Amitabh Bachchan: হাঁটতে ভুলে গেছিলেন অমিতাভ! সিনিয়র বচ্চনকে নিয়ে যা বললেন জিতেন্দ্র

উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালে কুলি ছবির শুটিং চলাকালীন এক অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনেতা পুনিত ইসারের একটি ভুল ঘুষিতে অমিতাভ গুরুতর আহত হন। তিনি দীর্ঘদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালে কুলি ছবির শুটিং চলাকালীন এক অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনেতা পুনিত ইসারের একটি ভুল ঘুষিতে অমিতাভ গুরুতর আহত হন। তিনি দীর্ঘদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েছিলেন।

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
New Update
amitabh bachchan-jaisalmer

বড় তথ্য এল সামনে... Photograph: (file)

অনেক বলিউড তারকা বারবার প্রশংসা করেছেন অমিতাভ বচ্চনের অভিনয় নৈপুণ্য, অধ্যবসায় এবং অনন্য পেশাদারিত্বের। ৮৩ বছর বয়সেও তিনি এখনও অনুপ্রেরণার উৎস। তার কাজের নীতি, কঠোর পরিশ্রম ও সিনেমার প্রতি অবিচল ভালোবাসা প্রজন্মের পর প্রজন্মকে মুগ্ধ করছে।

Advertisment

ফিল্মফেয়ারের সঙ্গে এক পুরোনো সাক্ষাৎকারে, প্রবীণ অভিনেতা জিতেন্দ্র, যিনি ১৯৭৩ সালের 'গেহরি চালে' ছবিতে অমিতাভের সহ-অভিনেতা ছিলেন, স্মরণ করেছিলেন বিগ বি-র অসাধারণ নিষ্ঠা ও মানসিক দৃঢ়তার কথা- বিশেষ করে কুলি (১৯৮২) ছবির ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর। 

জিতেন্দ্র বলেন, "অমিতাভ আলাদা ধরনের অভিনেতা। তাঁর ডিকশনারিতে ‘চলবে’ শব্দটাই নেই। তিনি যা করেন, মন-প্রাণ ঢেলে করেন। এমন নিষ্ঠা আসে কেবল তখনই, যখন কেউ তার কাজকে সত্যিই ভালোবাসে।" 

Advertisment

Abhishek Bachchan: গর্বের শেষ নেই, অভিষেক পুরস্কার পেতেই জড়িয়ে ধরে স্নেহচুম্বন জয়ার, ঐশ্বর্য কোথায়?

তিনি বলেন, "আমার আজও মনে আছে সেদিনের কথা, যখন আমি কুলি-র সেটে তার দুর্ঘটনার পর ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন—'আমি যেন হাঁটতে ভুলে গেছি।' দীর্ঘদিন বিছানায় শুয়ে থাকার কারণে তার শরীর দুর্বল হয়ে পড়েছিল। কিন্তু তার ইচ্ছাশক্তি তাকে ফের জীবনের পথে ফিরিয়ে এনেছিল।" 

উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালে কুলি ছবির শুটিং চলাকালীন এক অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনেতা পুনিত ইসারের একটি ভুল ঘুষিতে অমিতাভ গুরুতর আহত হন। তিনি দীর্ঘদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েছিলেন। একাধিক অস্ত্রোপচার, লাইফ সাপোর্ট ও পুনরুজ্জীবনের পরই তিনি সুস্থ হন। পরের বছর কুলি মুক্তি পায় এবং বিশাল হিট হয়।

নৌকায় চুম্বন, আদরে জড়িয়ে ধরলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, গায়িকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত ভাইরাল

জিতেন্দ্র বলেন, “অমিতাভ সত্যিই এক আলাদা ক্লাস। সাফল্য পাওয়ার পরেও তিনি কখনও অহংকারী নন। অনেকেই সাফল্যের পর ভুলে যায়, কীভাবে তারা এতদূর এসেছে। কিন্তু অমিতাভ বরাবরই নিজের সীমা জানতেন, নিজের নিয়মে অটল ছিলেন। আমি তাকে কখনও প্রযোজকদের অপেক্ষা করাতে দেখিনি, কখনও শুটিংয়ে দেরি করতে দেখিনি। তিনি নিজের সময় যেমন সম্মান করেন, তেমনি অন্যের সময়কেও।”

তিনি আরও স্মরণ করেন, “শুরুতে আমরা সবাই একসঙ্গে রাত তিনটে পর্যন্ত গল্প করতাম, আড্ডা দিতাম। কিন্তু সকাল সাতটায় তিনি ঠিক সময়ে সেটে হাজির থাকতেন। ঘুমহীন রাতেও কখনও তাঁর নিষ্ঠা নড়েনি। এটাই তার প্রকৃত শক্তি, আর এই কারণেই তিনি আজও সবার উপরে।”

amitabh bachchan Entertainment News Today