/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/19/cats-2025-09-19-15-40-55.jpg)
অকাল প্রয়াণ জুবিনের
Zubeen Garg Died: বিনোদন জগৎ-এ ফের দুঃসংবাদ। লালন সংগীতের রানি ফরিদা পরভীনের মৃত্যুর পর আরও এক সংগীতশিল্পীর প্রয়াণের খবর। প্রয়াত অহমিয়া গায়ক জুবিন গর্গ। বলিউডেও ছিল তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান। জুবিনের কণ্ঠের জাদুতে মুগ্ধ ১৩ থেকে ৮৩। থামল সংগীতশিল্পী জুবিন গর্গের সুরেলা সফর। সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তাঁর এই মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই স্তম্ভিত ভক্ত থেকে পরিচিতরা। মিডিয়া রিপোর্ট মোতাবেক, সিঙ্গাপুর পুলিশ তাঁকে সাগর থেকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যায়। আইসিইউ-তে ভর্তির পরও শেষ রক্ষা হল না।
নর্থ ইস্ট ফেস্টিভ্যালে অংশ নিতে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন জুবিন। সেখানেই আজ পারফর্ম করার কথা ছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তাঁর কণ্ঠের জাদু থেকে বঞ্চিত রয়ে গেল অগণিত ভক্তরা। তাঁর আকস্মিক প্রয়াণ ভক্তদের এবং সমগ্র অসমীয়া জাতিকে স্তম্ভিত করেছে। ভারতের সংগীত জগতে সৃষ্টি হল এক গভীর শূন্যতা। প্রিয় শিল্পীর অকাল প্রয়াণে অসম, উত্তর-পূর্ব এবং দেশজুড়ে নানা প্রান্ত থেকে শ্রদ্ধা ও সমবেদনার বন্যা। মৃত্যুকালে জুবিনের বয়স হয়েছিল মাত্র ৫২ বছর। তিনি যে সংগীত উৎসবে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন, সেই উৎসবের কর্মকর্তারাই The Indian Express-কে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
জুবিন গর্গ ছিলেন অসমের সবচেয়ে প্রভাবশালী সংগীতশিল্পী, যিনি বলিউডেও কণ্ঠের জাদুতে আপামর শ্রোতার মন জয় করেছিলেন। তিনি ভারতের হাইকমিশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যালে সাংস্কৃতিক ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবেই অংশ নিতে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন। উৎসবের আয়োজকরা এই খবর নিশ্চিত করেছেন। এক প্রচার কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা শুনেছি তিনি স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়েছিলেন এবং শ্বাসকষ্টজনিত জটিলতা দেখা দেয়। সিঙ্গাপুর অসম অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা যাঁরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন, দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।'
আরও পড়ুন কেকে-র স্মৃতি উসকে কনসার্টের মাঝেই মৃত্যু, হৃদরোগে কেড়ে নিল জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীর প্রাণ
এক্স হ্যান্ডেলে প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ রিপুন বরা শোকবার্তায় লিখেছেন, 'আমাদের সাংস্কৃতিক প্রতীক জুবিন গার্গের অকাল প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত। তাঁর কণ্ঠস্বর, সংগীত এবং অদম্য মনোবল প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অসম ও অসমের বাইরেও অনুপ্রাণিত করেছে।' অসম মন্ত্রিসভার সদস্য অশোক সিংহল লিখেছেন, 'অসম শুধু একটি কণ্ঠ হারাল না, হারিয়ে গেল এক হৃদস্পন্দন। জুবিন দা কেবল একজন গায়ক ছিলেন না, তিনি ছিলেন অসম ও জাতির গর্ব। যাঁর গানে আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের আবেগ, আমাদের আত্মা বিশ্বের প্রতিটি কোণে পৌঁছেছে।'
তিনি আরও লিখেছেন, 'ওঁর সংগীতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম খুঁজে পেয়েছে আনন্দ, সান্ত্বনা ও পরিচয়। জুবিনের চলে যাওয়া এক অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি করেছে। অসম হারিয়েছে তার সবচেয়ে প্রিয় সন্তানকে, আর ভারত হারিয়েছে তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাংস্কৃতিক প্রতীককে।' ৫২ বছর বয়সী জুবিন অহমিয়া, বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্র এবং সংগীত জগতে অনবদ্য অবদান রেখে গেলেন। লাস্ট বাট নট ইন লিস্ট, তিনি আরও অনেক ভাষায় গান গেয়েছেন।
আরও পড়ুন সংগীতের দুনিয়ায় নক্ষত্রপতন, থামল 'লালনকন্যা' ফরিদার সুরেলা সফর