অভিনেতাদের শুধুমাত্র ক্যামেরার সামনে আবেগ প্রকাশ করলেই চলে না। ভেবে চিন্তে তাঁদের কাজ করতে হয়। অনেক সময় চরিত্রের মানসিক অবস্থা বাস্তবে অনুভব করাও তাঁদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এমনটাই ঘটেছিল ১৯৯৮ সালের তেলুগু ছবি চন্দ্রলেখা–র শুটিংয়ের সময়, যেখানে অভিনেত্রী ইশা কোপ্পিকার অভিনেতা নাগার্জুনের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন। সম্প্রতি হিন্দি রাশকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইশা জানান, কীভাবে একটি দৃশ্যকে আরও বাস্তব করে তোলার জন্য এক কাণ্ড করে তুলেছিলেন।
তিনি নাকি নাগার্জুনকে সত্যি সত্যিই তাকে চড় মারতে বলেছিলেন এবং একবার নয়, মোট ১৪ বার! রীতিমতো চরিত্রকে বাস্তবায়িত করার জন্য অভিনেতাকে বাধ্য করেছিলেন তিনি এই কাজ করতে। কী কী বললেন তিনি এই সাক্ষাৎকারে?
ইশা বলেন, "নাগার্জুন আমাকে থাপ্পড় মেরেছিলেন একবার না অনেকবার। আমি তখন পুরোপুরি চরিত্রে ঢুকে যেতাম। মানে কাজ করার ধরণই তাই ছিল। এটা আমার কেরিয়ারের দ্বিতীয় ছবি ছিল। আমি তখন চাইছিলাম, থাপ্পড়টা যেন বাস্তব মনে হয়, যেন সেই আবেগটা সত্যি ফুটে ওঠে। তাই আমি ওনাকে বললাম, "নাগ, তুমি সত্যি সত্যি আমাকে মারো। প্রথমে ও রাজি হচ্ছিল না। বারবার বলার পর, ও আস্তে করে থাপ্পড় মারল। কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না।"
পরবর্তী শটগুলিতে, ক্যামেরায় যখন ইশার মুখের অভিব্যক্তি ধরা পড়ছিল না, তখন ডিরেক্টররা বারবার টেক নিতে বাধ্য হন। এর ফলে, তাকে মোট ১৪ বার থাপ্পড় খেতে হয়। ইশা বলেন, "আমার গালে চড়ের দাগ পড়ে গিয়েছিল। কাজ শেষ হওয়ার আগেই সেটা বোঝা যাচ্ছিল। বেচারা নাগার্জুন বারবার বলছিল, 'সরি ইশা, আমি চাইনি এটা হোক।' আমি তখন তাঁকে শান্ত করতে ব্যাস্ত। আমি তাঁকে আশ্বস্ত করছিলাম যে,'তুমি দুঃখ করছো কেন? আমি তো চেয়েইছিলাম এটা।'
ইশা কোপ্পিকার পরে বলিউডে, 'কৃষ্ণা কট্টাহে', 'পিঞ্জর', 'কেয়া কুল হ্যায় হাম', ও 'ডন'–এর মতো ছবিতে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁকে সর্বশেষ দেখা গেছে ২০২৪ সালের তামিল ছবি 'আয়লানে'।