kareena's advice to Samaira: বোনে-বোনে সদ্ভাব একটা সময়ের পরে আর তেমন থাকে না অনেক ক্ষেত্রে। কিন্তু করিনা কাপুর ও করিশ্মা কাপুরের ক্ষেত্রে সেটা একেবারেই উল্টো। যত সময় এগিয়েছে, দুজনে সংসারী হয়েছেন, ততই আরও পরস্পরের প্রতি নির্ভরশীলতা বেড়েছে। করিনা ও করিশ্মা পালে-পার্বণে বেশিরভাগ সময়েই একসঙ্গে থাকেন। আর দুজনেই অন্যজনের ছেলেমেয়েদের খুবই খেয়াল রাখেন। করিনার ছেলে তৈমুর তো খুবই ছোট কিন্তু করিশ্মার দুই ছেলেমেয়ে সামায়রা ও কিয়ান অনেকটা বড় হয়ে গিয়েছে। তাদের দিকে কিন্তু করিশ্মার তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে।
বিশেষ করে সামায়রার সোশাল মিডিয়ার প্রতি তীব্র ঝোঁক নিয়ে চিন্তিত করিনা। তিনি এমনিতে খুবই কুল টাইপের মাসি বলা যায়, কিন্তু আবার দায়িত্বশীলও। তাই সামায়রাকে কী করে এই সোশাল মিডিয়া অবসেশন থেকে বার করা যায় তার জন্য অনেক চেষ্টা করেন, এমনটাই জানা গিয়েছে মিসমালিনী ডট কম-এর একটি প্রতিবেদন থেকে।
আরও পড়ুন: ভূতে ভয় পান ‘ভূত’-এর নায়ক
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, রমেডি নাউ চ্যানেলে ফায়ে ডিসুজার চ্যাট শো-তে গিয়ে করিনা সামায়রার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ''আমার দিদির ১৪ বছরের একটি মেয়ে আছে আর ও সব সময় সোশাল মিডিয়া, স্ন্যাপচ্যাট এইসব নিয়ে পড়ে থাকে। সারাদিন চলতে থাকে এই সব। আমি লোলোকে বলেছি যে এটার একটু লিমিট থাকা উচিত। সোশাল মিডিয়ার নেশা থাকলে সবাই এক জায়গায় বসেই থাকে আর এই করে যায়, অন্য আর কিছুই করে না। মানে কেউ বই পড়ে না, জানলার বাইরে তাকায় না, কারও সঙ্গে কথা বলে না, ফ্যামিলি-বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটায় না... কিচ্ছু না। আমরা আড্ডা দেওয়ার মজাটাই যেন ভুলতে বসেছি। তাই সোশাল মিডিয়ার ব্যবহারটা নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত'', ওই চ্যাট শো-তে এসে বলেন বেবো।
তবে এই উপদেশ যে শুধু সামায়রার জন্য তা নয়, সব মিলেনিয়ালদের ক্ষেত্রেই এই উপদেশ প্রযোজ্য। মিলেনিয়ালরা জ্ঞান হওয়া অবধি ইন্টারনেট হাতে পেয়েছে। তারা যখন টিনএজার, তখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে ফেসবুকের রমরমা। আরও একটু পরে যারা জন্মেছে, এই যেমন ২০০৫-২০০৬, তারা তো সোশাল মিডিয়ার বুম পর্যায়টি দেখছে এখন। স্ন্যাপচ্যাট, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম থেকে শুরু করে আরও বিবিধ প্ল্যাটফর্ম। এই সব থেকে একটু দূরেই থাকেন করিনা নিজে। তিনি এবং সইফ আলি খান-- দুজনেই কিন্তু সোশাল মিডিয়ায় এতটুকু আসক্ত নন, বরং খুব কম সময় কাটান ভার্চুয়াল জগতে।
আরও পড়ুন: নটী বিনোদিনীকে নিয়ে তৈরি হবে দু’টি ছবি
তবে করিনার এই উপদেশ সামায়রা কতটা গ্রহণ করবে, সেটা দেখার বিষয়। ২০০৩ সালে সঞ্জয় কাপুরকে বিয়ে করেন করিশ্মা ও ২০০৫ সালে জন্মায় সামায়রা। এর পরে ২০১০ সালে জন্মায় কিয়ান। তার পর থেকেই দম্পতির মধ্যে সমস্যা দেখা দেয় ও ২০১৬ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। সামায়রার বয়স এখন ১৪ কিন্তু তার ফেসবুক পেজটি দেখে মনে হয় সোশাল মিডিয়ায় কীভাবে ফলোয়ারদের আকর্ষণ করতে হয়, সেই ট্রিকগুলি এখন থেকেই শিখে গিয়েছে সে। তাই করিনার উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে।