অন্তিম যাত্রায় কেকে, প্রিয় শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতে তার বাড়িতেই এসেছিলেন সঙ্গীত জগতের কলাকুশলীরা। চোখের জলে একে একে ভেতরে ঢুকলেন শিল্পীরা। আকৃতি কক্কর থেকে জাভেদ আখতার, হরিহরণ - বাদ গেলেন না কেউই।
বেশিরভাগের পরনে সাদা পোশাক, চোখে মুখে এক অদ্ভুত অভিব্যক্তি যেন কেউই মেনে নিতে পারছেন না। গতকাল থেকেই তার মৃত্যুশোকে ভেঙে পড়েছেন সকলে। এত তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া যায়? এটাও বয়স? সকলের মনে একটাই প্রশ্ন।
আরও পড়ুন < ঘেমে-নেয়ে স্টেজ ছাড়েন বিধ্বস্ত KK, ভিডিও পোস্ট করে উদ্যোক্তাদের তোপ নেটিজেনদের >
শ্রদ্ধা জানাতে এলেন, বর্ষীয়ান শিল্পী হরিহরণ। অলকা ইয়াগনিক এলেন তার ছেলেকে নিয়ে। সস্ত্রীক শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানালেন বিশাল ভরদ্বাজ। কবির খান এবং স্ত্রী মিনি মাথুর দুজনেই কেকের ভীষণ ভাল বন্ধু। সকাল সকাল বন্ধুকে শেষবারের মত দেখতে তারাও এলেন। শ্রেয়া ঘোষাল যেন মানসিক ভাবে অনেকটা ভেঙে পড়েছেন। শঙ্কর মহাদেবন গতকাল থেকেই ঘোরের মধ্যে, তিনি যেন হতবাক। ভিডিও পোস্ট করেই জানিয়েছিলেন শোকবার্তা। জাভেদ আখতারকে সঙ্গে নিয়েই এলেন মহাদেবন। সুরকার সেলিম মার্চেন্টও এলেন।
আরও পড়ুন < KK-র মৃত্যু কীভাবে? ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সামনে এল সত্যিটা >
মন ভার আকৃতি কক্করের। এর আগেও সারেগামাপা এর মঞ্চেও একসঙ্গে গেয়েছেন। স্বামীকে সঙ্গে নিয়েই এলেন আকৃতি, চোখের জল মুছতে মুছতে বেরিয়ে এলেন। হর্ষদীপ কৌর, পাপন - প্রিয় সহকর্মী থেকে এক অনবদ্য গায়ক তার শেষ যাত্রায় সঙ্গী হলেন সকলেই।
আরও পড়ুন < রূপঙ্কর মানসিকভাবে অসুস্থ! কেকে ইস্যুতে সাফ দাবি অভিনেতা সুদীপের >
শেষযাত্রায় কেকে। ছেলে নকুল ধীরে ধীরে পালন করছেন সমস্ত নিয়ম। ভেরোসভা শ্মশানে হবে শেষ কৃত্য। কাঠের মাধ্যমেই পোড়ানো হবে শিল্পীকে। সবকিছুই ধীরে ধীরে গুছিয়ে নেওয়া হচ্ছে। গতকালই কলকাতা থেকে মুম্বই পৌঁছেছে তার মরদেহ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্বাবধানে তাকে গান স্যালুট দেওয়া হয়।