওয়া সত্য়িই খুব দারুণ ব্য়াপার'', জানালেন আবির।