/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/23/jeetu-2025-09-23-15-51-50.png)
যা বলছেন অভিনেতা...
গতকাল রাতের পর আজ শহর কলকাতার এক অন্যরকম চিত্র। চারিদিকে জল ছাড়া আর কিছুই দেখা সম্ভব হচ্ছে না। জনজীবন আজ বিপন্ন। সকাল হতে মানুষ যে কী কষ্ট করে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছেছেন, সেই দৃশ্য একেবারেই আরামদায়ক নয়। মানুষের বাড়িঘর পর্যন্ত জলমগ্ন। নিজের বাড়িতে তাঁদের অবস্থা শোচনীয়। গতকাল কলকাতার এক রাতের বৃষ্টি পুজোর আগে যেন সব তছনচ করে রেখে দিল।
বিশেষ করে সাধারণ মানুষ এবং যারা পুজোর আগে জিনিসের পসরা সাজিয়ে রাস্তায় উপার্জনের জন্য বসেন। আজ থেকে যে তাঁদের কত ক্ষতি কেবল তারাই বোধহয় জানে। জল পেরিয়ে মানুষ যে নিজের কাজে যাবেন, সেই ভাবনাতেও ছেদ পরে সকাল হতেই। মেট্রো সিটিতে এহেন ভয়াবহ জল যমে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন সকলেই। এই নিয়েই এবার মুখ খুলেছেন জিতু কমল। অভিনেতা শুধু নিজের সিরিয়াল বা সিনেমার প্রোমোশন করতে মানুষের কাছে পৌছবেন কিন্তু, তাদের দুঃখ-দুর্দশার দিন তাঁদের হয়ে কিছু বলবেন না এমনটা হয় না।
হাত ছাড়লেন কাছের মানুষ, শোকে পাথর জনপ্রিয় অভিনেত্রী
জিতু একটি ভিডিওর মাধ্যমেই সমাজ মাধ্যমে নিজের বক্তব্য রাখলেন। তাঁর কথায় আপনারা জানেন কলকাতা শহরের কী অবস্থা। একেবারে বানভাসি অবস্থা। শুধু নিজেদের সময় মানুষের কাছে যাব, কিন্তু বাকি সময়টা দায়িত্ব এড়িয়ে যাব শিল্পী হিসেবে আমাদের ওপর একটা দায় বর্তায়। নিজের তাড়না থেকেই এই ভিডিও করা। আমার মনে হয়, সমাজের প্রতি সকলের দায়বদ্ধ হওয়া উচিত।
সমাজ মাধ্যমে নানা ধরণের মানুষ। এবং তাঁদের নানা ধরণের প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ এই জল-জমার ভিডিও দেখে বেশ হাসাহাসি করছেন। জিতু বলছেন, "হাতজোড় করে বলছি যে যে জায়গায় জল জমে আছে, সেসব দেখে প্লিজ হা-হা করে রিয়াক্ট করবেন না। যার ওপর দিয়ে যাচ্ছে সে জানে। পুজোর আগে যারা ফুটপাতে বসেন এইসময় তাঁদের কয়টা টাকা উপার্জন হয়। এই আয়ের জন্য তাঁরা সারাবছর অপেক্ষা করেন। তাঁরা হয়তো মালগুলো মাথায় নিয়ে সরানোর চেষ্টা করছেন। পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুণ। কলকাতায় ৪ জন মারা গিয়েছেন।
যেকোনও অঞ্চলেই বানভাসি হলে এঁকে অপরের পাশে দাঁড়ায়। সেই দৃশ্য একেবারেই সুখকর না। কিন্তু মানুষের এইসময় পরস্পরকে সঙ্গ দেওয়া খুব প্রয়োজন। জিতুর কথায়, "অনেকে প্রশ্ন করতেই পারেন আমাকে আমি কী করছি? আমি এটাই বলব বিজ্ঞাপন করতে আমি পারব না। আমি আগে মানুষ, তারপর শিল্পী। আমার বাবাও নেমেছেন বিদ্ধস্ত্ব মানুষের পাশে দাঁড়াতে। দয়া করে আমায় এখন কেউ পুজোর শুভেচ্ছা জানাবেন না। বিষয়টা মোটেই শুভ নয়। কাল যে হারে বৃষ্টি পড়েছে, যা আওয়াজ তাঁর খুব ভয়ঙ্কর।"