Lopamudra Mitra: 'আমার মা বলেছিলেন বাঁধনে থাকতে পারবে না..', 'সুন্দর ছেলে' জয়কে বিয়ে করেন লোপামুদ্রা, দুঃখ হয় তাঁর শাশুড়ির?

Lopamudra Mitra: বরাবরই একটু বাঁধন ছাড়া গায়িকা লোপামুদ্রা মিত্র। তিনি ভীষণ স্পষ্টবাদী এবং ভীষণ যুক্তি দিয়ে কথা বলতে ভালোবাসেন। শুধু তাই নয়, বেশিরভাগ সময় তার স্বামী জয় সরকারকে নিয়ে, নানা রকমের মজা করত তাকে দেখা যায়। তাদের দাম্পত্য এবং বিয়ে নিয়ে নানা গল্প তিনি বহুবার করেছে। তবে এবার, এক এমন মোক্ষম কথা তিনি প্রকাশ্যে জানিয়েছেন...

জয়ের সঙ্গে লোপামুদ্রার সাধারণত খুব একটা অল্প বয়সে বিয়ে হয়নি। ২০০১ সালে তিনি, সুরকার জয় সরকারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। একবার দাদাগিরির মঞ্চে এসে জানিয়েছিলেন, গায়িকা লোপামুদ্র ছাড়াও যে ব্যবসায়ী লোপামুদ্রা নিজের বুটিক চালান, সেখানে ফ্রিতে মডেল হিসেবে কাজ করেন জয়। বিনিময় একটা পয়সাও পান না, হয়তো এক দুটো পাঞ্জাবি পেতে পারেন। প্রত্যেকটা মানুষের জীবনেই বিয়ে নিয়ে একটা গল্প থাকে। লোপামুদ্রা গল্পটা এতটা ইন্টারেস্টিং, না শুনলে বিশ্বাস হবে না।

Digha Jagannath Temple-Rachna Banerjee: 'ভারতের মধ্যে এমন ঘটনা আগে …

জয়ের মা নাকি মনে মনে একটু দুঃখ পেয়েছিলেন লোপামুদ্রার সঙ্গে বিয়ে করার কারণে? সত্যিই কি তাই? এত সুপুরুষ ছেলের সঙ্গে লোপামুদ্রার বিয়ে হওয়াতে কি তবে জয়ের মায়ের মনে একটু দুঃখ ছিল? গায়িকা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে জানান। তার কথায়...

"আমার শ্বশুরমশাইয়ের দিকটা আমি খুব একটা বুঝতে পারিনি, কিন্তু আমার শাশুড়িমার মনে মনে একটু দুঃখ ছিল বোধহয়। একেই সুন্দর দেখতে ছেলে তার মধ্যে আমার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। আবার এইদিকটাও বলতে হয়, যে ওনার মাথাতে এটা ছিল যে আমি লোপামুদ্রা মিত্র, তখন আমি যথেষ্ট পরিচিতি পেয়ে গেছি। যদিও পরবর্তীকালে সেই ইকুয়েশন টা একদম পাল্টে যায়। তারপরে তো আমি শ্বশুর বাড়িতে বড় ছেলের জায়গাতেই চলে গেলাম।" এই বলেই হাসতে শুরু করেন শিল্পী। কিন্তু গায়িকার মা নাকি জেনে বুঝেই তাকে বিয়ে করতে না করেছিলেন।

Manasi Sinha -Digha Jagannath Temple: জগন্নাথ স্বামীর মহিমা পুরীতেই, দিঘা গেলে সমুদ্রে নামব, মন্দিরে সময় কেন নষ্ট করব: মানসী সিনহা

লোপামুদ্রাকে তার মা খুব জানতেন, বুঝতেন। তাই হয়তো ভেবে নিয়েছিলেন যে এরকম মেয়ে, আর যাই হোক বাঁধনের মধ্যে বেঁধে গিয়ে শ্বশুর বাড়ির ঘর করতে পারবেন না। শিল্পীর কথায়, আমার মা তো আমায় খুব ভালো করে জানতে এবং বুঝতেন, উনি আমাকে বিয়ে করতেই না করেছিলেন। এমন না যে জয়ের সঙ্গে বিয়ে করতে না করেছিলেন। তুই আমায় বলেছিলেন যে তোমার মত মানুষ তুমি বিয়ে করলে এত বাঁধনে নিয়মে থাকতে পারবে না। কিন্তু মা তার সঙ্গে এটাও জানত যে এই মেয়েকে বারণ করলেও কিছু শুনবে না। আমাদের পরিবারের সেই ফ্রিডম টা ছিল সকলের প্রতি।