/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/14/kharaj-2025-10-14-16-30-51.png)
Kali puja 2025: কী কী হয় তাঁর বাড়ির পুজোয়?
Kali Puja 2025: আসন্ন আলোর উৎসব। বাঙালির কাছে এই উৎসব এক্কেবারে অন্যরকম। এই দিন বাঙালি মা কালীর আরাধনায় ব্যস্ত থাকে। শাস্ত্রে এদিন দীপান্বিতা কালী পুজো। মায়ের আরাধনা হয় এই সময়। এবং খেয়াল করলে দেখা যাবে এদিন মায়ের আরাধনায় চারিদিকে জ্বলে ওঠে অজস্র দীপ। একেকজনের বাড়িতে এদিন একেকরকম নিয়ম। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায় নানা ধরণের ভোগের আয়োজন।
অভিনেতা খরাজ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে আড়ম্বরে আয়োজন হয় কালী আরাধনার। তাঁর বাবার হাত ধরে শুরু হয়েছিল পুজো। এমনকি তাঁর দেশের বাড়িতে মাঘ মাসের রটন্তী কালীপুজোয় আজও বলি-প্রথার নিয়ম আছে। তাঁর কলকাতার বাড়িতে পুজো হয়।
পুজো এবং মাতৃ প্রতিমাঃ
আমার বড়দা যখন খুব ছোট বা বলতে পারা যায় জন্ম থেকে ও সেই পুজো দেখে এসেছে। বাবা ছোট্ট একটা পটে পুজো করতেন। সেদিন বাড়িতে লোকজন আসতেন। সেই পুজো আমরা আজও করি। বাবা ছোট একটা মন্দির করে দিয়েছিলেন বাড়ির ছাদে। তখন আমরা পদ্মপুকুরের ওখানে থাকতাম সেটা ছিল লিজ নেওয়া বাড়ি। আমরা এখন যেখানে থাকি, সেখানে এখন পুজো হয়। তাঁকে পুজো করা হত। এবার সেই প্রতিমা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কী হয়েছে, ঝরে পড়ছে প্রায়। কালী মা আর মানে পটে থাকতে পারছেন না। খুব খারাপ অবস্থা হয়। এবার তাঁকে বাঁচাতে হবে। তখন বড়দা কৃষ্ণনগরে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ট্রিটমেন্ট করিয়েছে। বিভিন্ন স্প্রে দিয়ে সেটিকে আবার আগের অবস্থায় দাঁড় করিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে বলে দেওয়া হয়েছে, আর ছোঁয়া যাবে না। তাঁকে কাঁচের বাক্সে রাখা আছে। সেই কাঁচের বক্সের বাইরে আমরা সব-ই করি, কিন্তু তাঁকে ছুঁতে পারিনি। তাই এরপর থেকে প্রতিবছর কালীমূর্তি নিয়ে আসা হয়, দুই মা-কেই পুজো করা হয়।
ভোগ ও পুজোর নিয়ম
পুজোর দিন সকালে হাওড়া মার্কেটে যাওয়া তাঁর অভ্যাস। খরাজ জানান, সকালে হাওড়া মার্কেট থেকে আমি ফুল, আরও সব জিনিস নিয়ে আসি। আমাদের দেশের বাড়িতে যেমন ছাগ-বলির নিয়ম আছে। সেই বিষয়টা ওখানের মানুষের মজ্জায় বসে গেছে, আমরা অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু বন্ধ করতে পারছি না। তবে, কলকাতার বাড়ির পুজোয় অনেক নিয়ম আছে। সেগুলো আমার দাদা করেন। এই যেমন 'কারন' তৈরি করা। পিতলের পাত্রে নারকোলের জল দিয়ে, সেটাকে ফারমেন্ট করে কারন তৈরি হয়। হোম তো হয়ই। এছাড়া যারা বন্ধু-পরিবার-স্বজন রয়েছেন তাঁরা আসেন। একটা হইচই আরকি। সারারাত পুজো চলে। অন্তত রাত ৩টে তো বাজেই।
আচমকাই সব শেষ, প্রয়াত থিয়েটার জগতের প্রাণপুরুষ
পুজো মানেই খাওয়াদাওয়া
পুজোর দিনের খাওয়াদাওয়া তো হবেই। একদিকে যেমন ভোগ হয়। সেই ব্যবস্থা একেবারেই আলাদা। আবার তাঁর সঙ্গে যেটা থাকে সেটা হচ্ছে অন্যদিকে একটু খাসীর মাংস-পোলাও এসবের আয়োজন। দুটো একেবারেই আলাদা ব্যবস্থা কিন্তু খাওয়াদাওয়া চলে।