''সারা রাত ঘুম আসেনি, যা হল তাতে কি মানুষের উপর ভরসা করা ছেড়ে দেব? আমার বিশ্বাস হারিয়ে গেল''। এক নাগাড়ে কথাগুলি বলে চললেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়। মঙ্গলবার অভিনেত্রীর একটি ভিডিও বার্তা থেকে জানা যায়, সম্প্রতি টালিগঞ্জে জন্ম নেওয়া গেরুয়া প্রভাবিত সংগঠন 'বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদে'র পাশে থাকতে চলেছেন তিনি। একদা তৃণমূলের টিকিটে ভোটে দাঁড়ানো এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'অতি ঘনিষ্ঠ' তারকার এমন শিবির বদলের আভাস পেয়ে তোলপাড় হয় বঙ্গ রাজনীতি ও সিনে দুনিয়া। এরমধ্যেই বুধবার নিজের বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে 'অবস্থান স্পষ্ট' করেন মাধবী।
আরও পড়ুন, ঘাসফুল ছেড়ে মাধবী কি পদ্ম শিবিরে?
এদিন মাধবী মুখোপাধ্যায় বলেন, ''ওরা তো আমাকে বলেনি যে বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদ বিজেপির সংগঠন। আমি চশমা পরে ছিলাম না, আর জানতামও না ওই কাগজে সই করা মানে বিজেপির খাতায় নাম লেখানো। মিলন ভৌমিক-সহ আরও একজন এসেছিলেন। দুঃস্থ শিল্পী ও টেকনিশিয়ানদের সাহায্য করবে বলায় ভরসা করেছিলাম। আমি জনসাধারণের কল্যাণমূলক অনেক কাজ করে থাকি। এটা খারাপ হল, এভাবে চললে তো কারও উপর আর ভরসাই করা যাবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক কাজ করেছেন, ওনার পাশে থাকলে ভবিষ্যতে আরও উন্নতি হবে টলিউডের। তবে বলতে চাইব, যাঁরা আসছেন তাঁরা যেন নীতি নিয়ে আসেন। মুকুল রায়ের মতো সুবিধা বুঝে যেন দল না বদলায়''।
আরও পড়ুন, সোশাল মিডিয়ায় হুমকির শিকার অরুণিমা ঘোষ, গ্রেফতার অভিযুক্ত
উল্লেখ্য, মাস খানেকের মধ্যে টলিপাড়ায় খাতা খুলেছে বিজেপির দুই সংগঠন। এর মধ্যে একটির দায়িত্বে রয়েছেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা শঙ্কুদেব পণ্ডা ও অন্যটির দায়িত্বে রয়েছেন ফ্যাশন ডিজাইনার তথা বিজেপিনেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদ (বিসিপি)-র সাধারণ সম্পাদক শঙ্কুদেব। গত শনিবার এই সংগঠনের বিশেষ পরামর্শদাতা কমিটিতে যোগ দিয়েছেন একদা সিপিএমের টিকিটে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ও। এরপরই মাধবী মুখোপাধ্যায়ের নাম সামনে আসে। তবে, এদিন মাধবী সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তাঁর আস্থার কথা জানিয়ে দেন।