/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/14/502377076_24636322755968101_305727210587517177_n-2025-10-14-17-12-20.jpg)
যা বলছেন কৌশিক...
Kaushik Ganguly-Ujaan Ganguly: এমন কাজে দক্ষ সন্তান থাকলে কোন বাবার গর্ব হবে না? আর সন্তান যদি বাবার চলা পথেই পা বাড়ায় এর থেকে আনন্দের কিছু আছে কি? নিশ্চয়ই না, সেরকমই এক বাবা ছেলের গৌরবে গৌরবান্বিত। সিনেমার পরিভাষা আগের থেকে অনেকটাই বদলেছে। লাইভ অ্যাকশান ছবির সঙ্গে সঙ্গে বর্তমানে আনিম্যাটেড ছবির মাত্রা অনেক বেড়েছে। এবং ছেলে উজানের এই নতুন সাফল্য অর্থাৎ উজান গাঙ্গুলির কুরুক্ষেত্রে যে ভারতের এক নম্বর শোয়ে পরিণত হয়েছে এতে বাবা কৌশিকের আনন্দ থামছে না।
সমাজ মাধ্যমে ছেলের প্রশংসা করলেন তিনি। উজানের এতদিনের পরিশ্রম যেন আজ সফল। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে তাঁর সঙ্গে যখন যোগাযোগ করা হল, ছেলের সাফল্যের কথা বলতে গিয়েই যেন ভীষণ খুশি তিনি। তাঁর গলা শুনেই বোঝা যাচ্ছে ছেলের প্রশংসা যে করছেন সবাই এতেই তিনি জীবনের সব সুখ পেয়ে গিয়েছেন। পরিচালক বলছেন
এতবড় একটা আন্তর্জাতিক কাজ, সেটা তো আনন্দের বটেই। এছাড়াও আমার কাছে যা সবথেকে বেশি গর্বের তা হল আমার ছেলেটা খুব মাটির মানুষ। আড়াই বছর ধরে একটা মানুষ মুখ বন্ধ করে, নীরবে একটা কাজ করে গিয়েছে। কোনওরকম প্রচারের কথা চিন্তা করেনি। শুধু কাজটা যাতে ভাল হয়, সেটাই ভেবে গিয়েছে। আমার কাছে এটা খুব আনন্দের। আমি ওকে এই শিক্ষাটা দিয়েছি যে কাজ করো। যতবড়ই কাজ করো, সময়ে যখন প্রকাশ পাবে তখন মানুষ জানবে। পদে পদে সেটা নিয়ে কথা বলার দরকার নেই।
'এই গর্ব বাংলার'
উজানের এই কুরুক্ষেত্র টেক্কা দিয়েছে নামজাদা সব কাজকে। আর সবথেকে আনন্দ কৌশিক বাবুর কাছে এটাই যে ছেলের এই কাজ বাংলাকে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছে। তিনি বলছেন এটা শুধু আমার বা উজানের আনন্দ না। এটা বাংলার মানুষের আনন্দ। ওর পরিশ্রম, কিন্তু বাংলা এগিয়ে গেল।
'পরিচালক না, আমি বাবা-ই'
তিনি সাফ বললেন, পরিচালক হিসেবে কিছু টিপস দেওয়ার নেই ওকে। আমি ওর কাছে বাবা-ই। ওর কাজ, সেটা অ্যানিমেশন হোক অথবা সিনেমা- ওর ভাষা যেন এমন জায়গায় পৌঁছায় যেখানে আমরা যেতে পারিনি। যেন আরও উত্তরণ হয়। তাহলে আমার আর চূর্ণির পরিশ্রমটা সার্থক।