Omid Jahan Heart Attack: কেকে-র স্মৃতি উসকে কনসার্টের মাঝেই মৃত্যু, হৃদরোগে কেড়ে নিল জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীর প্রাণ

Omid Jahan Death: তিন বছর পর ফের উসকে দিল কেকে-র মৃত্যুর সেই অভিশপ্ত রাত। বাম ডেট ফেস্টিভ্যালে পারফর্ম করার সময় আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সংগীতকে চিরবিদায় জানালেন ওমিদ জাহান।

Omid Jahan Death: তিন বছর পর ফের উসকে দিল কেকে-র মৃত্যুর সেই অভিশপ্ত রাত। বাম ডেট ফেস্টিভ্যালে পারফর্ম করার সময় আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সংগীতকে চিরবিদায় জানালেন ওমিদ জাহান।

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
New Update
wqwew

প্রয়াত সংগীতশিল্পী

Omid Jahan Died During Concert: বাংলাদেশের প্রবাদপ্রতীম সংগীতশিল্পী 'লালনকন্যা' ফরিদা পরভীনের মৃত্যু সংবাদের মাঝেই আরও এক খারাপ খবর। মাত্র ৪৩-এ থামল ইরানি গায়ক ও অভিনেতা ওমিদ জাহানের সুহানা সফর। সংগীতের দুনিয়ায় অনন্য ভাবনায় এক অনন্য ধারার জন্ম দিয়েছিলেন। দক্ষিণ ইরানের লোকসংগীতকে পপ মিউজিকের মিশেলে শ্রোতাদের মনে ঝড় তুলেছিলেন। 'হালে দান দান' এবং 'ভেইলি ভেইলি' গানের মাধ্যমে  খ্যাতি অর্জন করেছিলেন দক্ষিণ ইরানের এই সংগীতশিল্পী। বাম ডেট ফেস্টিভ্যালে পারফর্ম করার সময় আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সংগীতকে চিরবিদায় জানালেন ওমিদ জাহান। তাঁর এই অকাল মৃত্যু উসকে দিল ২০২২ সালের ১ জুন কেকে-এর মৃত্যুর ঘটনা। ঠিক একইভাবে কনসার্ট চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। 

Advertisment

১৯৮২ সালে ইরানের আবাদান শহরে জন্মগ্রহণ করেন ওমিদ জাহান। বাবা মাহমুদ জাহানও ছিলেন একজন সংগীতশিল্পী। কণ্ঠের জাদুতে মুগ্ধ হয় আপামর শ্রোতা। গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে বাম শহরের ডেট ফেস্টিভ্যালে পারফর্ম করার সময় তিনি মঞ্চেই হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। জরুরিভিত্তিক পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের একটি দল তাঁকে দ্রুত বাম পাস্তুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে তাঁদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। চিকিৎসকরা তাঁকে দু'বার কার্ডিয়াক রিসাসিটেশন করার পর আইসিইউতে স্থানান্তর করেছিলেন। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। ওমিদ জাহানের মৃত্যুর খবর ভক্তদের হৃদয় ভেঙে দিয়েছে।

আরও পড়ুন সংগীতের দুনিয়ায় নক্ষত্রপতন, থামল 'লালনকন্যা' ফরিদার সুরেলা সফর

Advertisment

ওমিদ তাঁর বাবা মাহমুদ জাহানের থেকেই সংগীতের তালিম নিয়েছিলেন। ৩৪ বছর বয়সে ওমিদ তার প্রথম অ্যালবাম 'ভাইসা তন্দ নারো'-তে কাজ করেন। যেখানে স্থানীয় ইরানি গীতধারাকে দক্ষিণী সুরের সঙ্গে মিশিয়ে ছিলেন।'হালে দান দান' ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। তবে এর আগে ওমিদ ১৯৯৮ সালে 'পেসার জনুবি' এবং ২০০০ সালে 'পাপ্পতি' নামে দু'টি অ্যালবাম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছিলেন।

সংগীতের প্রতি গভীর নিষ্ঠার কারণে ওমিদ অবিবাহিত ছিলেন। সংগীত ছাড়াও অভিনয়ে হাত পাকিয়েছিলেন ওমিদ। ২০২১ সালের 'দাগেত নাবিনুম', ২০২০-তে 'ভেইলি ভেইলি' এবং 'হাসরাত'-এ কাজ করেছিলেন। ইনস্টাগ্রামে ওমিদ জাহানের রয়েছে অসংখ্য ফলোয়ার্স। প্রায়ই নিজের জীবনের নানান কাহিনি শেয়ার করতেন। ওমিদ জাহানের মৃত্যুর পর তাঁর গান এবং স্মৃতি চিরকাল ভক্তদের হৃদয়ে বেঁচে থাকবে। 

আরও পড়ুন মারাত্মক দুর্ঘটনার কবলে ভিকি, তিনদিন হাসপাতালে-৪৫ টি সেলাই! মুখ লুকিয়ে ডুকরে কান্না অঙ্কিতার

death news