Kedarnath movie cast: সুশান্ত সিং রাজপুত, নিশান্ত ধানিয়া, নিতিশ ভরদ্বাজ, পূজা গর, অলকা আমিন
Kedarnath movie director: অভিষেক কাপুর
Kedarnath movie rating: 2/৫
একটা নির্ভরশীল প্রেমের ছবি দেখার সময় এখনই। এটাই সেই সপ্তাহ যখন একটা মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছিল এবং দেশের প্রতিচ্ছবি বদলে গিয়েছিল, তৈরি হয়েছিল আজকের ভারত। বিভাজন, মেরুকরণ, অগ্নিগর্ভ অবস্থা। তখন ঘৃণার পরিবর্তে ভালবাসাই একমাত্র পথ যা এই বিদ্বেষকে নিমূর্ল করতে পারে এবং কোন ছবি যদি এই বার্তা দিতে চায় এরথেকে ভাল আর কী হতে পারে?
তাহলে প্রশ্ন কেদারনাথ কী নিখুঁত লাভস্টোরি? সঙ্গতভাবে বলতে গেলে, সারা আলি খানের ডেবিউ ছবি যেখানে তিনি একজন হিন্দু মেয়ে ভূমিকায় যে এক মুসলিম ছেলের প্রেমে পড়ে, সেই চরিত্রে রয়েছেন সুশান্ত সিং রাজপুত,এই ছবিটাই তো হওয়ার উচিৎ। মক্কু অর্থাৎ মন্দাকিনী ও মনসুরের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্ব, তাদের দেখা করা থেকে সবটাই ভীষণ মিষ্টি, প্রাণবন্ত। এক পুরোহিতের (ভরদ্বাজ)অত্যন্ত জেদী ছোট মেয়ে, যে তার মনমরা বড় বোনের পাশে রয়েছে শক্ত পিলারের মতো। এদিকে মনসুর একজন 'পিঠাউ' (যে তীর্থযাত্রীদের পিঠে করে মন্দির দর্শনে নিয়ে যায়) যে মুক্কুর চোখে ধরা পড়ে ও শেষমেষ প্রেমেও। ভালই চলছিল, কিন্তু শীঘ্রই মেলোড্রামা গ্রাস করে তাদের, চিত্রনাট্য একঘেয়েমি সামনে নিয়ে আসে এবং তারপরে যে ট্রিটমেন্ট শুরু হয়ে সেটা ষাট-সত্তরের দশকে হত। বাবা সদর্পে হুমকি দিচ্ছে, মা ঘরে বন্ধ করে রাখছে মেয়েকে, গ্রামের লোক জড়ো করে গরীব নায়কে মারা হচ্ছে এইসব।
আরও পড়ুন, ২০১৬-র সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে তৈরি ভিকি কৌশলের ‘উরি’
এই সবের মধ্যেও সারা আলি খান থেকে নজর সরবে না। শুরুটা খানিকটা জড়সড় হলে ক্রমশ বিষয়টা আয়ত্তে নিয়ে আশেন তিনি। আত্মবিশ্বাস সামনে দেখা যায়, মাঝে মাঝে অমৃতা সিংয়ের কথা মনে পড়লেও অবাক হবনা। ধাইয়া, সারার বোন হিসাবে পর্দায় নিজের ছাপ খুব একটা রাখতে পারেনি গোর এবং সুশান্তের মায়ের চরিত্রে আমিন। তবে সুশান্ত নতুন কিছু দর্শকের সামনে আনেননি, আর ভরদ্বাজের চরিত্রায়নে ছিল সেই পুরোনো ছন্দে রাগী মেয়ের বাবা।
আর এখানেই কেদারনাথের সমস্যা। দৃঢ়তার সঙ্গে শুরু হলেও, অল্পবয়সীদের প্রেম যেখানে ধর্মের বাঁধা উপেক্ষা করছে সেটা কোথাও উদযাপন করার দরকার ছিল। ২০১৩র উত্তরাখন্ডের বন্যা যেখানে ছবির প্লট সেখানে ছবির টুইস্ট আরও জোরদার হওয়ার কথা। কিন্তু লেখাটায় শেডস ছিল, তবে দ্বন্ধ্ব ছিল ছবির টোনে। বোঝা যাচ্ছিল না তারা আশা ছেড়ে দেবে, না শত্রুদের বিরুদ্ধে সমস্তটা দিয়ে লড়াই করবে। বিশেষ করে যখন জলের মাত্রা বাড়ছিল আর জীবনের সমস্যাগুলো লঘু হয়ে আসছিল।
আরও পড়ুন, দুটো ছবি ফ্লপ, তারপরেও অভিনয়ের সাহস দেখালেন করণ জোহর?
অভিষেক কাপুরের কাই পো ছে ছবিতে অভিপ্রায় ও দৃশ্যায়নের মধ্যে সমাপতন ঘটেছিল কিন্তু তা না হয়ে এখানে গুণাবলী ও প্রয়োজনীয়তা সামনে রেখে ধর্মীয় সাদৃশ্যকে জায়গা বেশি দেওয়া হয়েছে। এটা স্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে, সবাইকে খুশি করতে গিয়ে তীর থেকে সরে গিয়েছে কেদারনাথ এবং ঠিক উত্তপ্ত হয় তবে কিছুটা অ্যাড্রিনালিন রাশ দিয়েছে। ছবিটা মূহুর্তের জন্য হলেও চোখ কোণ চিকচিক করবে।
Read the full story in English