/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/19/8-50-2025-10-19-17-16-48.jpg)
যা বললেন পুজা...
Pooja Bedi: বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা কবীর বেদীর জীবন যেমন খ্যাতি ও সাফল্যে ভরপুর ছিল, তেমনই তার ব্যক্তিগত জীবন ছিল গভীর বেদনায় আচ্ছন্ন। ৮০ ও ৯০–এর দশকে “খুন ভরি মাং” এবং ইতালির টিভি সিরিজ “স্যান্ডোকান”-এর মতো জনপ্রিয় প্রজেক্টে অভিনয় করে তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। কিন্তু জীবনের সবচেয়ে বড় আঘাত আসে, যখন মাত্র ২৬ বছর বয়সে তার মেধাবী ছেলে সিদ্ধার্থ বেদী আত্মহত্যা করেন।
সিদ্ধার্থ ছিলেন কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, প্রযুক্তির প্রতি যার গভীর আগ্রহ ছিল। কিন্তু তার মেধার আড়ালে লুকিয়ে ছিল এক মানসিক লড়াই- যার নাম সিজোফ্রেনিয়া। মানসিক অসুস্থতা শনাক্ত হওয়ার পর শুরু হয় সংগ্রাম, যা শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যায় গিয়ে থামে। সেই সময় কবীর বেদী নিজেও আর্থিক সঙ্কটে ছিলেন। ফলে এই দুর্ঘটনা পুরো পরিবারকে ভেঙে দেয়।
Mahiya Mahi: 'ডিভোর্স হয়নি, সম্পর্ক', বছর দুয়েক আগেই বিচ্ছেদ হয়? স্বামী প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মাহি
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে কবীরের কন্যা পূজা বেদী, সেই ভয়াবহ সময়ের কথা বলেন। তিনি জানান, "মেয়ে আলায়া-কে নিয়ে যখন আমি গর্ভবতী, তখনই ভাই আত্মহত্যা করে। বাবা তখন আমেরিকায় ছিলেন, এবং তিনিই ঘটনাটি নিজের চোখে দেখেন।”
অত্যন্ত শোকের মধ্যেও পূজাকে মানসিকভাবে স্থির থাকতে হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমি আমার অনাগত সন্তানের জন্য নিজেকে শক্ত রেখেছিলাম। খালি এটুকুই ভাবছিলাম ট্রমা যেন তাকে না ছোঁয়।” সিদ্ধার্থ মৃত্যুর আগে পরিবারের জন্য এক আবেগময় চিঠি রেখে গিয়েছিলেন, যেখানে ছিল ভালোবাসা ও বিদায়ের কথা। পূজা জানান, তারা ছোটবেলা থেকেই ছিল অবিচ্ছেদ্য- “আমরা একই ঘরে ঘুমাতাম, একই খাবার পছন্দ করতাম। মাত্র দেড় বছরের ব্যবধান ছিল আমাদের মধ্যে।”
Tahsan Khan: দুই দশকের সংগীতযাত্রার সমাপ্তি, শেষ গানে বিদায় নিলেন তাহসান
সিদ্ধার্থের মৃত্যুর পর সেই পরিবার ভেঙে পরে। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলাখুলি কথা বলার সিদ্ধান্ত নেয়। “আমরা বিষয়টি গোপন করিনি, কারণ সচেতনতা জরুরি,” বলেন পূজা। কবীর বেদীও পরবর্তীতে সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেন- “আমি ছেলেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু পারিনি। সেই অপরাধবোধ আজও বহন করি।”