/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/02/asdqwdeqw-2025-09-02-15-01-01.jpg)
বলি অভিনেত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু
Rajesh Khanna Co Star Tragic Death: সালটা ছিল ২০০৮। সেই বছর রাজেশ খন্না অভিনীত ওয়াফা: এ ডেডলি লাভ স্টোরিতে অভিনেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন লাইলা খান। বক্স অফিসে সাড়া ফেলতে না পারলেও মাত্র তিন বছর পর অর্থাৎ ২০১১ সালে লাইলা ও তাঁর পরিবারের নিখোঁজ হওয়া এবং পরবর্তীতে তাদের হত্যার ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। সম্প্রতি সাংবাদিক ও লেখক হুসেন জায়েদিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের প্রাক্তন অফিসার অম্বাদাস পোটে সেই ঘটনার ভয়াবহতা বিশ্লেষণ করেন।
লাইলা খানের মা সেলিনা তাঁর তৃতীয় স্বামী পরভেজ তাকের সঙ্গে ওশিওয়ারায় থাকতেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ এবং লাইলার অভিনয় জগৎ-এ কাজ করা মোটেই পছন্দ ছিল না। একইসঙ্গে সম্পত্তি ও লাইলার কাজের বিষয়ে মতবিরোধের জেরে পরিবারে অশান্তি বাড়তে থাকে। পোটে জানান, রাগের বশবর্তী হয়ে পুরো পরিবারকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেন পরভেজ। প্রথমে তিনি নিজের এক সহযোগীকে ইগাতপুরীর ফার্মহাউসের পাহারাদার হিসেবে নিয়োগ করান। পরিকল্পনা মাফিক পুরো পরিবারকে সেই ফার্মহাউজে নিয়ে আসেন। যেখানে মৃত্যুফাঁদ আগেই তৈরি করে রেখেছিলেন পরভেজ।
প্রথম ধাপে তিনি নিজের এক সহযোগীকে পরিবারের ইগাতপুরীর ফার্মহাউসের পাহারাদার হিসেবে নিয়োগ করান। তাক-ই পরিবারের জন্য ফার্মহাউসে যাওয়ার প্রস্তাব দেন, যা পরে তাঁদের মৃত্যুফাঁদ হয়ে ওঠে। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে ফার্মহাউসে পৌঁছে পরিবারের প্রত্যেকে বার্বিকিউ পার্টির আনন্দে মজে ছিলেন। ঘরে ফিরে বিশ্রামে নিতেই তাক ও তাঁর সহযোগী লোহার রড ও ছুরি দিয়ে একপ্রকার হত্যালীলা চালান। লাইলার ভাই ইমরান আহত অবস্থাতেও পরিবারের সদস্যদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। মৃত্যু নিশ্চিত করতে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন দীর্ঘ রোগের সঙ্গে লড়াইয়ে ইতি, প্রয়াত বিশিষ্ট অভিনেত্রী জ্যোতি, মায়ের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ তেজস্বী
এরপর লাশগুলো ফার্মহাউসে সুইমিং পুল খোঁড়ার জন্য তৈরি হওয়া গর্তে ফেলে দেওয়া হয়। প্রথমে তিনটি দেহ, তার ওপর গদি ও বালিশ চাপা দেওয়া হয়। তারপর বাকি তিনটি মাটির তলায় পুঁতে দেওয়া হয়। বৃষ্টির কারণে মাটি নরম হয়ে যাওয়ায় পরবর্তীতে পুলিশ খোঁজ নিয়ে দেহাবশেষ উদ্ধারে সক্ষম হয়। নাদির শাহ, সেলিনার প্রথম স্বামী তাঁদের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। লাইলাদের বাড়িতে তাকের আধার কার্ড মেলায় দানা বাঁধে সন্দেহ। অবশেষে মুম্বই ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানে প্রয়াত অভিনেত্রীর তৃতীয় স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে খুনের দায় স্বীকার করেন।
২০২৪ সালে মুম্বই সেশনস কোর্ট পরভেজকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আদালত রায়, 'এটি এক নৃশংস ঘটনা যা সমাজের সমষ্টিগত বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে। ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ড বিরলতম অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।' অম্বাদাস পোটের কথায়, পারভেজ তাক খুব ধূর্ত ও বিপজ্জনক অপরাধী। কিন্তু আইনের হাত থেকে পালানো সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন ১৯-এ সব শেষ! মদ্যপ অবস্থায় বারান্দা থেকে পরে মর্মান্তিক মৃত্যু, আগের মুহূর্তে কী করেছিলেন অভিনেত্রী?