/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/14/cats-2025-09-14-10-54-16.jpg)
প্রয়াত বরেণ্য শিল্পী
Queen of Lalon Geeti Farida Parveen Died: তাঁকে বলা হত 'ক্যুইন অফ লালনগীতি'। কণ্ঠের মাধুর্যে মোহিত ছিল বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁর দৃপ্ত গায়কির আকর্ষণ আচ্ছন্ন করেছে লালন গানের শ্রোতাদের। বাংলাদেশের লালনসংগীতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি, বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী ফরিদা পরভীন। দীর্ঘ অসুস্থতার সঙ্গে লড়াইয়ে অবশেষে হেরে গেলেন। শনিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন লালনগীতির রানি ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন ওরফে ফরিদা পরভীন।
মৃত্যুকালে ফরিদা পারভীনের বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। লোকসংগীতের বরেণ্যশিল্পীর প্রয়াণের খবর প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ কুমার চক্রবর্তী ও ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম নিমেরি উপল। ভারাক্রান্ত মনে আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেন, 'আমরা আর পারলাম না আপাকে ফেরাতে। ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।'
আরও পড়ুন ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণ, ICU-তে অত্যন্ত সংকটজনক প্রবাদপ্রতীম সংগীতশিল্পী
প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুরে ছেলে ইমাম নিমেরি উপল জানান, তাঁর মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। অবস্থা বেশ সংকটজনক। ঠিক তার দুদিন আগেই পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে ফরিদাকে। শনিবার দুপুরেই প্রথম আলোকে আশীষ কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, 'ফরিদা পারভীনের কিডনি, ব্রেইন কাজ করছে না। ফুসফুসে সমস্যা আছে। হার্টে হৃৎস্পন্দনও স্বাভাবিক নয়। রক্তের সংক্রমণ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। রক্তচাপ কম থাকার কারণে ডায়ালাইসিস দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।'
আরও পড়ুন 'আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে...', গুলিবর্ষণের ঘটনায় মুখ খুললেন দিশার বাবা
আরও বলেন, 'ফরিদা পারভীনের সার্বক্ষণিক চিকিৎসার জন্য ছয় সদস্যবিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আজ থেকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে আছেন। এরপর বলা যাবে অবস্থা কোন দিকে যাচ্ছে।' ২৪ ঘণ্টা পেরনোর আগেই এল মৃত্যুসংবাদ। সেই সঙ্গে অস্তমিত বাংলার সংগীতের আকাশের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। থামল 'লালনকন্যা'-র দীর্ঘ সংগীতের সফর।
আরও পড়ুনসংকটজনক অবস্থায় ভর্তি ছিলেন ICU-তে, কেমন আছেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী?
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস বিশিষ্ট লোকশিল্পীর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। শোকবার্তায় ইউনুস বলেন, 'ওঁর কণ্ঠে লালনের দর্শন ও আমাদের সংস্কৃতির সারমর্ম নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছিল। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও পরভীন কখনও সংগীত থেকে দূরে সরে যাননি। তার আবেগ প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে।'
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)

Follow Us