করোনার আতঙ্ক ইতিমধ্যেই গ্রাস করেছে ভারতকে। সেই আঁচ এসে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে জমায়েত, ভিড় এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। সে কারণেই সোমবার মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত সিনেমা হল ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার অনুরোধ করেছেন। কিন্তু সিনেমার শুটিং নিয়ে কিছু বলেননি।
কিন্তু আতঙ্ক এতটাই যে বেশ কয়েকটি বাংলা ছবির শুটিং আপাতত বাতিল করা হয়েছে। পিছিয়ে গিয়েছে শুটিং শিডিউল। আগেই বাংলাদেশের ছবি 'কমান্ডো'-র শুটের জন্য তাইল্যান্ডের আউটডোর বাতিল করেছিলেন দেব।' কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন'-এর শুটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়। ২২ মার্চ তাদের ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু ভাইরাসের আতঙ্কে ১৮ মার্চেই দেশে ফিরছেন তারা।
আরও পড়ুন, করোনাতঙ্ক: মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে বন্ধ তিন বাংলা ছবির স্ক্রিনিং
শ্রীমন্ত সেনগুপ্ত-র ছবি 'বছর কুড়ি পরে'-র শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল ১৮ তারিখে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গের আউটডোর পিছিয়ে দিলেন নির্মাতারা। বন্ধুদের রিইউনিয়নের গল্প এই ছবি।
ছোটদের নিয়ে শুটিং করছেন বলে আগেই শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায় পিছিয়ে দিয়েছেন হামি-র শুট। মৈনাক ভৌমিকও তাঁর পরবর্তী ছবি ‘চিনি’-র শুটিং স্থগিত রেখেছেন।
'টনিক' ও 'হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী'-র রিলিজ নিয়ে চিন্তিত থাকলেও ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'গোলন্দাজ' ছবির শুটিং করছিলেন দেব। কিন্তু সূত্রের খবর সে ছবির দ্বিতীয় শিডিউলের শুটিং পিছিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন, করোনার কোপ, কী অবস্থায় শহরের প্রেক্ষাগৃহগুলি?
ইতিমধ্যেই তিনটি বাংলা ছবি সিনেমা হল বন্ধ থাকায় আয় করতে পারল না। রাজ চক্রবর্তীও, তাঁর পরবর্তী ছবির রিলিজ পিছিয়ে দিলেন। ৩ এপ্রিল মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ধর্মযুদ্ধ-এর। কিন্তু করোনার প্রভাবে তা আর হল না। তবে পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর আশা পরবর্তীতে করোনা জ্বর কাটিয়ে যখন ছবিটা মুক্তি পাবে ইন্ডাস্ট্রি তাঁর পাশে দাঁড়াবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন