Kishore Kumar Kept Skulls and Bones: কিশোর কুমার, এই নামটাই যথেষ্ট। তাঁর সম্পর্কে আলাদা করে কোনও তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। সংগীতের দুনিয়ায় তাঁর অনবদ্য অবদান থেকে অভিনয় প্রতিভা সম্পর্কে অবগত ১৩ থেকে ৮৩। কিন্তু, কিংবদন্তী কিশোর কুমারের জীবনের অনেক অজানা কাহিনি রয়েছে। শুধু তাই নয়, লেজেন্ডারি সংগীতশিল্পী কিশোর কুমারকে নিয়ে অনেকে আবার মনগড়া গল্পও বুনেছেন। সেগুলোর মধ্যে একটি কিশোর কুমার নাকি অন্যকে ভয় দেখানোর জন্য বাড়িতে মাথার খুলি, হাড় রাখতেন। ভিকি ললওয়ানির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বাবার জীবনের সঙ্গে জড়িত সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন অমিত কুমার।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, 'ওগুলো আমিই নিয়ে এসেছিলাম। পূর্ব আফ্রিকার নাইরোবিতে আমরা একটি শো করতে গিয়েছিলাম। ওখান থেকেই ওগুলো এনেছিলাম। আসলে আমার বাবার অ্যানটিক পিস কালেকশনের একটা শখ ছিল। তাই আমরা যখন বাড়ি ফিরেছিলাম তখন ওগুলো সব নিয়ে এসেছিলাম। বিশ্বাস করুন, এখনও আমাদের বাড়িতে ওগুলো সযত্নে রাখা আছে।' আফ্রিকান সংস্কৃতির প্রতি কিশোর কুমারের একটা অমোঘ টান ছিল। বিশেষ করে সেখানের সংগীতের প্রতি। এছাড়াও আফ্রিকার পুথি আর ট্রাডিশনাল জিনিসের প্রতি আকর্ষণ ছিল। স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে বলেন, 'বাবা তো নিজেই মজা করে বলতেন সকলে আমাকে পাগল ভাবে ভাবুক। যে যা বলছে বলে যাক। আমার কোনও সমস্যা নেই।'
আরও পড়ুন সত্যি কথা যদি সরকারের বিপক্ষেও হয় আমার কোনও আপত্তি নেই: সৌরভ পালোধী
সাম্প্রতিক অতীতে Rediff-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত কুমার কিশোর প্রসঙ্গে আরও অনেক অজানা গল্প শেয়ার করেছিলেন। সেখানে বলেছিলেন, তাঁর বাবার Sixth Sense ভীষণ ভাল। যেন আগেই বুঝতে পেরেছিলেন তিনি আর খুব বেশিদিন এই পৃথিবীর আলো দেখতে পারবেন না। ১৯৮৭ সালে যেদিন কিশোর কুমারের জীবনাবসান হয় সেদিন সুমিতকে সাঁতারে যেতে দেননি। কানাডা থেকে অমিতের বিমান কখন আসবে সেই নিয়েও খুব উদ্বিগ্ন ছিলেন। হৃদরোগের লক্ষ্মণ দেখা দেওয়ার সময়ও মজা করে চিকিৎসককে খবর দেওয়ার জন্য বলেছিলেন। কাউকে বুঝতেই দেননি তাঁর কষ্টির কথা। স্ত্রী লীলার সঙ্গে কথা বলতে বলতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন কিশোর কুমার। লীনাও ভেবেছিলেন তিনি হয়ত মজা করেছিলেন, কিন্তু না। ততক্ষণে সব শেষ।
আরও পড়ুন সোসাইটির চাপিয়ে দেওয়া কোনও নিয়ম আমি ফলো করতে রাজি নই: মানসী সেনগুপ্ত