Smita patil: 'শরীর দেখালেই দর্শক বেশি হবে', বলিউডের 'নোংরা' ভাবনায় বিরক্ত স্মিতা পাটিল, ভাইরাল ভিডিও দেখলে তাজ্জব বনে যাবেন

Smita Patil On Women objectification : স্মিতা পাটিল, ভারতীয় চলচ্চিত্রে যাঁর অনবদ্য অবদান অনস্বীকার্য। মাত্র ৩১ বছর বয়সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন। অল্পদিনের ফিল্মি কেরিয়ারে একের পর এক হিট ছবি দর্শককে উপহার দিয়েছেন। অভিনয় দক্ষতা বারবার মুগ্ধ করেছে দর্শককে। ১৯৮৫ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হয়েছিলেন এই প্রয়াত কিংবদন্তী অভিনেত্রী। সেরা অভিনেত্রী হিসেবে একাধিক পুরস্কার এসেছে স্মিতার ঝুলিতে।

দু'বার জাতীয় পুরস্কার জয়ী স্মিতা পাটিল ভিন্ন ভাষার ৮০ টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। হিন্দি, মারাঠি, কন্নড়, বাংলা সব ভাষার ছবিতে অভিনয়ের ছাপ রেখে গিয়েছেন লেজেন্ডারি অভিনেত্রী স্মিতা পাটিল। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ক্লিপিং ভীষণ ভাইরাল। দূরদর্শনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্মিতার অকপট স্বীকারোক্তি, ছবি হিট করাতে মহিলাদের শরীর প্রদর্শন করা হত। খোলামেলা পোশাকে লাস্যময়ী অবতারে সিলভার স্ক্রিনে নারী শরীর বক্স অফিসে ছবির সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবে ব্যবহার করা হত।  

আরও পড়ুন: 'পুরো শরীর কাঁপছিল-বমি করে ফেলেছিলাম', ধর্ষণ দৃশ্যে অভিনয়ের পর মারাত্মক পরিণতি দিয়ার

প্রয়াত অভিনেত্রীর রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছিলেন, অর্ধনগ্ন নারীশরীর দর্শক সিনেমার পর্দায় উপভোগ করেন। সিনেমার স্বার্থে অভিনেত্রীদের মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়। মান্ডি খ্যাত অভিনেত্রী স্মিতা পাটিলের উক্তি, 'সিনেমার হিরোদের তো নগ্ন দেখানো সম্ভব নয়। কারণ দর্শকের সেটা পছন্দ হবে না। কিন্তু, নারীশরীর প্রদর্শন করলে সিনেমা সফল হবেই এমন একটা ধারণা পোষণ করা হত। মনে করা হত, এই ধরনের দৃশ্য বেশি থাকলে হলে আরও ১০০ টা দর্শক বেশি আসবে। ভারতীয় ছবির দর্শককে বোঝানো হয়েছে সিনেমায় যৌনতা, অর্ধনগ্ন নারীশরীর এগুলো থাকবে। আপনারা হলে এসে সিনেমা দেখুন। এটা খুব ভুল কনসেপ্ট। সিনেমার বিষয়বস্তুর উপর সাফল্য নির্ভর করে। পোস্টারে উত্তেজক ছবি দিলেই সিনেমা হিট হয় না।' 

Smita Patil Ji, the Woman You Were.🫡
byu/Chai_Lijiye inBollyBlindsNGossip

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ক্লিপিং ভাইরাল হতেই নেটিজেনের একাংশ স্মিতার মতের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। তাঁদের মতেও, যৌনতা বা অর্ধনগ্ন নারী শরীর কখনও সিনেমা হিটের অস্ত্র হতে পারে না। ছবির সাফল্যের জন্য প্রয়োজন জোড়াল চিত্রনাট্য। প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে সন্তান প্রসবের সময় মাত্র ৩১ বছর বয়সে নিভে গিয়েছিল জীবন প্রদীপ। 

আরও পড়ুন: স্বামী-সংসার ছেড়ে ৩ সন্তান নিয়ে অভিষেকের সঙ্গে একত্রবাস, অসমবয়সী প্রেমের মোহে অকাল প্রয়াণ রাজেশ্বরীর!