/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/04/cats-2025-10-04-13-01-06.jpg)
চাঞ্চল্যকর তথ্য
Zubeen Garg Death Case Update: দিনটা ছিল ১৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার, ভরদুপুরে জুবিনের মৃত্যুসংবাদে মুহূর্তে যেন দেশজুড়ে নেমে আসে স্তব্ধতা। 'ইয়া আলি' খ্যাত গায়ক জুবিন গর্গের মৃত্যু ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য। জুবিন একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাঁতারু হয়েও কী ভাবে স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় ডুবে মারা গেলেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই মৃত্যুতদন্তে এসেছে চাঞ্চল্যকর মোড়। প্রয়াত গায়কের ব্যান্ডমেট শেখর জ্যোতি গোস্বামী অভিযোগ করেছেন, জুবিনের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা এবং অনুষ্ঠানের আয়োজক শ্যামকানু মহান্ত বিষ খাইয়ে হত্যা করার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে। আর মৃত্যুকে দুর্ঘটনা হিসেবে সকলের সামনে প্রতিস্থাপন করার ষড়যন্ত্র করেছেন।
ভারতীয় নাগরিক নিরাপত্তা সংহিতা (BNSS) অনুযায়ী সাক্ষী হিসেবে শেখর তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, জুবিনের মৃত্যুর আগে সিঙ্গাপুরে শর্মার আচরণ বেশ সন্দেহজনক ছিল। FIR-এ অভিযুক্ত শর্মার বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্র, খুন এবং পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শেখর জ্যোতি গোস্বামী বলেছেন, 'সিদ্ধার্থ শর্মা সিঙ্গাপুরের প্যান প্যাসিফিক হোটেলে জুবিনের সঙ্গেই থাকতেন। ঘটনার দিন ওঁর আচরণটাও অস্বাভাবিক ছিল। ইয়ট ট্রিপের সময় নাবিকের হাত থেকে জোর করে জাহাজের নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। যার ফলে মাঝপথে জাহাজটিতে ঝাঁকুনি হচ্ছিল যা সব যাত্রীর জন্যই ছিল বিপদজনক'।
তিনি আরও জানিয়েছেন, শর্মা আসাম অ্যাসোসিয়েশন (সিঙ্গাপুর)-এর সদস্য ও NRI তন্ময় ফুকনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন কেউ যেন মদ সরবরাহ না করে। শুধুমাত্র তিনি নিজেই করবেন। জুবিনের যখন শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল এবং ডুবে যাচ্ছিল সিদ্ধার্থ বলছিলেন, যা হচ্ছে হতে দাও। শেখর জ্যোতি গোস্বামী একটি বিষয়ে আলোকপাত করে বলেছেন, জুবিন একজন প্রশিক্ষিত সাঁতারু ছিলেন। সিদ্ধার্থ ও তিনি জুবিনের থেকেই সাঁতার শিখেছিলেন। তাই তিনি ডুবে মারা যেতে পারেন না।
আরও পড়ুন আমি যদি অসমে মারা যাই...', কিংবদন্তি জুবিনের মৃত্যুর পর প্রকাশ্যে গায়কের ভবিষ্যদ্বাণী
শেখরের অভিযোগ, সিদ্ধার্থ ও শ্যামকানু গায়ককে বিষাক্ত কিছুর সাহায্যেই হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন এবং ষড়যন্ত্র ঢাকানোর জন্য সিঙ্গাপুরকে বিশেষ স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। সিদ্ধার্থ নাকি জাহাজের ভিডিও কেউকে দেখাতে বারণ করেছিলেন। গোস্বামী জানিয়েছেন, যখন গর্গের মুখ ও নাকে ফেনা দেখা যাচ্ছিল শর্মা সেটিকে 'অ্যাসিড রিফ্লাক্স' হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। অন্যদের আশ্বস্ত করেছিলেন জুবিনের কিছু হয়নি। জরুরি চিকিৎসার ব্যবস্থা না করা জুবিনের মৃত্যুতে আপ্তসহায়ক ও অনুষ্ঠানের আয়োজকের প্রতি সন্দেহ আরও দৃঢ় হচ্ছে সে কথা বলাইবাহুল্য।
আরও পড়ুন 'ম্যানেজার তো জানত ওঁর...', আয়োজককেও কাঠগোড়ায় তুলে তদন্তের দাবি, জুবিনের মৃত্যুতে বিস্ফোরক স্ত্রী
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন প্রাথমিকভাবে প্রমাণ যার মধ্যে রয়েছে দলিল, আর্থিক লেনদেন এবং সাক্ষীদের বিবৃতিতে অভিযোগের তির সিদ্ধার্থের দিকেই। ইডি ও আয়কর বিভাগ অসম পুলিশের সঙ্গে যোগ দিতে পারে। মহান্তর বিরুদ্ধে সংগঠিত আর্থিক অপরাধ এবং বেনামী সম্পত্তি অধিগ্রহণেরও তদন্ত হতে পারে। অসম পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (CID) মহান্তর আগের কর্মক্ষেত্র এনবিএফসি চাকরির সময়ে প্রায় ২০ বছরের পুরনো আর্থিক অনিয়মও খুঁজে পেয়েছে। সূত্রের মতে, ইডি ও আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই এই মামলার তদন্তে CID সদর দফতরে পরিদর্শন করেছেন।